September 15, 2025, 12:00 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মিলনের ইন্তে-কাল ঝিকরগাছায় বাস-পিকআপ মু-খোমুখি সংঘ-র্ষে একজন নিহ-ত ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন নলছিটির খালেদ সাইফুল্লাহ দুধ খাওয়ার জন্য কা-ন্না করছিল ৫ মাসের শিশু “গ-লা কে-টে হ-ত্যা করল মা” যুব সমাজকে মা-দক থেকে দূরে রাখতে সুজানগরে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অ-নুষ্ঠিত পাবনা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়ে আজম আলী বিশ্বাসের বিশাল মোটরসাইকেল শো-ডাউন রাজশাহীর দুর্গাপুর, বাগমারার পর এবার গোদাগাড়ী খাদ্য গুদামে পচা চাল মিলছে গরি-বের ভাগ্যে বাবুগঞ্জে জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবস-রপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সং-বর্ধনা অ-নুষ্ঠান র‌্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে হ-ত্যা মাম-লার যা-বজ্জীবন সাজা-প্রাপ্ত পলা-তক আ-সামি গ্রে-ফতার অ-বৈধভাবে কাঠ পো-ড়ানো ব-ন্ধের দাবি এলাকাবাসীর
ডাঃরনজিৎ ও খাদিজার হার না মানার গল্প

ডাঃরনজিৎ ও খাদিজার হার না মানার গল্প

‌মোঃ মিজানুর রহমান,কাল‌কি‌নি ও ডাসারউপ‌জেলা প্র‌তি‌নি‌ধি/
মিসেস রাবেয়া আসছেন পিরোজপুর থেকে । তার মা খাদিজার জরায়ুতে অপারেশন হয়েছে দুই বার।দ্বিতীয় বার অপারেশন করে ক্যান্সার ধারণা করে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে রেফার করে ৬ বছর পুর্বে।হ্যাঁ ক্যান্সার হাসপাতালে কনফার্ম করা হয়েছে তার মায়ের ক্যান্সার হয়েছে। শুরু হয় কেমো থেরাপি। ২৫ টি কেমোথেরাপি দেয়ার পরে ৫ টি রেডিও থেরাপি ও দুটি ব্রাকি থেরাপি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় অন্যত্র।রেডিও থেরাপি দেওয়ার ফলে ছ্যাঁকা খেয়ে প্রশ্রাবের থলির চামড়া পুড়ে যায় এবং মাসিকের রাস্তা দিয়ে অনবরত প্রশ্রাব ঝরতে থাকে( VVF)। সর্বশেষ পরীক্ষায় তার মায়ের শরীরে ক্যান্সার না থাকলেও স্বাভাবিক রাস্তায় কোন প্রশ্রাব আসছে না।
মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে বলা হয় খাদিজার এই অপারেশনটি ঢাকা মেডিকেলের ফিসচুলা ক্লিনিকে ভালো হবে। ৬ মাস পরে রাবেয়া তার মাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন।৩৩ দিন মেডিকেলে থেকে চিকিৎসা নেন এবং অজ্ঞান করে পরীক্ষা করা হয়।পরীক্ষা শেষে জানানো হয়- রেডিয়েশন ছ্যাঁকা খেয়ে আপনার মায়ের প্রশ্রাবের থলি একদম ছোট হয়ে গেছে, সেলাই দেয়ার পর্যাপ্ত চামড়া নেই। ওনার প্রশ্রাবের নালী বাহিরে এনে ব্যাগ লাগিয়ে দিতে হবে, অথবা মলদ্বারের সাথে সংযুক্ত করে দিতে হবে।
রাবেয়া তাতে সম্মতি দেননি। তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল, ও শহিদ সোহরা-ওয়ার্দী হাসপাতালে যোগাযোগ করেন।কেউ তার মায়ের স্বাভাবিক প্রশ্রাবের ব্যাবস্থা করতে আস্বস্ত করতে পারেন নাই।
