December 26, 2024, 12:35 pm
এইচ,এম রাজিব
আমন ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত সময় শ্রাবণ মাস। কিন্তু শ্রাবণ ও আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও হয়নি ভরা মৌসুমের বৃষ্টি। অনাবৃষ্টিতে আমন ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে শালিখা উপজেলার আমন ধান চাষীরা। ভরা মৌসুমের বৃষ্টির আশায় কৃষক স্বপ্ন দেখে আমন ধান চাষের কিন্তু প্রকৃতির নির্ভর হওয়ায় কৃষকের সেই স্বপ্ন বৃথা হতে যাচ্ছে। তীব্র খরার ফলে ফেটে যাচ্ছে ফসলের মাঠ নষ্ট হচ্ছে আমনের চাষ।
শালিখা উপজেলার আমন ধান চাষীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, লোডশেডিং এর ফলে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচ দিতে পারছি না। তেল ও সারের দাম বৃদ্ধি থাকায় আমন ধান চাষ করে আমরা লাভবান হতে পারবো না । আমন ধান চাষে আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়। কিন্তু এবার আষাঢ়, শ্রাবণ ভাদ্র মাস পার হয়ে যাচ্ছে তবুও বৃষ্টির মুখ দেখতে পারছি না। প্রখর খরার তাপে শুকিয়ে যাচ্ছে জমি। বার বার সেচ দিয়ে দিশেহারা হতে হচ্ছে । লোডশোডিং এর ফলে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচ দিতে পারছি না। মেশিনের সেচ পদ্ধতি ব্যাবহার করবো কিন্তু তেল দিয়ে চাষ করে আমাদের লোকশান গুনতে হবে। ইউরিয়া সারের দাম আগে একহাজার টাকা বস্তা কিনতাম কিন্তু বর্তমানে চৌদ্দশত টাকা বস্তা কিনতে হচ্ছে। বেশি দাম দিয়েও ঠিকমতো সার কিনতে পারছি না। সবকিছুর দাম বৃদ্ধি হলেও কখনও নায্যমুল্য পায়না কৃষক।
উপজেলার ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের ছানি আড় পাড়া গ্রামের আমন ধান চাষী মোঃ সোহরাব মীরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এবার বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমন ধান চাষ নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। একদিকে লোডশেডিং অন্যদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি নেই বৃষ্টি ফসলের মাঠ ফেটে যাচ্ছে। আমন ধানে ঠিকমতো সেচ দিতে পারছি না। এই আমন ধানের চাষটা আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়ে করি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন জানান, শালিখা উপজেলায় আমন ধান চাষে বেশির ভাগই কৃষক প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হয়। কিন্তু এবার প্রকৃতির আর্শীবাদ না থাকায় একটু সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সমস্যা সমাধান করতে ইঞ্জিন চালিত মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিতে হবে। এবছরে শালিখা উপজেলায় আমন ধানের চাষ হয়েছে মোট ১৩,৮৫০ হেক্টর জমিতে। আশা করি, এবার আমন ধানের ফলন ভালো হবে।