December 26, 2024, 11:54 am
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উপজেলার চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পায়তারা করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী ও অভিভাবক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমানের মাধ্যমে কয়েকদিন পুর্বে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে তফসীল ঘোষণার পরে অভিভাবক আব্দুল কুদ্দুস অভিভাবক সদস্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন এবং জামানত বাবদ ৫হাজার টাকা জমা দেয়ার দুই একদিনের মধ্যেই তিনি অভিভাবক সদস্য প্রার্থী থেকে লিখিতভাবে প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমানের সহযোগিতায় আব্দুল কুদ্দুস প্রভাব খাটিয়ে এমপি ডিও লেটারের নামে বিধিমালা বহির্ভূত করে অতি গোপনে বিদ্যালয়ের বিদুৎসাহী সদস্য হয়েছেন। এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সু-কৌশলে পরিকল্পিতভাবে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য তফসীল ঘোষণা এবং হঠাৎ করেই (১৭আগষ্ট) কমিটির নির্বাচন নির্ধারণ করেন। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল কুদ্দুস আবেদন করেন এবং তাকেই সভাপতি নির্বাচিত করতে প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে পায়তারা করে আসছেন। উল্লেখযোগ্য আব্দুল কুদ্দুস ইতিপূর্বে অভিভাবক সদস্য পদে প্রার্থীতা প্রতাহার করার পরেও নিয়মনীতি অমান্য করে বিদুৎসাহী সদস্য হয়ে আবারও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে নানাভাবে সড়ষন্ত্র করে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক লুৎফর রহমান লাভলু অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করাসহ তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুলবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিরব রয়েছেন।
সভাপতি প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নি।
চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমান জানান, আমার বিদ্যালয় আমি কিভাবে ম্যানেজিং কমিটি করবো সেটা আমাদের বিষয়।
অভিযোগকরী অভিভাবক সদস্য লৎফর রহমান লাভলু বলেন, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি যাতে বিধি মোতাবেক হয়। সে জন্যই অভিযোগ করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রংপুর শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে না। কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।