বিভিন্ন ভাবে খোঁজ পেয়ে রাবেয়া তার মা খাদিজাকে রাসমনো হাসপাতালে নিয়ে আসেন ডাঃ রনজিত বিশ্বাস এর কাছে। ডাঃ রন‌জিৎ নিজে আবার রুগীকে পরীক্ষা করেন।ডাঃ রনজিত রাবেয়াকে বলেন আমি আপনার মায়ের অপারেশনের সফলতা নিয়ে ৬০% আশাবাদী। আমি এখনো এই অপারেশনে ফেইল হইনি, ফেইল হলে আপনার মা ই হবে প্রথম ব্যাক্তি। রুগী অপারেশনে রাজি হন। গত ১০ ই নভেম্বর ডা রনজিত বিশ্বাস খাদিজার সফল অপারেশন করেন। খাদিজা এখন সম্পুর্ন সুস্থ। এবং খাদিজার ছুটি হ‌য়ে‌ছে।এ ব‌্যাপা‌রে খাদিজার সাথে কথা বলেন পান্থপথের প্লাটিনাম হাসপাতালে। রুগী বলেন, বাবা আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। এখন আমি সুস্থ আছি, আল্লাহর কাছে ডা রনজিত বিশ্বাসের জন্য দোয়া করবো।
প্লাটিনাম হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ও খাদিজার চিকিৎসক ডা রনজিত বিশ্বাস বলেন, রেডিও থেরাপি দেওয়ার ফলে খাদিজার প্রশ্রাবের থলি ও মাসিকের রাস্তা সংকুচিত হয়েছিলো। অপারেশনটি জটিল তবে আমি আশাবাদী ছিলাম। সকল স্থান থেকে প্রত্যাখ্যান হয়েও আমার উপর আস্থা রাখায় আমি জটিল অপারেশনটি করতে পেরেছি। আমার সাথে ছিলেন আরেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা ফারজানা ও ডা অদিত মোহাম্মদ সেতু ভাই। আমি খাদিজার সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।তে আস্বস্ত করতে পারেন নাই।
বিভিন্ন ভাবে খোঁজ পেয়ে রাবেয়া তার মা খাদিজাকে রাসমনো হাসপাতালে নিয়ে আসেন ডাঃ রনজিত বিশ্বাস এর কাছে। স্যার নিজে আবার রুগীকে পরীক্ষা করেন।রনজিত স্যার রাবেয়াকে বলেন আমি আপনার মায়ের অপারেশনের সফলতা নিয়ে ৬০% আশাবাদী। আমি এখনো এই অপারেশনে ফেইল হইনি, ফেইল হলে আপনার মা’ই হবে প্রথম ব্যাক্তি। রুগী অপারেশনে রাজি হন। গেল ১০ ই নভেম্বর ডা রনজিত বিশ্বাস খাদিজার সফল অপারেশন করেন। খাদিজা এখন সম্পুর্ন সুস্থ। কালকে খাদিজার ছুটি।
আমাদের প্রতিনিধি খাদিজার সাথে কথা বলেন পান্থপথের প্লাটিনাম হাসপাতালে। রুগী বলেন, বাবা আমি নামাজ পড়তে পারতাম না। এখন আমি সুস্থ আছি, আল্লাহর কাছে ডা রনজিত বিশ্বাসের জন্য দোয়া করবো।
প্লাটিনাম হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ ও খাদিজার চিকিৎসক ডা রনজিত বিশ্বাস বলেন, রেডিও থেরাপি দেওয়ার ফলে খাদিজার প্রশ্রাবের থলি ও মাসিকের রাস্তা সংকুচিত হয়েছিলো। অপারেশনটি জটিল তবে আমি আশাবাদী ছিলাম। সকল স্থান থেকে প্রত্যাখ্যান হয়েও আমার উপর আস্থা রাখায় আমি জটিল অপারেশনটি করতে পেরেছি। আমার সাথে ছিলেন আরেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা ফারজানা ও ডাঃ অদিত মোহাম্মদ সেতু ভাই। আমি খাদিজার সুস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD