November 12, 2024, 10:02 am
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নামমাত্র মূল্যে চারটি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন অপসারনের টেন্ডারের কার্যাদেশ দেওয়ার
অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখিত চারটি বিদ্যালয়ের পুরাতন অবকাঠামোর প্রকৃত
মূল্য হতো আনুমানিক ২০ লক্ষ টাকা।
জানাগেছে, উপজেলার আটিদাশড়া, হিন্দা, কৃষ্ণনগর ও জিয়াপুর সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প (পিডিইপি)
২০২১-২২ অর্থ বছরের আওতায় নতুন ভবন নির্মানের বরাদ্দ পায়। ওই বিদ্যালয়ের পুরাতন
ভবনগুলো অপসারণ চেয়ে আবেদন করে ওইসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন। এরপর ভবনগুলোর
যাবতীয় পুরাতন অবকাঠামো অপসারন মূল্য নির্ধারণ করেন উপজেলা প্রকৌশলী।
৪ আগস্ট এসব বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন অপসারণের টেন্ডার ড্রপের আহবান করেন
উপজেলা প্রশাসন। ওই দিন ব্যাপক প্রচারণা ছাড়াই তরিঘড়ি করে মাত্র ১ ঘন্টা
সময়ের মধ্যে টেন্ডার ড্রোপ এবং ড্র কার্যক্রম পরিচালনা করেন কতৃপক্ষ। এতে
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিয়ে ওইসব
কাজ পান দলীয় নেতাকর্মীরা। আঁটিদাশড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় টেন্ডারটি পান
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, হিন্দা প্রাথমিক
বিদ্যালয় পান ক্ষেতলাল পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাপ
হোসেন জুয়েলে, কৃষ্ণনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় পান উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম
আহ্বায়ক জুল আরশ শুভ, মহব্বতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছেন আঃলীগ
কর্মী বেলাল হোসেন।
আটি দাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন সরকারি মূল্য দেখানো হয়
৮০ হাজার অথচ ৫০০ টাকা অতিরিক্ত দিয়ে টেন্ডার নিয়ে মালামাল বিক্রি করেন ৫ লক্ষ
টাকায়। অপরদিকে কৃষ্ণনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টেন্ডার মূল্য দেখানো হয় ৫৪
হাজার সেখানে কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদার মালামাল বিক্রি করেছেন ২ লক্ষ ৫০ হাজার
টাকা। এভাবে অন্যান্য বিদ্যালয় মিলে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অচিন্ত কুমারের নিকট টেন্ডারের সরকার
নির্ধারিত মূল্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ তথ্য নেই, এসব
উপজেলা প্রকৌশলী জানেন। টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিষয় গুলো গোপনেই হয়, এটা
আপনারাও জানেন, আমরাও জানি।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বলেন, প্রাক্কলনটি গত বছর করা হয়েছে এ বছরের
মূল্যের সাথে তারতম্য হতে পারে বলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে আরো
প্রমানিক তথ্য চাইলে তিনি অফিস থেকে পালিয়ে যান।