June 1, 2023, 11:40 pm
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ভূমি দপ্তরের সেবার অপর নাম জিন্নাত শহিদ পিংকি । এসিল্যান্ড হিসেবে তারাকান্দা উপজেলায় যোগদান করেন ২০২১সালের ১১ই এপ্রিল । যোগদানের পর পরই সেবাপ্রার্থীদের দিকে নজর দেন। নামজারী, খাজনা ইত্যাদি বিষয়ে গ্রাহকদের হয়রানী দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেন।
অফিসে অপেক্ষমান সেবা প্রার্থীদের বারান্দায় বসার আধুনিক ব্যবস্থা, করেন এবং দালালের হাতে টাকা না দিতে অনুরোধ করেন। বাহিরে অপেক্ষমান প্রত্যেককে ডেকে অভিযোগ শ্রবন করে সেবাদান করেন। ভূমি অফিসের কর্মচারীগণ জানান, অফিস সময় পার হয়ে সন্ধ্যা হলেও অপেক্ষমান সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ ও শুনানী গ্রহণ করে থাকেন। উপজেলা বিসকা,গালাগাঁও,বালিখা,ডাকুয়া,কামারিয়া ও রামপুর ইউনিয়নের কয়েকজন ভূমি মালিক জানান,তাদের জমি অন্যরা জবর-দখলে হুমকি দিয়ে থাকে,তারা বছরের পর বছর এর সুষ্ঠু সমাধানের আশায় ঘুরলেও কেউ কথা শুনে না, কিন্তু পিংকি স্যার বিনা খরচে জমি খারিজ করে দিয়েছে।
উপজেলার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলেন, নির্লোভ এসিল্যান্ড জিন্নাত শহিদ পিংকি শুধু ভূমি সেবাতেই ক্ষ্যান্ত থাকেননি, ইউএনও স্যারের পরামর্শে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বেকারী কারখানা, ঔষধের দোকান, মুদি দোকান, হোটেলসহ যথাযথ আইন প্রয়োগ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অন্যায় সুবিধা আদায় করতে অর্থের লোভ দেখিয়ে সুবিধবাদীরা ধোপে টিকতে পারেনি এমন খবরও পাওয়া গেছে।
কয়েকটি ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা বলেন, এখানে সরকার নির্দেশিত ডিজিটালাইজড্ কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সহজ করার জন্য নাগরিক কর্ণার থেকে রেজিষ্ট্রেশন করা হচ্ছে (হোল্ডিং ওপেনিং)। অনলাইনে কর জমা নেয়া হচ্ছে। নামজারি, তদন্ত (মিছ কেস ১৪৪ ধারা) ইত্যাদি দ্রুত সময়ের মধ্যে নিস্পত্তি করা হচ্ছে। আমাদের এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশ “কোনো সেবাগ্রহীতা হয়রানির শিকার হবে না, যে কোনো সেবা যথাসম্ভব দ্রুত নিস্পত্তি করে সেবার মান বাড়াতে হবে, গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে”। স্যারের নির্দেশে-আমরা এই নীতিতেই চলছি বিধায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ আমাদের উপর সন্তুষ্ট। তিনি বলেন- এসিল্যান্ড স্যারে কর্মদক্ষতায় ভূমি মালিকরা ভূমি অফিসে না এসে ঘরে বসে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও ভূমি উন্নয়ন কর দিতে এবং দাখিলা সংগ্রহ করতে পারছেন। দেশব্যাপী সব জায়গার মত তারাকান্দাতেও সবগুলো ইউনিয়ন ভূমি অফিসেই মৌজাওয়ারী ভূমি মালিকের তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করার কাজ উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে।
সরকারী কার্যক্রম সম্পর্কে এসিল্যান্ড জিন্নাত শহিদ পিংকির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইচ্ছা থাকলেও সবসময় শতভাগ পূর্ণসেবা দওয়া সম্ভব হয় না, তারপরেও সময় নষ্ট না করে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করি এই কারণে যাতে করে শেষ পর্যন্ত সেবাপ্রার্থীরা সন্তুষ্ট হয়, আর তাহলেই সরকারের উদেশ্য সফল হবে বলে মনে করি। তিনি বলেন-আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। তাছাড়া আমার সকল পর্যায়ের সহকর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে একা এত ভালো করা সম্ভব ছিল না।
রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বলেন, এসিল্যান্ড জিন্নাত শহিদ পিংকি এর তারাকান্দায় যোগদানের পর অদ্যাবধি তার কাজের মান ভাল, সেবাগ্রহীতারা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, সরকারী কর্মকর্তারা এমন হলে বাংলাদেশ একদিন সোনার দেশেই পরিনত বলে।