পঞ্চগড়ে আয়া নিয়োগের২৪ বছরেও বেতন হয়নি আরজিনার ৪৮ শতক জমি লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে মন ভরেনি কর্তৃপক্ষের

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ে অমর খানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ স্কুল কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি, অনিয়ম, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির প্রতিবাদে স্কুল অবরুদ্ধ করেছে এলাকাবাসী।
অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। এসময় ভুক্তভোগীরা বলেন, মোছা: আরজিনা বেগম বিনা বেতনে ২৪বছর ধরে অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয় আয়া পদে কর্মরত ছিলেন, চাকরির জন্য দিতে হয়েছে ৪৪ শতক জমি দান করে । জমি দাতা হিসেবে এই স্কুলে আয়া পদে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু বেতন পায়নি ২৪ বছর ধরে। বেতন করে দিবে মর্মে ১১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় স্কুল কৃর্তপক্ষ । তবুও বেতন হয়নি তার কিছুদিন পর জানতে পারে বয়স বেশি হওয়ার কারণে চাকরি থাকতেছে না আরজিনার। সে জানতে পারে তার এই পদে অন্য কারও নিয়োগ হয়েছে । এছাড়াও গোপনে আরো দুইটি নিয়োগ হয়। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসলে আজকে তারা স্কুলটিতে অবরুদ্ধ করে প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয় এলাকাবাসী। সহকারী প্রধান শিক্ষক, মোঃ আমিরুল ইসলাম , সহকারি শিক্ষক নাজিমউদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুস সামাদ সহ স্কুলের সহকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিদ্যালয়ে তিনটি পদে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে গোপনে নিয়োগ হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় জনপ্রতি ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেবার অভিযোগ উঠে এদের বিরুদ্ধে। যে পদে নিয়োগ হয়, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর , অফিস সহায়ক এবং অফিস ক্লিনার পদে। এই তিনজন ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে কৌশলে পরীক্ষায় প্রথমস্থানে কৃতকার্যের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছেন এমনে অভিযোগ এলাকাবাসির । এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, অযাচিত ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন, অভিভাবকদের সাথে উগ্র আচরণসহ নানা অনিয়ম রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফি দিতে হয় ৪০০ টাকা করে। যার ফলে অনেক দিন ধরেই বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ বাতিল করে পরিচ্ছন্ন নিয়োগ ও প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি সহ জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যরাও বলেন, শিক্ষকের বিষয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়ভাবে। তবে সম্প্রতি এই নিয়োগের সময় তাদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা স্পষ্ট হয়। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কখনোই ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসেনি। শুধু সভাপতিকে নিয়েই কাজ করেছেন। এবং মিটিং, রেজুলেশন ছাড়াই নিয়োগপত্র দিয়েছেন।’
অপর অভিভাবক সদস্যরাও বলেন, তিনি ৩ টি পদে ৩০ লাখ টাকা এবং আরজিনার কাছি ১১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছভাব । আমরা এই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানাই। এসময় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *