February 5, 2025, 4:06 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সংস্কারের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন চায়-সংস্কার কমিটি জাতি জানতে চায় যেকোনো ব্যক্তির সাথে কারো ছবি থাকলেই কি সে দোষী? নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে বিক্রি ও ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ-নিরব ভূমিকায় প্রশাসন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জালে বিটিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধিসহ ইবির দুই শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী পঞ্চগড় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য দিতে তালবাহানা পাইকগাছায় গোবরের তৈরী শলাকা মেটাচ্ছে জ্বালানীর চাহিদা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মহেশপুরে আজগর আলী ভুলুর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত মিমপি রাজশাহী মেডিক্যালে ভর্তি হলো মধুপুর পৌরশহরের ৭নং ওয়ার্ডে প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহে কালের সাক্ষী নীলকুঠি যেখানে চলতো অমানুষিক নির্যাতন

ঝিনাইদহে কালের সাক্ষী নীলকুঠি যেখানে চলতো অমানুষিক নির্যাতন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরের খালিশপুর গ্রামে কপোতাক্ষ নদের পাশে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইংরেজ শাসন আমলের অভিশপ্ত নিদর্শন নীলকুঠি। এ নদ দিয়েই নৌকায় মহেশপুরে আসতেন ইংরেজরা। আঠারো শতকের শুরুর দিকে কোটচাঁদপুর দুতিয়ারকাঠি কুঠির মালিক ব্রিজবেন মহেশপুরের খালিশপুরের কপোতাক্ষ নদের তীরে কুঠিটি স্থাপন করেন। দক্ষিণমুখী এ ভবনের দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট ও উচ্চতা ৩০ ফুট। দক্ষিণ দিকে রয়েছে প্রশস্ত বারান্দা। ১২ কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন এটি। নিচ তলা থেকে দ্বিতীয় তলার কক্ষগুলো আয়তনে বড়। চুন, সুরকি ও পাকা ইট দিয়ে তৈরি করা হয় ভবনটি। কুঠির নিচ তলায় ছিল নীল চাষের খাজনা আদায় ও নির্যাতন কক্ষ। দ্বিতীয় তলায় আদায়কারীরা রাতযাপন করতেন। বিশ্রাম ও গোসল করার জন্য নির্মিত পাকা সিঁড়ি কপোতাক্ষের তীর পর্যন্ত নামানো। এখানে ১৮১০-১৮৫৮ সাল পর্যন্ত নীলকররা নীল চাষ পরিচালনা করত। এলাকার কৃষকের মাধ্যমে নীল চাষ করে পাঠানো হতো ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে। দিনের পর দিন অত্যাচারে মাত্রা বাড়াতে থাকে ইংরেজ নীলকরদের। যারা নীলচাষ করতেন না তাদের এ কুঠিতে এনে করা হতো নির্যাতন। কুঠির সামনে থাকা গাছে বেঁধে চলত অমানুষিক নির্যাতন। গ্রাম থেকে নারীদের ধরে এনে রাখা হতো কুঠির কক্ষগুলোয়।উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা হওয়ার পর অন্যান্য নীলকুঠির মতো এ নীলকুঠিটিও রেখে চলে যান নীলকররা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় জমিদাররা এটি তাদের কাছারি হিসেবে ব্যবহার করতে থাকেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় তত্কালীন নীলকুঠির মালিক জমিদারও জায়গাটি ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত রয়েছে স্থানটি। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে নথিভুক্ত করলেও অদ্যাবধি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। স্থানটি দর্শনীয় করতে দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের।

ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD