May 18, 2025, 10:32 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সাংবাদিক কেন সংবাদ সংগ্রহ করে তা প্রকা-শ করেন না,সংবাদপত্র চল-বে কি করে? বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে ব্যবসা দ-খল, চাঁ-দাবা-জি ও ফি-টিংবা-জিসহ বিভিন্ন অ-পরাধমূলক কর্ম-কাণ্ড নড়াইলে খাজা হ-ত্যা ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মা-মলা বেগমগঞ্জে র‍্যাবের অভি-যানে ৯১৫ পিস ইয়া-বাসহ মা-দক কার-বারি গ্রেফতার শিক্ষা বোর্ডের আ-দেশ পা-ত্তা দিচ্ছেন না মাদ্রাসা সুপার জয়পুরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানের অ-পসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষো-ভ মিছিল সেনবাগে ইভটি-জিংয়ের শি-কার মাদ্রাসা ছাত্রীর পড়াশুনা ব-ন্ধ, থানায় অভি-যোগ দায়ের জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে-ডিসি মুফিদুল আলম মহেশপুর সীমান্তে যৌ-ন উ-ত্তেজক ট্যাবলেট উদ্ধার ও অ-বৈধ অ-নুপ্রবেশকারী আ-টক সড়ক ছাড়াই অর্ধকোটি টাকার সেতু নির্মাণ: তেঁতুলিয়ায় দু-দকের অ-ভিযান
গোদাগাড়ীর আলিপুরের পদ্মা নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি

গোদাগাড়ীর আলিপুরের পদ্মা নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলার আলিপুর এলাকার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী ১ আসনের সংসদ, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি।

বৃহস্পতিবার বিকালে পদ্মা নদীর আলিপুর এলাকার ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনের সময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী সাথে ছিলেন, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল উদ্দিন সোহেল, কৃষকলীগ নেতা মোঃ হেলাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা, সহকারী শিক্ষক মোঃ মতিয়ার রহমান প্রমূখ। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে এলাকাবাসী রক্ষা করার জন্য বাঁধ নির্মান সবধরনের চেষ্টা করবেন সরকার বলে আশ্বাস দেন এ সংসদ।

এলাকাবাসী জানান, বর্ষা আসে, সঙ্গে আসে বন্যা সে সাথে শুরু হয় নদী ভাঙ্গন। দর্ভোগের আশঙ্কায় বুক কাঁপে মানুষের। লাখ লাখ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও ধেয়ে এসেছে বন্যা সে সাথে শুরু হয়েছে রাজশাহী গোদাগাড়ীতে সর্বনাশা পদ্মার নদী ভাঙন। তারা হাজার হাজার এলাকাবাসি ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মানের জন্য এমপির নিকট জোর দাবী জানান ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ।

উল্লেখ্য গত বছরও বষা মৌসুমে প্রমত্ত পদ্মা পাড়ে প্রচন্ড নদী ভাঙ্গন শুরু হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িঘড়ি করে জিও ব্যাগ এবং বালির বস্তা ফেলে কোন রকমে পাড় কিছুটা রক্ষা যদিও তারপূর্বেই মানুষের বাড়ি-ঘর, শত শত বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ের নিকট চাহিদা দিলেও এখনো বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারছেন না।

গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতোলা, চাক পাড়া, খারিজাগাঁতি ও মোল্লাপাড়ায় পদ্মা নদীতে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গতবছর মধ্যে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বিঘা এলাকার ফসলি জমি, আম বাগান, হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়ি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারী গবাদিপশু খামার, ছাগল উন্নয়ন খামার, হাসঁমুরগী খামার, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
প্রতি বছর বন্যার সময় পদ্মা নদী ভয়ালরূপ ধারণ করে। পদ্মার তীব্র ভাঙ্গনে আম বাগান, বিভিন্ন ফলের গাছ, ফসলী জমি যাচ্ছে নদীগর্ভে। গত ৫ দিন ধরে উপজেলার নিমতেলা গ্রামে নদী নতুন করে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে রাস্তা, দোকান, ফসলি জমি, পাশাপাশি বসতবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভাঙ্গন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এই বুঝি সব তলিয়ে গেল, সর্বনাশা পদ্মা নিয়ে গেল আমাদের জান মাল, গবাদিপশু। এলাকাবাসির দাবী ভাঙ্গন রোধে দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়ার।
নিমতলা গ্রামের ৭০ বছর বয়সের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক ও কৃষক আব্দুর রহমান চোঁখের পানি ঝড়াতে ঝড়াতে বলেন, বহু কষ্টে গড়া বসত বাড়ী, ফসলী জমি, রাস্তা, নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে, করেছিলাম, নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে অনেকের বাড়ীর ধারে চলে এসেছে। বাড়ীর পার্শ্ববর্তী টিউবয়েলটি নদী গর্ভে চলে গেছে।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম বলেন, ওই এলকার ভাঙ্গনের বিষয়টি আমার জানা আছে। এর আগে ভাঙ্গন থেকে এলাকাবাসী রক্ষা করার জন্য বালির বস্তা ফেলা হয়েছিল। আগামী এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকার স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষায় ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশে বন্যা হয়। কারণ, নদীবাহিত পলি জমে জমেই এই বদ্বীপের জন্ম। বাংলাদেশের জন্ম। বন্যায় এই পলি সমতলে ছড়িয়ে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। তাই, বাংলাদেশের জন্য বন্যা একই সঙ্গে অভিশাপ ও আশীর্বাদ। তবে এটা ঠিক, মানুষের পরিবেশবিধ্বংসী নানামুখী কার্যক্রমের কারণে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও ক্রমশ বাড়ছে।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD