April 29, 2025, 8:35 am
হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে ফাইল্যা পাগলা (ফালুচাঁন শাহ্) এর মাসব্যাপী মেলা জমে ওঠেছে। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো ভক্ত ও দর্শকের সমাগমে জমে ওঠে এ মেলা।
২০০৩ সালে আকস্মিক বোমা হামলার কারণে কয়েক বছর মেলাটির অচলবস্থার পর ফের অসংখ্য ভক্ত, মানতকারী ও দর্শকদের আনাগোনায় পুনরায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেলাটি। দুটি বোমা বিস্ফোরণে সাতজন নিহত ও আরো ১০ জন চোখ, হাত ও পা হারিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিল।
মেলা উদযাপন কমিটির সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রতিবছর পৌষ মাসের শেষের দিক থেকে শুরু করে পুরো মাঘ মাস ভক্ত ও দর্শকের পদচারণায় মুখর হয়ে থাকে মেলা প্রাঙ্গন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানতকারী তাদের মানতকৃত মোরগ, খাঁসি, গরু, ও সিরনিসহ বিভিন্নরকম পণ্য সামগ্রী নিয়ে নেচে নেচে ঢোল পিটিয়ে ‘ হেল ফাইলা- হেল ফাইলা, ফাইলা নাচে না আমি নাচি’ এই শব্দে মুখর করে তোলেন। পুরো মাঘ মাস ব্যাপী এ মেলা চললেও মাঘী পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে ও পরের দিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লক্ষ ভক্ত ও দর্শকের সমাগম হয়।
মেলা উৎযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার মাস্টার জানান, প্রশাসনের অনুমতিক্রমে মেলা উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এ মেলার আয়োজন করেছি।
এ বিষয়ে দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি শাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মাস ব্যাপী মেলা উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো ভক্ত ও দর্শকরা যাতে নির্বিঘেœ মেলা উদযাপন করতে পারে এজন্য মেলা কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, মেলার দিনগুলো নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে । এ বছরও মেলা সুষ্ঠুভাবে উদযাপিত হবে বলে আশা করছি।
উপজলো নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী ফারজানা আলম বলেন, মেলা নিয়ে এখনোও কোন বিধি নিষেধ নেই। মেলায় শাস্তি যোগ্য এমন কোন বেআইনি কাজ করলে বা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।