December 7, 2024, 12:14 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
তানোরে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা র‌্যাব-১২’র অভিযানে ডাকাত দলের ৭ জন সদস্য গ্রেফতার র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে ৬৬০ গ্রাম হেরোইনসহ ১ জন নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে ১২৩ গ্রাম হেরোইনসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নারীকে নামাজরত অবস্থায় দু-র্বৃত্তদের হ-ত্যা সাভারে সেনানিবাসে সিএসপি কোরের বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্দরগঞ্জে বিআরডিবি’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বিএনপি নেতা ইফতেখার হোসেন পপেল সাংবাদিক নৃপেণ বিশ্বাসের ২১ তম প্রয়ান দিবস  পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গু-লিতে নিহ-ত ১ বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও কাউকে ছেড়ে দেব না : কেন্দ্রীয় জামায়াত আমির
নড়াইলে শখের বশে কুল চাষ করে ভাগ্যবদল

নড়াইলে শখের বশে কুল চাষ করে ভাগ্যবদল

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইলে কুল চাষে ভাগ্যবদল মো. রাকিবুল ইসলাম শখের বশে করেছেন কুলের বাগান। লিজ নেওয়া প্রায় পাঁচ একর জমিতে রোপণ করেছেন ১৫ শতাধিক কুলের চারা। কাশ্মীরি, থাই, বলসুন্দরী ও সিডলেস কুলের এ বাগান দেখতে প্রায় নিয়মিত লোকজন ভীড় করছেন। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, আলোচিত এ কুলের বাগানটি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে।
কৃষক মো. জহর শেখের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা এলাকায়। তার ছেলে মো. রাকিবুল ইসলাম (২৫) সম্প্রতি যশোর ক্যান্টলমেন্ট কলেজ থেকে স্নাত্তক শেষ করেছেন। তিনি গত বছর শখের বশে কাশ্মীরি কুল, থাই, সিডলেস ও বলসুন্দরী জাতের পাঁচ শতাধিক চারা মেহেরপুর থেকে এনে রোপণ করেন। ফলন ও লাভ ভালো হওয়ায় এ বছরও চাষ করেন কুলের।
মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, গতবছর আমি যশোর আত্নীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে কুল বাগান দেখি। তখনই কুল চাষে আমার আগ্রহ বাড়ে। প্রথমে আমি তিন বিঘা জমিতে পাঁচশতাধিক বলসুন্দরী, কাশ্মীরি, থাই ও সিডলেস জাতের কুলের চারা রোপণ করি, ভয়ে ছিলাম কী হয়। তবে ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর ১৫ শতাধিক চারা লাগিয়েছি। আমার খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। আশা করছি খরচ বাদে প্রায় ৭/৮ লাখ টাকা লাভ হবে।
কুল বাগানে কাজ করে খেয়ে-পরে ভালো আছেন কয়েকটি পরিবার। উপজেলার অন্য বেকার যুবকরা এ ধরনের কুল বাগান করে নিজেদের ভাগ্য বদলাবেন এমনটি প্রত্যাশা রাকিবুলের। বলসুন্দরী কাশ্মিরী, থাই, নারিকেল জাতের কুল ছাড়াও বাগানে সিডলেস কুলসহ ৫ প্রকার কুল চাষ করেছেন। এসব কুল খেতে মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। তার এ সাফল্যে ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার অনেক যুবক কুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
স্থানীয়দের কয়েকজন ঢাকা মেইলকে জানান, এই বাগান দেখে তারা অভিভূত। তাদের জমিতেও এই ধরনের কুল বাগান করবেন বলে জানান। এই কুল বাগানের কথা শুনে দেখতে এসেছেন তারা। আগামী বছর তারাও এখান থেকে কুলের চারা ও পরামর্শ নিয়ে কুলের চাষ করবেন বলে জানান।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা আক্তার জানান, লোহাগড়া উপজেলায় কাশ্মীরি কুলসহ বিভিন্ন জাতের কুলের আবাদ হচ্ছে। আকারে বড় ও সুস্বাদু কাশ্মীরি কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই কুল রোপণ ও চাষের জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD