July 13, 2025, 5:38 am
(রিপন ওঝা, মহালছড়ি)
জেলার মহালছড়ি হয়ে সিন্দুকছড়ি টু জালিয়া পাড়া রাস্তার ধুমনীঘাট পঙ্খীমুড়ার সড়কে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মহালছড়ি টু সিন্দুকছড়ি পাহাড়ধস সড়কে যান চলাচল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, ফলে আজ আজ ২৬ডিসেম্বর সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাহাড় ধ্বসের পাথর সড়িয়ে
পুনরায় চলাচল করছে।
উক্ত স্থানে গত তিন মাস আগে ভারি বর্ষণের দরুন ছোট পরিসরে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। গত ২৫ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১.০০ টায় আকস্মিক একই স্থানে নতুন করে পাহাড় ধসে রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় এবং যান চলাচল ব্যাহত হয়। এতে করে জালিয়াপাড়ার সাথে খাগড়াছড়ি, মহালছড়ি এবং রাংগামাটির সড়কের মত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
লোক মারফৎ খবর পেয়ে মহলছড়ির ধুমনীঘাট হতে একটি সেনা টহল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং যৎসামান্য কিছু সরঞ্জামাদি দিয়ে রাস্তা সচল রাখার চেষ্ঠা অব্যহত রাখে। পাহাড় ধসের পাশেই রয়েছে প্রায় ১৫০ ফুট খাড়া খাঁদ ফলে সেনাবাহিনীর তড়িত প্রচেষ্ঠায় তাৎক্ষণিক কোন বড় র্দূঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। রাতভর চেষ্টা করে পাথর সরাতে ব্যথ হলে সেনাসদস্যরা সে ধ্বসে পড়া পাহারে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় যানবাহনের গমনাগমন সঠিকভাবে পরিচালনা করে।
আজ ২৬ডিসেম্বর মহালছড়ি জোন সদর থেকে সকাল ৮.০০ঘটিকায় মহালছড়ি জোনের জোন কমান্ডার মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী, সেনাবাহিনী এই জনদূর্ভোগ নিরসনে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করে এবং আরো অধিক সংখ্যক সেনাসদস্য যোগদান করে স্থানীয়দের সহায়তায় ১১.০০ঘটিকার সময়ে রাস্তাটি সম্পূর্ণ সচল করতে সক্ষম হয়।
এলাকার একজন প্রবীণ কারবারির সাথে কথা বলে জানা যায়, যে কোন সমস্যায় পড়লে মহালছড়ি জোন সবার আগে ছুটে আসে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন রাস্তাটি ঠিক না হলে তাদের ট্রাকে পরিবহরনর জন্য লোড করা কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যেত এবং তারা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতো।
উক্ত ঘটনায় এলাকাবাসী ও যানবাহন মালিকগণ মহালছড়ি জোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ।