March 16, 2025, 10:53 pm
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার হাওয়াজোত গ্রামে বিরোধপূর্ণ জমিতে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ওই গ্রামে ২৬ শতাংশ জমিতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ১২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
পৈতৃক সূত্রে মিনত,খিরত ও সুরত ওই জমির দাবীদার।
তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন,খাস জমিতেই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
জমির মালিকানা দাবী খিরত চন্দ্র রায় বলেন, তাঁর পূর্বপুরুষ উদ্রকান্ত সি এস ৩১২০ খতিয়ানের মালিক যার এস এ ২৮৯।
হঠাৎ করে স্থানীয় মৃত ফজলুর রহমানের ওয়ারিশ মোছাঃ রেনু আক্তারসহ ১১ জন দাবী করে তারা ৬২ জবর দখল রেকর্ডীয় মালিক। এই দ্বন্দে পরে তাঁরা বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ১১২/২৬ জুন ২০০৮ইং।
দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনা করার পর আমাদের পক্ষে রায় দেন তেঁতুলিয়া সহকারি জজ আদালত।পরে বিবাদী পক্ষ এ রায়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে আপিল করে।
তিনি আরো বলেন, আদালতের আদেশের পর ১০ টি দাগে ৫.৪৯ একর জমির মধ্যে রোপা আমন ধান রোপন করেছি কিন্তু সাবেক দাগ ৯০ হাল দাগ ৪০৫০ এর ২৬ শতক জমির উপর সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ১২ টি ঘর নির্মাণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ওই জমি ফিরে পাওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন অসহায় পরিবার গুলো।
মিনত চন্দ্র রায় জানান, যখন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য ইট বালুসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যায়। আমি বাঁধা দিছি কিন্তু চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন কথা শুনেন নাই। তিনি আরো বলেন, ৪০৫২ দাগটি খাস সেখানে প্রকল্পের ঘর করতে গিয়ে পাশের বিরোধীয় জমিতেও ঘর নির্মাণ করে।
স্থানীয়রা জানান, ঘরের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে কিন্তু জমির বিরোধের কারনে ঘরগুলোতে এখন পর্যন্ত উঠতে পারছেনা উপকারভোগীরা।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা খামির উদ্দিন চৌধুরি জানান, হাওয়াজোত এলাকায় ৪০৫২ দাগটি খাস সেখানে আশ্রয়নের ঘর নির্মান করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান,জমির মালিকানা আমাদের তাই আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে। তিনি অস্বীকার করেন।