April 27, 2025, 11:20 pm
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
পাইকগাছায় নিন্মচাপের প্রভাব ও টানা চারদিনের ভারি বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর টানা বৃষ্টিপাতে আমন আবাদে চাষীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবেশ-প্রকৃতি ও কৃষির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন সবাই। অনাবৃষ্টির কারণে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে থাকায় নতুন করে আমন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকরা। ধানের চারা ফেলেও বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ করতে ব্যর্থ হন চাষিরা। তবে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে কৃষকদের মাঝে। তাই নতুন করে আমন চাষে শুরু করেছে। কৃষকরা সারাদিন আমন চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছে উপকূল। বছর বছর বাড়ছে পানি, প্লাবিত হচ্ছে আগের বছরের চেয়ে আরও বেশি এলাকা। বিশেষ করে ভরাকটালের পূর্ণিমায় এমনটি বেশি ঘটছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ উপকূলের নদনদী এখন আর অমাবস্যা-পূর্ণিমার উঁচু জোয়ারের পানি ধারণ করতে পারছে না। পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে পুকুর-ঘেরের মাছ ভেসে যাচ্ছে; ফসলহানি ও জমিতে লবণাক্ততা এবং বাড়িঘর ডুবে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিন্ম চাপে পরিণত হওয়ায় মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়ায় উপকূল এলাকার জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে বুধবার পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। দিনভর বৃষ্টি থাকায় রাস্তায় যানবহন ঠিকমত চলাচল করেনি। টানা বর্ষণের কারণে দিন মজুররা কাজ করতে পারেনি।এতে সংসারে টানাটানি পড়েছে। তাছাড়া সবচেয়ে বিপাকে পড়েন নিন্ম আয়ের দিন মজুর মানুষেরা। গত কয়েক দিনের গুড়িগুড়ি, হালকা,মাঝারি ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা বিরামহীনভাবে বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে।ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করে মেরামত করা হচ্ছে। পৌর বাজারে প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
উপকূল এলাকার চাষাবাদ কিছুটা প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চিংড়ি লীজ ঘেরে সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের উপকার হবে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, লীজ ঘের গুলোতে আমন রোপন চলছে।তাছাড়া অন্য সকল ক্ষেত রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আমনের চারা রোপনের সময় রৌদ্র ও অনাবৃষ্টি থাকা কৃষকদের পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরী করতে হয়। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতিতো হবে না আরো উপকার হবে।বৃস্টি হওয়াতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে তিনি জানান। পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাজু হাওলাদার জানান, এখন পূর্ণিমা ভারিবৃস্টি এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে উঠে পড়েছে। পাইকগাছায় প্রায় ৩০ কি:মি: বেড়ীবাধ ঝুকিপুর্ণ রয়েছে।তবে কোন বেড়ীবাধ ভাংগেনি।
ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা।