December 6, 2024, 10:22 pm
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরল হুদা মুকুটের সাথে প্রতিদ¦ন্ধীতা করতে গিয়ে নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনে গেছেন দলীয় মনোনীত প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন। এমটির ইঙ্গিত দিচ্ছেন তিনি নিজেই তার কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে। যা বার বার প্রমান হচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভেসে উঠতে শুরু করেছে বরাবরের মতই। আগামী ১৭ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন দলের দুই ক্ষতাশীন নেতা? তার মধ্যে খায়রুল কবির রুমেন দলীয় প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন নৌকা প্রতীক ছাড়া ঘোড়া প্রতীক নিয়ে? অন্য দিকে একই দলের সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট নৌকা প্রতীক না থাকায় আবারও মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন । মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই মুকুটের জনপ্রিয়তা দেখে নির্বাচনে পরাজয়ের চিন্তায় রুমেন শুরু করেছেন মুকুটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যড়যন্ত্র ? এমটির আলোচনা সমালোচানা এখন সারা জেলাজুরে। নুরুল হুদা মুকুট তিনি নির্বাচনে বিজয় লাভের জন্য প্রতিনিয়ত ভোটারদের ধারে ধারে ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন । অন্যদিকে একই দলের দুই প্রার্থী হওয়ায় এবং নুরুল হুদা মুকুটের দলীয় নেতা কর্মীদের জনপ্রিয়তা বেশি থাকায় এবং ভোটারদের সমর্থন বেশি হওয়ায় রুমেনের বিজয় অনিশ্চিত হয়ে পরেছে বলে শুনাযায় সারা জেলা জুরে। দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে খালি মাঠে গোল দিতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পরেছেন রুমেন? তিনি ভেবেছিলেন যেহেতু দল থাকে সমর্থন দিয়েছে এবং মুকুট ছাড়া অন্য কোন দলের কেউ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি তাই তিনি বিনা ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ার দখল করবেন? কিন্তু তা আর হলনা ? দেখতে দেখতে সময় পেরিয়ে গেল সকল ষড়যন্ত্র পিছে পেলে মুকুট নির্বাচনের হাল ছাড়লেন না ? রুমেনের উদ্দেশ্য ছিল যে কোন ভাবে যদি নুরুল হুদা মুকুটকে দলীয় চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য করাতে পারেন তবেই তিনি বিনা ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারে বসা একদম সুজা হয়ে যাবে?
কিন্তু নুরুল হুদা মুকুট কোন ভাবেই নির্বচন থেকে সরে দাড়াবেন না বলেই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। নুরুল হুদা মুকুটের এক কথা তিনি বলেন আমী সারাজীবন আওয়ামীলীগ করেছি কেউ যদি দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক নিয়ে আসতে পারে আমি তার হয়ে কাজ করব ? কিন্তু রুমেন নৌকা প্রতীক আনতে ব্যর্থ হয়েছে ঘোড়া কোন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক হতে পারেনা? ভোট হচ্ছে একজন নাগরিকের অধিকার? নির্বাচন হবে যাকে খুশি ভোটার তার ভোট দিবেন বিনা ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা আমার নেই?
অন্য দিকে নুরুল হুদা মুকুটের বিরদ্ধে একের পর এক দলীয় চাপ সৃষ্টি করে সেখানে ব্যর্থ হন রুমেন? প্রথমে নুরুল হুদা মুকুটকে জেলা কমিটির অগঠন তান্ত্রিক ভাবে অব্যহতির ঘোষনা দেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর ও সাধারণ সম্পাদক রুমেনের বড় ভাই ব্যরিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন গত ২৬/৯/২০২২ইং তারিখে একটি পেডে? পর বর্তীতে ২৯/৯/২০২২ইং তারিখে নুরুল হুদা মুকুটকে ঘায়েল করতে তার ছোট ভাই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলের উপর মিথ্যা অভিযোগ তুলেন মুকুটের পক্ষে কাজ করার জন্য দলীয় পেডে কারন দর্শানোর নোটিশ করা হয় কেন্দ্রীয় যুবলীগের পেডে? সেখানেও ব্যর্থ হয়ে নুরুল হুদা মুকুটের সহদর্মিনী জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হুসনা হুদার উপর স্বামীর পক্ষে দলীয় শৃঙ্কলা অমান্য করে কাজ করছেন এমন অভিযোগ তুলে তাকেও কেন্দ্রীয় পেডে গত ১/১০/২০২২ইং তারিখে কারন দর্শানোর নোটিশ করানো হয়? এতেও মুকুট নির্বাচন থেকে পিছ পা হননি ? অবশেষে রুমেন কোন ভাবেই নুরুল হুদা মুকুটকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে না পেরে হাইকোর্টে মুকুটের হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদন করেন? সেটিও বাতিল করেছেন আদালত। রিট পিটিশনটি খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবরও সর্ব শেষ হাইকোর্টে রুমেনের চেষ্টা অকার্যকর হয় গত বৃহস্প্রতিবার। নুরুল হুদা মুকুট কি এমন দোষ করেছেন যে তাকে তার পরিবারকে এভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে ? জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রুমেনের এসব কান্ড দেখে যেমন সারা জেলাজুরে চলছে আলোচনা সমালোচনা তেমনি জেলা আওয়ামীলীগ খন্ড খন্ড হতে চলেছে ? সাধারণ মানুষের মনে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর যে আস্তা রয়েছে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা তা এখন প্রশ্ন বৃদ্ধ হতে চলেছে এ জেলায় রুমেনের কার্যকলাপে ? রুমেন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন না দলীয় ক্ষমতা দিয়ে ভোট ছাড়া জয়ের স্বপ্ন দেখছেন? যেখানে স্বাধীন ভাবে নির্বাচন করা যাবেনা সেখানে নির্বাচন দিয়ে লাভ কি? নির্বাচন হবে মাঠে হাইকোর্টে গিয়ে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসার উদ্দেশ্য কেন এমন প্রশ্ন জেলার মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। রুমেনের এসব কার্যকলাপে মুকুটের সাথে পরাজয়ের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষেরা? পাশাপাশি তার এসব কার্যক্রম মুকুটের জন্য বিজয়ের নিশানাও হতে পারে ১৭ই অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে এমনটির আলোচনা সমালোচনাই এখন জেলাজুরে। ##