বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সব নদ নদীর পানি বৃদ্ধি বানারীপাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বানারীপাড়া উপজেলার সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তিন উপজেলার কঁচা, সন্ধ্যা আর কালি গঙ্গা নদীর পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় ওই তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের জমিসহ বাড়ীঘর।খবর নিয়ে জানা যায় স্বরূপকাঠি-পিরোজপুর সড়কে স্বরূপকাঠি ও কাউখালীর বিভিন্ন স্থানেও পানি উঠে গেছে। অভ্যন্তরীন অনেকগুলো সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার নিম্নাঞ্চলের সবগুলো সড়কসহ অসংখ্য বাড়ী ঘরে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সন্ধ্যা নদীর ফেরিঘাটের দুই পাড়ে গ্যাং ওয়ে পানিতে ডুবে গেছে। বিঘ্নিত হচ্ছে ফেরি চলাচল। অপর দিকে শনিবার রাত থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে মুসলধারে বৃষ্টির কারনে জনজীবন অতীষ্ট হয়ে পড়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে বানারীপাড়া উপজেলার বিলাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছেঅনেক সড়কে ও বাড়ীর আঙ্গিনা পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলার অভ্যন্তরীন সব রাস্তার ওপর হাটু পানি। নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ী ঘরে পানি ওঠে পড়েছে। সলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের খেজুর বাড়ি এলাকার সহকারী শিক্ষক সাবিনা জানান পৌরসভার রাস্তা হয়ে খেজুরবারি সড়কের বিদ্যালয় থেকে ধাড়ালিয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব রাস্তা গুলি পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বানারীপাড়া ফেরিকেটের স্ট্যান্ডারড ওয়ার্কশপের প্রোপাইটার খোকন আহমেদ বলেন ফেরিঘাট থেকে শুরু করে থানার মোড় বানারীপাড়া সদর রোডে প্রধান প্রধান কয়েকটি সড়ক অলিগালি এবং হাই স্কুলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে।
বানারীপাড়া উপজেলার বিলাঞ্চল বিশারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান তার ইউনিয়নের জাইকা সড়ক বাদে সব রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মৃধা জানান ওই ইউনিয়নের শতকরা ৭৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মাছের ঘের নিয়ে চাষীরা পড়েছে মহা সমস্যায়। পানি বৃদ্ধির যা গতি তা অব্যহত থাকলে বেশির ভাগ ঘের পানিতে ডুবে যাবে। সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমান জানান, মহিষাপোতা স্কুলের মাঠ ও সড়কসহ ইউনিয়নের সবগুলো সড়ক এখন পানির নিচে।এ সম্পর্কে বানারীপাড়া উপজেলার নির্বাহি অফিসার রিপন কুমার সাহা বলেন, বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সন্ধ্যা নদীর পানি জোয়ারে বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পানি প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমি কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছি।

আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি।।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *