January 21, 2025, 11:15 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
জমে উঠেছে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী প্রার্থীরা নিজ কর্মি-সমর্থকদের সাথে নিয়ে ছুটছেন ভোটার জনপ্রতিনিধিদের বাড়ী-বাড়ী । ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড-২ এ প্রচার প্রচারনা এগিয়ে রয়েছেন আরজুনা কবির । নারী সংগঠক ও নারীনেত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করা ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের এই সদস্যের স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, অভিঙ্গতা ও পরিচিতি প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ভোটার ও সংশ্লিদের অভিমত টেবিল ঘড়ি প্রতিকে আরজুনা কবির বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরজুনা কবির। এর আগে তিনি সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বিগত জেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে। ময়মনসিংহের কয়েকজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ এমপি ও মন্ত্রীদের দিকনির্দেশনায় জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে এই সময়ে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য আরজুনা কবির এর শশুর আব্দুল কাদির কাদু উপজেলার সাবেক ইউনিয়ন কেওয়াটখালি ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও স্বামী হুমায়ুন কবির ভুট্টো ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে ভুট্টো রাজনীতিতে সক্রিয় হন। সদর ও গৌরীপুর উপজেলাসহ পাশ্ববর্তি এলাকাগুলোতে রয়েছে আরজুনা কবির ও তার স্বামী ভুট্টোর পরিবারের ব্যাপক পরিচিতি ও স্বচ্ছ ভাবমুর্তি। যা তার নির্বাচিত হওয়াকে অনেকটাই সহজ করে তুলেছে। গৌরীপুর উপজেলার কয়েকজন মেম্বার বলেন, গৌরীপুর,সদর,তারাকান্দা এই তিনটি উপজেলা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড-২ এর আওতাভুক্ত। এই ওয়ার্ডে সদস্য পদে আরজুনা কবির ছাড়াও আরো দুইজন প্রতিদ্বন্দি রয়েছেন। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য, স্বচ্ছ ভাবমুর্তি, পরিচিত ও অভিঙ্গতায় আরজুনা কবির এগিয়ে। জেলা পরিষদের এই ওয়ার্ডের জন্য আরজুনা কবির সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। তারাকান্দা উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যানরা বলেন, আমরা নিজে একজন ভোটার, আমরা আরজুনা কবির এর জন্য কাজ করছি, ভোটার জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। অন্যান্য ভোটারদের আহ্বান জানাবো এই ওয়ার্ডের উন্নয়নের স্বার্থে আরজুনা কবির কে বিজয়ী করার বিকল্প নেই। এ বিষয়ে আরজুনা কবির বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য, একজন রাজনৈতিক কর্মি। পারিবারিকভাবেই মানুষের সেবা করার শিক্ষা পেয়েছি। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধকালিন সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধে অবদান রেখেছেন আমার শশুর। আমি আশাবাদি সন্মানিত ভোটারেরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন, আমাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। তিনি আরো বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। সকলের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আমি নির্বাচিত হতে পারলে আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।