September 10, 2024, 8:16 am
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী।। রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা, যৌতুক, চোরাচালান, সন্ত্রাস, আইসিটি ও নাশকতা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটারিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক ।
বক্তব্য প্রদান করেন, গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক কলামিষ্ট মোঃ হায়দার আলী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মোঃ রাশেদুল হাসান শাওন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর কবীরসহ
মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, দপ্তরের প্রধানগণ সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তরা বলেন, বিভিন্ন দপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা খুবই শক্তিশালি, মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশ, বিজিপি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত সদস্যরা এখন বীর দাপটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এরা কার সাহসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আপনারা জনগনের উপর দোষ দিয়ে আপনারা দায়িত্ব এড়িয়ে যাবে না। গত মাসে সাড়ে ১০ কেজি হেরোইন, ৫ কেজি গাঁজ, ১০ হাজার বোতল ফেনসিডিল, হাজার হাজার পিস ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া থাকা শর্তেও হেরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, মদসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য আসে কি করে। আপনারা আরও মাদকের বিরুদ্ধে আন্তরিক হলে কোন মাদকদ্রব্য দেশে আসবে না। গোদাগাড়ীতে অনেক মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। মাদকবদ্র্য প্রতিরোধে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের একযোগে কাজ করতে হবে। কিছু কিছু দোকানের আড়ালে গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। রাত সাড়ে ১০ টার পর সকল দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
হেরোইন, ইয়াবা, ইদানিং গাঁজা, মাদক ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। মহিশালবাড়ী গরুর হাটে, বিদিরপুর ক্লাব, প্রেমতলী, নিমতোলা, রাজাবড়ি, পিরিজপুর, আলিমগজ্ঞ, গোপালপুর প্রভূতি স্থানে মাদকের হাট বসে। এরা খুব শক্তিশালি তাই এদের বিরুদ্ধে তথ্য দিতে ভয় পায়। মাদক আসে সীমান্ত দিয়ে, বিজিপি সজাগ থাকলে ৯০ ভাগ মাদক আসা বন্ধ হয়ে যাবে। মাদক ব্যবসা কমে যাবে।
উপজেলার বসুদেবপুর, মাদারপুর, গোপালপুর, মিষ্টির দোকানের সামনে হিরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিলের কারবার চলে এছাড়া রাজাবাড়ী, প্রেমতলী হাসপাতাল এলাকা, রেলবাজার মনির হোটেল, কসাইপাড়া, মহিশালবাড়ী গরুরহাট, সুলতানগজ্ঞ, ফিরোজচত্তর, সুলতানগজ্ঞ, বাসুদেবপুর, পিরিজপুর, কুমুরপুর, মাদারপুর, শিবসাগর প্রভূতি এলাকায় অবাদে হোরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্নধরের মাদকসেবন, বেচাবিক্রিসহ ছোটবড় অপরাধ হয়। ওই স্থানে অভিযান ও মোবাইল কোর্টসহ মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন।
এসময় ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, কোন পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সখ্যতা থাকে প্রমান করতে পারেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। থানায় আসতে দালাল লাগবে না। জি.ডি করার জন্য এক দালাল ৫ শ টাকা উৎকোচ গ্রহন করায় তাকে গ্রেফতার জেল হাজাতে প্রেরন করা হয়েছে। শ্রমিক, ভ্যানচালকসহ যে কেউ আসতে পারেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কোন মাদক ব্যবসায়ী, শিশু নির্যাতন, কোন আপরাধ করে পার পাবে না। সুলতানগঞ্জ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত মাদক কারবার চলে।
অন্যান্য বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে আরো বলেন, গোদাগাড়ীর আইনশৃঙ্খলা ভালই আছে, তবে আরও ভাল রাখার জন্য উপজেলার পুলিশ, বিজিপি, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনেক সচেতন হতে হবে। গোদাগাড়ীর একটাই বদনাম মাদক, হিরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল,গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক ব্যবসায়ী গডফাদার এখানে রয়েছে। গোদাগাড়ীতে পুলিশের তালিকাভুক্ত ১৭৩ জন মাদকব্যসায়ী রযেছে। তাদেরকে গ্রেফতার করলে মাদক ব্যবসা কমে আসে
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন তাই কোনভাবে মাদকব্যবসায়ীরা যেন কোনভাবে পার পেতে না পারেন সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে শক্ত মামলা, চার্জসীট প্রদান করতে হবে।
মোঃ হায়দার আলী
গোদাগাড়ী, রাজশাহী।