January 15, 2025, 12:35 pm
মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি
মাশরুম চাষ শুরুর দুই বছরের মধ্যেই সফল চাষি ও উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন পানছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আয়ুব নগর এলাকার আছান আলী।
জানা যায়,তার ছোট ভাই ও খাগড়াছড়ি নিপু মাশরুম সেন্টার থেকে পরামর্শ নিয়ে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখে হাছান মাশরুম খামার নামে মাশরুম চাষ শুরু করেন হাছান আলী ।শুরুতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বীজ ক্রয় করে মাশরুম চাষ করলেও ভবিষ্যতে তিনি নিজেই কাঠের গুঁড়া,গমের ভুসি, তুস ও চুন দিয়ে বীজ তৈরি করার ভাবছেন।
বর্তমানে মাশরুম চাষ করে তিনি সব খরচ বাদ দিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারছেন। প্রথম স্পন থেকে ২৫ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। ১ কেজির একটি স্পন প্যাকেট থেকে একবার ফলনে ৫০০-৭০০ গ্রাম পর্যন্ত মাশরুম পেয়েছেন তিনি। প্রতিদিন ২-৩ কেজি পর্যন্ত মাশরুম বিক্রি করে থাকেন তিনি। প্রতিকেজি মাশরুম বিক্রি হয় ২৫০-৩০০ টাকা দরে।
তার উৎপাদিত মাশরুম পানছড়ি ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং হোটেলে বিক্রি হচ্ছে।
হাছান আলী জানান,বর্তমানে আমার খামার থেকে এক হাজার প্যাকেট মাশরুম চাষ করা হয়।তবে এই খামার থেকে দুই হাজার প্যাকেট মাশরুম চাষ করা যাবে।আমার আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না থাকায় বড় পরিসরে করতে পারছি না।সরকারি সহায়তা পেলে মাশরুম চাষ করে বেকার সমস্যা দূর করাসহ ও অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। খামার আরও বড় করতে পারলে এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করার আশা তার।