January 3, 2025, 2:46 am
মোঃ মনিরুল ইসলাম,নাচোল,
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নতুন সাজে স্বপ্নের দ্বিতীয় আল্পনা বাড়ি দেখতে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন।
উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের কাজলকেশর
গ্রামে মোঃ মমিনুর এর স্ত্রী সাহিদা বেগম তার মাটির পুরো বাড়িটিকে মনোমুগ্ধকর ভাবে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে দেশবাসীর কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।
সাহিদা বেগম বলেন বিয়ের পর থেকেই আমার মনে একটা স্বপ্ন ছিল যে, ইটের পাকা বাড়ি নয়, আমার যে মাটির বাড়ি আছে এটাকেই আমি বিভিন্ন ফুলের গাছ ও রংতুলি দিয়ে বিভিন্ন রকমের আট করে মনের মতো সাজাবো।
তাই আমি আজ দুই বছর ধরে এই বাড়িটির ভিতর, বাহির, আঙ্গিনা সহ পুরোটায় ফুলের গাছ এবং রংতুলি দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নাম দিয়েছি স্বপ্নের বাড়ি আল্পানা।
এই বাড়িতে স্বামী ও ছোট দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করি।
বাড়িটি সাজাতে গিয়ে সংসারের দিকে ঠিক মতো সময় দিতে না পারলেও
আমার স্বামী ও দুই সন্তান কোনদিন আমাকে কোন কথা না বলেও তারা আমাকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বলে আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রতিদিন অনেক মানুষ আমার স্বপ্নের বাড়ি দেখতে ভিড় জমান। যত মানুষ আসে ততুই যেন আনন্দে আমার মনটা ভরে যায়, মানুষ যখন বাড়ি দেখতে ভিড় জমায় তখন আমার মনে হয়, যেটা স্বপ্ন দেখেছিলাম, তা আজ পুরণ হয়েছে। আমি আসা করছি যে, আমার মতো যদি পুরো গ্রামটা সাজে সজ্জিত হতো তাহলে এই গ্রামটি হয়তো সারা বিশ্বের কাছে স্বপ্নের বাড়ি আল্পানা গ্রাম নামে পরিচিত হতো।
নেজামপু্র ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার তসলিম উদ্দিন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বলেন সাহিদা বেগম যেভাবে তার বাড়িটিকে সাজিয়েছে, তাতে সে অনেক টাকা ব্যয় করেছেন। তার এই স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে আমি আমার ব্যক্তিগত ভাবে যতটুক পারি সাহায্য সহযোগিতা করব এবং আরো উৎসাহ যোগাব। জেলা ও উপজেলা পরিষদ, জনপ্রতিনিধি, ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব যে, তিনারাও যদি এই বাড়িটির দিকে সুনজর দেন, এবং একবার দেখে যান তাহলে তাদেরও মনটা জুড়িয়ে যাবে এবং যতবার দেখবে ততবারই আসার জন্য মন চাইবে বলে আসা করি।
উল্লেখ্য যে প্রায় এক দেড় বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের ঠিকইল গ্রামে দেখন বর্মন নামে একটি আল্পনা বাড়ি থেকে আল্পানা গ্রাম হিসাবে
দেশের গুন্ডী পেরিয়েও বিদেশে গিয়েছিল। সেই উপলক্ষে হাটবাকইল থেকে ঐ গ্রামে যেতে রাস্তাসহ গ্রামটির অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
সেইটাকে উপলক্ষে কর বর্তমান কাজলকেশর গ্রামের সাহিদা বেগমের বাড়িটির নাম হয়েছে, দ্বিতীয়, স্বপ্নের বাড়ি আল্পানা।