November 11, 2024, 7:18 pm
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষ কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য,দুই সাংবাদিক,পথচারি ও বিএনপির নেতাকর্মিসহ কপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। বুধবার বিকালে সদর উপজেলার মুক্তাপুর ফেরিঘাট এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক, পথচারি ও বিএনপির নেতাকর্মিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসময় উত্তেজিত বিএনপির নেতা কর্মিরা বৃষ্টির মত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সড়কে অবরোধ করে রাখে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান,বিকালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুর এলাকায় জড়োহতে থাকে বিএপির নেতা কর্মিরা। এসময় পুলিশের সাথে নেতাকমিদের বাকবিকন্ডর এক পর্যায়ে হঠাৎ করে তিন দিক থেকে লাঠিসোটা ও দেশীও অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির কর্মিরা । পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা টিয়ারসেল ও রাভার বুলেট নিক্ষেপ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। দীর্ঘ পৌনে একঘন্টা চলা এই সংর্ঘষে কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য, দুই সাংবাদিক ও পথচারিসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মি আহত হয়। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিএনপির নেতাকর্মিরা। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম, সদর থানার তারিকুজ্জামান, এসআই মাইনউদ্দিন, এসআই সুকান্ত, এসআই আমিনুল, এসআই অজিদ, সমকালের সাংবাদিক কাজী দিপু, দিনকালের সাংবাদিক গোলজার হোসেন সহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
হঠাৎ করে তিন দিক থেকে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়েছে দাবী করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন,বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে হঠাৎ করে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মিরা। পরে পুলিশ আত্মরক্ষায় টিয়াসেল ও রাভার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রন করি। তিনি আরো জানান বিএনপি নেতা কর্মিদের ইটপাটকেলে এ এসপি সদর সার্কেল মিনহাজুল ইসলামসহ কমপক্ষে ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।