July 6, 2025, 6:01 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পেলেন সাংবাদিক এম এ আলিম রিপন সুজানগরের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে জামায়াতের উদ্যোগে ছাগল বিতরণ আশুলিয়া থানায় নবনিযুক্ত (ওসি) হান্নান যোগদানের পর থেকে অ-পরাধীদের ঘুম হারাম সলঙ্গায় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ালো মানবাধিকার সংগঠন রাজশাহীতে বিএনপির মনোনয়ন চান অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা কর্মকর্তা। নড়াইলে তিন কন্যার জন্ম দিলেন গৃহবধূ গোদাগাড়ীতে মহিষ পালনের উপর তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু মহেশপুরে ওয়াশিমের লা-শ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৩ মাস পর ফেরত দিলো বিএসএফ বাগেরহাটে মাদ্রাসা শিক্ষকের জমি দ-খল চেষ্টা, গাছ ক-র্তন করে হা-মলা কুমিল্লায় পথ সভায় স-র্তক বার্তা দিয়ে দেশব্যাপীকে সজাগ থাকতে বললেন- ডা.সফিকুর
নড়াইলে হাঁস, মুরগী, টার্কি ও কবুতরের খামার করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান

নড়াইলে হাঁস, মুরগী, টার্কি ও কবুতরের খামার করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইলে বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস, মুরগী, টার্কি ও কবুতরের খামার করে নিজের সফল তিনি।
মো. আশরাফুল ইসলাম (৪২)। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কামরগ্রামে গড়ে তুলেছেন সমন্বিত খামার। পাঁচ একর জায়গায় গরু, ছাগল, বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস, মুরগী, টার্কি ও কবুতরের খামার করে নিজের সফল তিনি। মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে আজ তার খামারের মূল্য দাঁড়িয়েছ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, এলাকায় একজন সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এছাড়া তার খামারে এলাকার অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল খামার গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হয়েছে তেমনি তার খামারে অনেক বেকার যুবকরা কাজ করে সচ্ছল হয়েছেন। পরিবার নিয়ে সুখে-শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ।
খামারে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এই খামার গড়ে তোলার ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। মালিকের পাশাপাশি তারাও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছেন।
আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি আগে ঢাকায় ব্যবসা করতেন। ব্যবসা ছেড়ে গ্রামে এসে ‘খামারবাড়ি’ নামে সমন্বিত খামার গড়ে তোলেন। ২০১৯ সালে একজোড়া মোরগ-মুরগী দিয়ে শুরু করলেও এখন ৫ একর জমিতে তার এই খামার। ভবিষ্যতে আরো বড় করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এই খামার থেকে বর্তমানে বছরে ১০-১২ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। তবে তিনি আশা করছেন আগামী বছর তার আয় দেড়গুণ বৃদ্ধি পাবে।
জানা গেছে, শহর থেকে গ্রামে এসে তার এই খামার করা দেখে প্রথম দিকে মানুষ হাসাহাসি করলেও এখন তারাই আশরাফুলের খামার দেখতে আসেন। তবে তার এই খামার গড়ে তোলার পেছনে পরিবারের সদস্যদের বিশাল অবদান রয়েছে। তার প্রত্যাশা, এলাকার অন্যরাও তার মতো এমন খামার তৈরি করুক। কারণ তিনি মনে করেন এ ধরনের খামারে কোনও লস নেই বরং এটি অত্যন্ত লাভজনক।
ওই ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের এআই টেকনিশিয়ান সরজিৎ কুমার টিকাদার বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তত্বাবধানে তিনি প্রথম থেকে আশরাফুলের খামারের দেখাশোনা করেন, যাতে এই খামারটা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয় এবং এ দেখে অন্যান্যরাও উদ্বুদ্ধ হয়।

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD