February 15, 2025, 5:11 pm
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:
বরিশালের বানারীপাড়ায় যাত্রীবাহী মর্নিংসান -৯লঞ্চ ও ইফতি+রিজভী নামক বালু বোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া নিখোঁজ দুইজনের মধ্যে বাল্কহেডের হেড মিস্ত্রী আবুল কালাম (৫২)র বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদ বাড়ি সংলগ্ন ৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিঃএর সময় সন্ধ্যা নদী থেকে লাশ উদ্ধার হয়। এখনও নিখোঁজ আছে চালক মিলন(৪০).উভয় ব্যক্তিদের ঠিকানা স্বরূপকাঠি নান্দুহার গ্রামের। গতকাল থেকে স্বরূপকাঠির ৪ ডুবুরী উদ্ধার তৎপরতা চালায়।আবির আনোয়ারের নেতৃত্বে লাশ উদ্ধার করে জহিরুল ইসলাম। এছাড়াও গতকাল থেকে বানারীপাড়ার ফায়ার সার্ভিসের আনোয়ার টিম লিডারের নেতৃত্বে নয় জন উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। এদিকে আবুল কালামের লাশ শনাক্ত করেন তার সুমুন্ধী মোঃ ইউসুফ আলী ও তার ভাই মোঃ জামাল । লাশ শনাক্ত কারী উভয়েই সাংবাদিক ও প্রশাসনের কাছে বলেন কালামের পরিবারের অবস্থা খুবই অসচ্ছল। তার ৩ মেয়ে ১ ছেলে রয়েছে। পরিবারের খরচ চালানোর মত কেউ নেই।তাই আপনারা তার পরিবার কিভাবে থাকতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। এদিকে লাশ উদ্ধারের ঘটনা শোনা মাত্রই তৎক্ষণাৎ ছুটে যান বানারীপাড়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রিপন কুমার সাহা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী,ওসি তদন্ত মোঃ জাফর আহমেদ সহ থানার অনেক কর্মকর্তারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাল্কহেডের মালিক হাবিবুল্লাহ। তাদের উপস্থিতিতে মসজিদ বাড়ীর স্থানীয় জনতা ক্ষোভের সাথে জানান, রাতের আঁধারে বালু কাটার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।তাই আমরা এ ব্যাপারে সঠিক নিয়ম কানুন জানতে চাই। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা বলেন, বিকেল ৫টার পর থেকে কেউ বালু কাটতে পারবেনা ,তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বেআইনী। এরপর ও যদি কেউ নিয়মের বাইরে যায় আমাদের জানাবেন আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এছাড়াও তিনি আরো বলেন লঞ্চ ও বাল্কহেডের দুর্ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য ভান্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ মর্নিংসান_৯ এর সাথে একটি বাল্কহেড জাহাজের সংঘর্ষ হয়ে বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ায় দুজন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। বরিশালের বানারীপাড়ায় ০৮আগস্ট সোমবার মর্নিংসান-৯ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নের কালিবাজার নামক স্থানে একটি বাল্কহেডের সাথে লঞ্চের ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ায় লঞ্চের তলা ফেটে নিচের অংশ ফুটা হয়ে গিয়ে লঞ্চে পানি ঢোকা শুরু করে ।এই অবস্থায় লঞ্চে থাকা যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক শুরু হয়। তৎক্ষণাৎ লঞ্চটি উজিরপুরের চৌধুরীর হাট ঘাটে নোঙ্গর নেয়া হয়।এ বিষয়ে মর্নিংসান লঞ্চের সুপারভাইজার আব্দুল আলিম মুঠো ফোনে ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমরা বানারীপাড়া ছেড়ে যাওয়ার পথে কালিবাজার থেকে একটু সামনে নদীর মাঝ খানে আমাদের মাস্টার একটি বাল্কহেড দেখতে পান । মাস্টাররা মাইকিং করেন ও আলো জ্বালিয়ে সংকেত জানান।কিন্তু বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি আরো বলেন, আমাদের জানা মতে আইন অনুযায়ী বিকেল ৫ টার পর কোন বাল্কহেড নদীতে চলাচল বেআইনী।
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি: