পেয়ারা বাগানের পতিত জমিতে সবজি উৎপাদনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকে ।। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রাম ফুলবাড়ি। এ গ্রামের কৃষি অনেক উন্নত, আধুনিক এবং প্রযুক্তি নির্ভর। কৃষক মো.আল্লাম হোসেন এর লাউ বাগান দেখে মন জুড়িয়ে যায়। তিনি ২ বিঘা ১০ কাঠা জমিতে পেয়ারা বাগানের পতিত জমিতে মাচা করে পটল, লাউ ও মাটিতে বাধাঁকপি চাষ শুরু করেন।

কৃষক মোঃ আল্লাম হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে কৃষি কাজ করেন, এবারই প্রথম উপসহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার এর পরামর্শে পেয়ারা বাগানের পতিত জমির ফাঁকা যাওগায় একই জমিতে মাটিতে বাধাঁকপি, মাচায় পটল, লাউ চাষ শুরু করেন। এতে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন অনেক লোক তার এই পেয়ারা বাগানের পতিত জমিতে এতগুলো ফসল চাষ করা যায় তা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এতে করে নিরাপদ ও পুষ্টিকর টাটকা ফলমূল ও সবজির নিশ্চয়তা হয়। তিনি পেয়ারা বাগানের পতিত জমিতে বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ সবজি চাষ শুরু করেন। তার চাষকৃত সবজিগুলোর মধ্যে বেগুন, ওল, মরিচ, লাউ উল্লেখযোগ্য।

একদিকে যেমন তার পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরন হয় আবার প্রতিবেশিদের পুষ্টির চাহিদা তিনি পূরনে সহযোগিতা করেন । অতিরিক্ত শাক সবজি বাজারে বিক্রি করে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হন। চাষি মোঃ আল্লাম হোসেন এর ২.৫ বিঘা মাচায় উৎপাদিত লাউ,পটল,বাধাঁকপি ইতিমধ্যে ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকার কাওরন বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন। তার দেখাদেখি অন্য সব চাষিরাও আম বাগানের পতিত জমিতে লাউ,বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, পটল, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ শুরু করেছেন।ফলে তাদের নিজের ও পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হচ্ছে। উপজেলার পালপুর ধামিলার কৃষক মোঃ মনিরুল ইসলামের ও পালপুরের মোঃ সাহাবুদ্দিন আম বাগানের পতিত জমিতে সবজি চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগ তাদের সব ধরণের সহযৌগিতা করছেন।
শুধু উৎপাদন করেই শেষ নয়, নিরাপদ সবজি উৎপাদন, পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সুষম সার ব্যবহার,জৈব সার, ছাই, জৈব বালাই নাশক, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ ও রাসায়নিক সারের সীমিত ব্যবহারের মাধ্যমে এখানকার কৃষি এগিয়ে চলেছেন দূর্বার গতিতে।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *