May 30, 2023, 9:43 pm
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার অনেক কমে গেছে, বঙ্গবন্ধু শিক্ষার জন্য যা করেছেন, তা আর কেউ করতে পারে নাই। করোনায় গোটা পৃথিবী থমকে গেছে। আবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে গোটা পৃথিবী থমকে গেছে। আজ পুরো বিশ্ব টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ১০ বছর আগে যেটা ছিল, সেটা এখন নেই, এখন অবকাঠামো অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
শনিবার সারাদিন ব্যাবী জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ক্যাম্পের সমাপনী পর্বে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
হুইপ স্বপন বলেন, আমাদের প্রিয় ভূমিতে অনেক বাঁদর, চামচিকা লাফালাফি দেখি কিন্তু হানাহানি যেন না হয়, এজন্য দাঁতে দাঁত চেপে রেখে, জিহ্বার মধ্যে কামড় দিয়ে, মাথায় পানি দিয়ে অনেক কিছু সহ্য করি। কারণ আপনারা আমাকে আপনাদের খাদেম বানিয়েছেন। আমার যে টার্গেট, আমার প্রিয় ভূমির সন্তানরা আমাদের অতিক্রম করবে। ইতোমধ্যে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। আপনারা শিক্ষকরা কে, কোন রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী, এটি আপনাদের নিজস্ব ব্যাপার। আজকে কোনো ভোটের দিন নয়, আজকে হচ্ছে স্বপ্ন পূরণের অগ্রযাত্রার মাইলফলক রচনা করার দিন। আমি আপনাদের সমস্যা ও সুপারিশগুলো শুনেছি, এগুলো নেত্রীর কাছে উপস্থাপন করব।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক ডিসি সালেহীন তানভীর গাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ মোল্লা, কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, আক্কেলপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আকন্দ, ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বন্যা, কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলালের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান চঞ্চল। তিনি বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অফিস কাম কম্পিউটার শিক্ষক থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস কাম কম্পিউটার শিক্ষক নেই। এজন্য অনেক সময় দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে তাদের বাইরে যেতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। আমাদের প্রতিমাসে টিফিন ভাতা দেয়া হয় ২০০ টাকা। দিনে ৬ টাকা ৬৬ পয়সা। যা একদম অপ্রতুল। টিফিন ভাতা বাড়ানো প্রয়োজন, এ টাকায় এখন এক কাপ চা মিলে না। স্মার্ট শিক্ষক গড়ে তুলতে পারলে, স্মার্ট শিক্ষার্থী গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা হুইপ আবুু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি কে প্রশ্ন করেন।