অগ্রিম বুকিং দেওয়ার পরও বীজ না পেয়ে বিপাকে কৃষক ক্ষতিপূরণের দাবী

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আলু বীজের অগ্রীম বুকিং নিয়ে ব্র্যাক অনুমোদিত বীজ ডিলারের বিরুদ্ধে বীজ আলু সরবরাহ না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ইটাখোলা বাজারের বীজ ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী চৌধুরী উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ক্ষতিপূরণ দাবি করে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ইটাখোলা বাজারের বীজ ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী চৌধুরী চলতি রবি মৌসুম শুরুর আগে জয়পুরহাট শহরের জামালগঞ্জ সড়কের মন্ডল বীজ ভান্ডারের মালিক আজাহার আলীর নিকট চলতি বছরে গত আগষ্ট মাসের ৩ তারিখে ব্র্যাক কোম্পানীর ৪০ টন আলু বীজের জন্য ৪ লক্ষ টাকা সোনালী ব্যাংক, ক্ষেতলাল শাখায় তার নিজস্ব একাউন্ট চেকের মাধ্যমে অগ্রিম জমা প্রদান করেন।
চুক্তি মোতাবেক ব্র্যাক সীড কোম্পানীর বীজ ডিলার আজাহার আলী গত ১০ নভেম্বর গোলাম রব্বানী চৌধুরীকে সাড়ে ১৯ টন আলু বীজ সরবরাহ করেন। এরপর বার বার যোগাযোগ করেও তাকে অবশিষ্ট আলু বীজ না দিয়ে আজাহার আলী বেশি দামে আলুবীজ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। একই ভাবে গত বছরও আজাহার আলী তার কাছ থেকে ৩০০ টন আলু বীজের জন্য ১৫ লাখ টাকা জমা নিয়ে মাত্র ৬৫ টন আলু সরবরাহ করেন। বুকিংয়ের অবশিষ্ট ২৩৫ টন আলু আজাহার আলী সরবরাহ না করে মুনাফা বেশি পেয়ে অন্যত্র বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এভাবে গত দুই বছর অগ্রীম বুকিং করার পরও ২৫৫ টন আলু সরবরাহ না করে প্রতারণা করেছেন। এতে তিনি এলাকার কৃষকদের চাহিদা মোতাবেক আলু বীজ সরবরাহ করতে না পেরে ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এ অবস্থায় ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবীতে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী চৌধুরী গত মঙ্গলবার স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী বীজ ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী চৌধুরী বলেন,‘অগ্রীম টাকা বুকিং দিয়ে আলু বীজ সরবরাহের চুক্তি করা সত্তে¦ও গত দুই বছর যাবত ব্র্যাকের বীজ ডিলার আজাহার আলী বীজ সরবরাহ না করে তার সাথে প্রতারণা করেছেন। আমার বিরুদ্ধে বেশি দামে বীজ বিক্রির মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আসলে দাম বেশি পেয়ে আজাহার আলী চুক্তিভঙ্গ করেছেন। এতে তিনি স্থানীয় কৃষকদের কাছে চাহিদা মত বীজ সরবরাহ করতে না পেরে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
জয়পুরহাট শহরের বীজ ব্যবসায়ী মন্ডল বীজ ভান্ডারের মালিক আজাহার আলী বুকিং করার পর আলু সরবরাহ না করার বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,‘ওই ব্যবসায়ীকে বীজ সরবরাহ করার পর তার বিরুদ্ধে ব্র্যাকের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে আলু বীজ বিক্রি করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য বুকিং নেওয়া সত্বেও অবশিষ্ট আলু বীজ সরবরাহ করা হয়নি।
ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্রিম ‘বুকিং নেওয়ার পর ব্যবসায়ীর নিকট ব্র্যাকের আলু বীজ সরবরাহ না করার বিষয়টি শুনেছি। এখনও লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *