November 12, 2024, 6:20 am
মোঃ রাসেল সরকার//
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কবর সংরক্ষণে নিরুৎসাহিত করতে ফি বাড়িয়েছে। সেজন্য জারি করা হয়েছে নতুন নীতিমালা। আগে ১০, ১৫, ২০, ২৫ বছর পর্যন্ত কবর সংরক্ষণের সুযোগ ছিল। কিন্তু নতুন নীতিমালায় ১৫ বছর বা ২৫ বছর মেয়াদি কবর সংরক্ষণ করতে হবে। আগে বনানী কবরস্থানে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণে যেখানে ফি ছিল ২৪ লাখ, এখন তা এক কোটি টাকা করা হয়েছে। একই কবরস্থানে আগে ২৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৪৫ লাখ টাকা। এখন তা এক কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রাজধানীর ৬টি কবরস্থানে মরদেহ দাফনে ডিএনসিসি নতুন নীতিমালা জারি করেছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কবর সংরক্ষণ করা যাবে ১৫ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত। সেজন্য একটি কবর সংরক্ষণে এক থেকে সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। আগে ৬ থেকে ১১ লাখ টাকার মধ্যে একই সময় পর্যন্ত কবর সংরক্ষণ করা যেতো। মূলত কবর সংরক্ষণে নাগরিকদের নিরুৎসাহিত করতেই ফি বাড়ানো হয়েছে। সূত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা ৭৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর ২৫ বছর কবর ফি ছিল ১১ লাখ, এখন তা এক কোটি টাকা করা হয়েছে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা বেড়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর ২৫ বছরের কবর সংরক্ষণ ফি ৭৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ২৪ লাখ, এখন ৩০ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর ২৫ বছরের ফি ৪৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। মিরপুর কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা ২০ লাখ করা হয়েছে। আগে ২৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ১১ লাখ, এখন তা ৩০ লাখ করা হয়েছে। তাছাড়া রায়ের বাজার কবরস্থানে আগে ১৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ৬ লাখ, এখন তা ১০ লাখ করা হয়েছে। আর ২৫ বছর কবর সংরক্ষণ ফি ছিল ১১ লাখ, এখন তা বাড়িয়ে ১৫ লাখ করা হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, বিগত ২০০৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কবরের জন্য স্থায়ী জায়গা কেনা বন্ধ হয়ে যায়। আর ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা শুরু হয়ে এখনো তা অব্যাহত আছে। এখন সরকারি ফিসহ ঢাকার কবরস্থানে মরদেহ দাফন করতে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। সাধারণত ওই কবরগুলো এক থেকে দেড় বছর স্থায়ী হয়।
এদিকে এ প্রসঙ্গে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকায় তুলনামূলক ধনীরা বাস করে। তাদের পরিবারের কেউ মারা গেলে তারা সবার কবরই সংরক্ষণ করতে চায়। ওই সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।