January 14, 2025, 11:02 pm
রিপন ওঝা,মহালছড়ি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০.০০ঘটিকায় সমর্থকগণের উপস্থিতিতে জুম্মজাতির নেতা জেএসএস প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা(এম এন লারমা)র ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়।
উক্ত দানানুষ্ঠানের আয়োজনে একযোগে ব্রিজপাড়া, মনাটেক, মিলনপুর, মুবাছড়ি, ধনপুদি, ক্যায়াংঘাটসহ কয়েকটি গ্রামে এ মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এসময় স্ব স্ব গ্রামের স্থানীয় নারী পুরুষ সবাই এ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেছে।
জুম্মজাতির নেতা এম এন লারমার অস্থায়ী বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠির আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার আন্দোলনে যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের শ্মরণে ধর্মীয় আলোচনা সভা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, পঞ্চশীল গ্রহনসহ নানাবিধ দানীয় সামগ্রী দান করা হয়।
উক্ত এ মহতী অনুষ্ঠানে শ্রী সুফল চাকমার সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সুকৃতি কার্বারী মহোদয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২নং মুবাছড়ি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান শ্রী প্রজ্ঞান খীসা।
শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ২নং মুবাছড়ি ইউপি শ্রী যুদ্ধরঞ্জন চাকমা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সহকারি শিক্ষক শ্রী সুসময় চাকমা।
উল্লেখ্য যে, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ এবং বাংলাদেশের ১ম জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্টগ্রাম-১ আসন হতে নির্বাচিত সদস্য। ষাটের দশকে তিনি জৌতিরিন্দ্র বৌদিপ্রিয় লারমা একত্রে শিক্ষা আন্দোলন করেছিলেন। তারই অংশ হিসেবে চাকমা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী প্রায় সবাই পেশা হিসেবে শিক্ষকতা বেছে নেন।
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ১৯৩৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নের মহাপুরম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ডাকনাম ছিল ছিল মঞ্জু।
১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর দলীয় অন্তকোন্দলের কারণে একপক্ষের হাতে নিহত হন। তিনি ১৯৭৩ সালের ৭ জানুয়ারী পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জাতিসত্বার আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটি গেরিলা সংগঠন শান্তিবাহিনী নামে সংগঠন গঠন করেন। তখন থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।