May 30, 2023, 8:39 pm
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় রাজীবপুর প্রেক্লাবের কোষাধ্যক্ষ দৈনিক আমার সংবাদ ও চ্যানেল এস ও ডেইলী অবজারভার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামের উপর হামলা করেছে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস এবং ইউপি সদস্যরা। ২৭আগষ্ট দুপুর ১টা ৩০মিনিটের দিকে রাজীবপুর ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
রাজীবপুর সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দশ টাকা কেজি চালের অনলাইন নিবন্ধন হালনাগাদ শুরু হওয়ার পর থেকে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মদ ইলিয়াস, ইউপি সচিব নুরুন্নবী ও ইউপি সদস্যরা মিলে কার্ড ধারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক বাড়ীর ট্যাক্সের নাম করে ১৫০টাকা করে দাবি করেন। ১৫০টাকা করে না দিলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে নিষেধ করে দেয় ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তাকে।
যারা ১৫০দিতে নারাজ তাদের কে অনলাইন করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি ধামকি দেয় চেয়ারম্যান, সচিব ও ইউপি সদস্যরা। পরে কার্ড ধারীদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ইউপি সদস্যদের সাথে। হট্টগোল দেখে যেখানে এগিয়ে যায় সাংবাদিক সহিজল ইসলাম সজল, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রফিকুল ইসলাম। সাধারণ জনতা সাংবাদিকদের দেখে এগিয়ে এসে ১৫০টাকার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। এতে হাতে থাকাস্মার্ট ফোন দিয়ে ঘটনাটি ভিডিও শুরু করেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম এবং ফেজবুকে লাইভ প্রচার করে মুরাদুল ইসলাম মুরাদ। তার ভিডিও করতে দেখে রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৪নং ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার ও শাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান মিরন মোহাসম্মদ ইলিয়াস এর হুকুমে সাংবাদিকের উপর চড়াও হোন এবং ধাক্কা দিয়ে সিড়ি থেকে ফেলে দেয়। পরে অন্যান্য ইউপি সদস্যরা একযোগে এসে এলোপাথারী মারপিট করে। মারপিট করেন ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আবুশামা দেওয়ান, শাহ আলম, ফরিজল হক, বাবুল আক্তার, আব্দুল হাই ও মহিলা সদস্যের স্বামী মিষ্টার এবং শাহাব উদ্দিন মেম্বরের ছেলেসহ অনেকেই। তার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি ছিনিয়ে নেয় শাহ আলম মেম্বার। তিনি এখন গুরুতর আহত হয়ে রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ছবি ও ভিডিও ধারণ করার কারণে আমরা উপর অতর্কিত হামলা করে। উপস্থিত শত শত কার্ডধারী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সৎম্পাদক সজল, মুরাদ ভাই, দুই জন পুলিশ সদস্যের সামনে আমার উপর হামলা চালায়। কিছুদিন আগে আমি ইউনিয়ন পরিষদের দূর্নীতি অপকর্মের বেশকিছু নিউজ করেছিলাম। এরই জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মোহাম্মাদ ইলিয়াস এর পরামর্শে আনোয়ার ও শাহাব উদ্দিন মেম্বর প্রথমে আঘাত হানে। পরে সব সদস্য মিথে আমাকে মারপিট করে। আজ যখন আমরা জানতে পারি কার্ড ধারীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৫০টাকা বাড়ীর ট্যাক্স নিচ্ছে তখন রাজীবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরাদ ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রাজিবপুর সভাপতি আষব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইসহ ইউনিয়ন পরিষদে এগিয়ে যাই এবং ঘটনাটি ভিডিও করি, তখনই আমার উপর হামলা করে। রাজিবপুর থানা পুলিশ ও অন্যান্য সাংবাদিক না থাকলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলত। এ বিষয়ে রাজিবপুর থানায় একটি মামলা করেছি। সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে এই হামলাকারীদের শাস্তির দাবী জানাই।