November 5, 2024, 3:26 am
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হত্যা মামলার আসামীদের বাড়ি থেকে প্রতিপক্ষের লোকজনের লুট করা ১১টি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে সাঁথিয়া ও সুজানগর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সাঁথিয়ার প্রত্যন্ত অ ল পাইকপাড়া এলাকার কিফাত উল্লার ছেলে বাবুর বাড়ি থেকে ৩টি ও বাগপুর ক্ষেতুপাড়ার মুক্তারের বাড়ি থেকে ৮টি গরু উদ্ধার করে। এ সময় ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মুক্তারের ছেলে মামুন (২৫) কে আটক করা হয়। স্থানীয়রা জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে গত সোমবার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর হত্যাকা-ের পর মামলার আসামিদের বাড়িঘরে ভাঙচুর-লুটপাট চলছেই। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় এ সুযোগে ২৫টি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আসামিদের বাড়ির জিনিসপত্র লুটপাট শুরু করেছে বাদী পক্ষের লোকজন বলেও অভিযোগ করেন। মামলার আসামী আশরাফ আলীর স্ত্রী শারমিন আক্তার জানান,আমার স্বামী জেল হাজতে আছে। এই সুযোগে বাদীপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে ঘরের সবকিছু নিয়ে গেছে। আসামি বাবর আলীর স্ত্রী শিউলি খাতুন জানান, বাদীপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে আমাদের দুইটি পুকুরের সব মাছ মেরে নিয়ে গেছে। মামলার অপর আসামি মো.রফিকের স্ত্রী মোছা .রাশিদা খাতুন বলেন, গত রাতে আমাদের বাড়িতে এসে বাদীপক্ষের লোকজন একটি হোন্ডা সহ ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় গোহাইলঘর থেকে ৫টি গরুও লুট করে নিয়ে যায় । এখন আমাদের কিছুই নেই। ঘরবাড়ি, সংসার সব শেষ হয়ে গেছে। হত্যা মামলার আসামি আব্দুল কাদেরের স্ত্রী বিলকিস আক্তার জানান, স্বামী বাড়িতে নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে আমরা বাড়িতে খুব ভয়ে থাকি। প্রতিনিয়ত বাদীপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিন গেলে দেখা যায়, কয়েকটি বসতঘর খালি পড়ে আছে। বাড়ির লোকজন, গৃহস্থালি সামগ্রী কিছুই নেই। যেসব বাড়িতে লোকজন আছেন তাদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। সুজানগর থানার ওসি আব্দুল হানানন জানান, যেসব বাড়িতে লোকজন ছিল না তাদের ডেকে আমরা বাড়িতে দিয়ে আসছি। গবাদি পশু লুট সহ অন্যান্য দিক দিয়ে কেহ ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। । উল্লেখ্য পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের জিয়ালগাড়ী ভবানীপুর গ্রামে সোমবার দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নিহত ও উভয়পক্ষে অন্তত ১০জন আহত হন। এ ঘটনায় নিহত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জুবায়ের তাঁর পিতা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ২৪ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার সকালে সুজানগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপরপরই মামলার প্রধান আসামি সহ ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। মামলার অপর আসামিদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত রেখেছে সুজানগর থানা পুলিশ।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।