November 10, 2024, 6:11 am
বি এম মনির হোসেনঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সন্ধ্যা নদীর দু’পারে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলকরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে দিনভর উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে দিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নেহের নিগার তনু। সোমবার সকাল থেকে আগৈলঝাড়ার থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম ছরোয়ারের নেতৃত্বে এসআই মিল্টন মন্ডল, এসআই শফি উদ্দিন সঙ্গিয় ফার্স নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা প্রদান করেছেন।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে অবৈধ দখলদারদের এক সপ্তাহের সময় দিয়ে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করায় সোমবার থেকে তাদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানের প্রথম দিনে বাগধা এলাকায় অবৈধভাবে নদী দখল করে ইট, বালু, খোয়াসহ ঠিকাদারী মালামাল ব্যবসায়ী মধ্য চাঁদত্রিশিরা গ্রামের কাশেম বাহাদুরের ছেলে সান্টু বাহাদুরের অবৈধ দখল করা নদীর পাড় অবমুক্ত করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, দখলদারদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রশাসনের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, উচ্ছেদ অভিযানের খরচ বরাদ্দ পর্যাপ্ত না থাকায় অনেক সময় অভিযান থমকে দাড়ায়। এজন্য জেলা প্রশাসকের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় জনগনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার একমাত্র প্রবহমান এই সন্ধ্যা নদী এক সময় খরস্রোতা থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীর দু’পারে অবৈধভাবে পাইলিং করে বালু দিয়ে ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ, দোকানপাট নির্মাণ, ইট-বালুর ব্যবসাসহ বহুতল ভবন নির্মাণ করে। স্রোত কমে নদী মরে যাওয়ায় ঢাকা পয়সারহাট লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়েছে অন্তত দেড় যুগ আগে। শুধু নদীর দুপারেই নয় পয়সা বন্দরের মধ্যে নদীর অংশ ও সরকারী জায়গা দখল করে নির্মান করা হয়েছে বহুতল ভবনসহ দোকানপাট। সেসব দোকানপাট ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন প্রভাবশালীরা। এর আগে নদী কমিশন অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রনয়ন করে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনকে প্রদান করে ওই তালিকানুযায়ি উচ্ছেদের অনুরোধ করেন।