July 1, 2025, 2:11 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ভালুকায় নিরাপদ ব-র্জ ব্যবস্থাপনা না করার অপ-রাধে খামার মালিককে ২ লাখ টাকা জ-রিমানা পঞ্চগড়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে পাটক্ষেতে নিয়ে যৌ-ন নির্যা-তনের অভি-যোগ আশুলিয়ায় ৫ লক্ষ টাকা ছিন-তাই গু-লাগুলি ও পৃথক স্পটে কিশোর গ-্যাং সন্ত্রা-সীদের হাম-লায় আহ-ত-৫ দুদ-কের বিশেষ অভি-যানেও ব-ন্ধ হয়নি বিআরটিএ কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসের অনি-য়ম দুর্নী-তি পরিশ্রমী এক মানবিক চিকিৎসক ডা. হাসান মাহমুদ পাইকগাছা-সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের কাজ ফে-লে পালি-য়েছেন ঠিকাদার মহেশপুর সীমান্তে ফের ভারতীয় নারী আ-টক ঝিনাইদহের বংকিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী’২৫ পালিত তেঁতুলিয়ায় বিবিজি প্রকল্প কাজে ব্যাপক অ-নিয়ম, অফিস নেয় লাখে ২৫ হাজার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা-গারে খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তারুণ্যের উৎসব ও আলোচনা সভা অনিষ্ঠিত
নাগেশ্বরীতে হিন্দু থেকে মুসলিম বনে বিয়ে, পরে স্ত্রীকে অস্বীকার

নাগেশ্বরীতে হিন্দু থেকে মুসলিম বনে বিয়ে, পরে স্ত্রীকে অস্বীকার

এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে এক ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি বাদল চন্দ্র রায় অবৈধ প্রেমে অন্ধ হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে ফেরদৌসী খাতুন নামে এক অসহায় মুসলিম মেয়ে কে বিবাহ করে সংসার চলছিল বাদল থেকে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের। অবশেষে স্ত্রীকে অস্বীকার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে প্রতারক বাদল থেকে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের গংগারহাট (শ্যামপুর) গ্রামের হরিকান্ত রায় ও কল্পনা রাণীর পুত্র ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি বাদল চন্দ্র রায় ওরফে (আব্দুল্লাহ আল-মামুন) এবং নাগেশ্বরী উপজেলার বালাটারী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস ও ফরিদা বেগমের কন্যা মোছাঃ ফেরদৌসী খাতুনের সাথে বাদলের দীর্ঘ দুই বছর থেকে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমে অন্ধ হয়ে বাদল চন্দ্র রায় গত ৫জুন ২০২২সালে লালমনিরহাট নোটারি পাবলিক কার্যাল‌য় থেকে ২৬৮৫নং এফিডেভিট মূলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তার নাম রাখেন আব্দুল্লাহ আল-মামুন (৩২)। গত ৮জুন ২০২২সালে মোছাঃ ফেরদৌসী খাতুন ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন (বাদল চন্দ্র রায়) যৌথভাবে রংপুর মিঠাপুকুর কাজী অফিসে ৫লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ রেজিস্ট্রারী হয়। এরপর থেকে মোছাঃ ফেরদৌসী খাতুন ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন (বাদল চন্দ্র রায়) সংসার ভালোই চলে আসছিল। এদিকে গত এক থেকে বাদল চন্দ্র রায় তার পূর্বের স্ত্রীর পরামর্শে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাই এমনকি মোছাঃ ফেরদৌসী খাতুন কে বিবাহ করে নাই মর্মে মোছাঃ ফেরদৌসী খাতুন ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আসছেন।

ভুক্তভোগী মোছাঃ ফেরদৌসী খাতুন বলেন, আমি নাগেশ্বরীতে এক ক্লিনিকে চাকরী করা এবং বাদল চন্দ্র রায় একটি ঔষধ কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে তার সাথে পরিচয়। এক পর্যায়ে আমার সম্পর্কে জেনে তিনি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। পরে তিনি নিজে থেকেই লালমনিরহাট নোটারি পাবলিকে এফিডেভিটের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ আল-মামুন নাম ধারণ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপরই আমাকে বিয়ে করে ঘর-সংসার করতে থাকেন। গত এক থেকে আব্দুল্লাহ আল-মামুন (বাদল চন্দ্র রায়) তার পূর্বের প্রথম স্ত্রীর পরামর্শে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাই এমনকি আমাকেও বিবাহ করেন নাই মর্মে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার সহ আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান দিয়ে আসছেন। ফেরদৌসী খাতুন আরো বলেন, বিয়ের নামে এহেন প্রতারণার উপযুক্ত বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করবো। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে আমার জীবন নষ্ট করার জন্য প্রশাসনের কাছে আইনি সহযোগিতা ও সংবাদকর্মীদের কাছে মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য সহায়তা চান।

আব্দুল্লাহ আল-মামুন (বাদল চন্দ্র রায়) বলেন, প্রেমের মোহে অন্ধ হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করি ও ফেরদৌসী খাতুন কে রেজিষ্ট্ররীর মাধ্যমেও বিবাহ করি। আমার প্রথম স্ত্রীর সন্তান রয়েছে। আমি আবারো হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছি। আমার ভুল হয়েছে। ক্ষমা করবেন। আমি ফেরদৌসী কে চিনি না।

স্থানীয় রবিউল ইসলাম, আঙ্গুর হোসেনসহ অনেকে বলেন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন (বাদল চন্দ্র রায়) এফিডেভিটের মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে ও ফেরদৌসী খাতুন কে রেজিষ্ট্ররীর মাধ্যমেও বিবাহ করে ঘর সংসার চলে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। সমাধান হচ্ছে না।

লালমনিরহাট কোর্টের এডভোকেট মোঃ আবু সাঈদ লিংকন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এফিডেভিট করে বাদল চন্দ্র রায় নিজেই হিন্দু ধর্মত্যাগ, বিয়ে করেও এখন তা অস্বীকার করার মাধ্যমে আদালত-ধর্ম-সমাজকে অবজ্ঞা করে বাদল অন্যায় করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD