November 12, 2024, 10:48 am
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
ফরেন রেমিটেন্স গ্রাহক সম্মেলনের মাধ্যমে রেমিটেন্স যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়েছে। দুপুরে সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখা ব্যাংক কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও প্রিন্সিপাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. হাশমত আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার ম্যানেজার রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম মতিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন শাখার প্রধানগণ, পঞ্চগড় জেলা থেকে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত রেমিটেন্স পাঠানো ৫০ জন প্রবাসী যোদ্ধা ও পরিবারের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম জানান, গত অর্থ বছরে এই শাখায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা রেমিটেন্স এসেছে। সভা শেষে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠানো রেমিট্যান্স যোদ্ধা তাজিজুল ইসলামের পক্ষে নুর ইসলাম, খাদিজা সরকার লাকি’র পক্ষে সিরাজুল ইসলাম সুজন এবং নিউর্য়ক প্রবাসী ফজলে রাব্বি ও তার পরিবারের সদস্য আনোয়ার হোসেনের হাতে ক্রেস্ট ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।এর আগে জেলা শহরের হাজী ছফিরউদ্দীন আহম্মদ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে বেতন, ভর্তি ফি, পরীক্ষা ফিসহ বিভিন্ন চার্জ আদায় কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এসময় হাজী ছফিরউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরন নাহার ও পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংক কতৃপক্ষ জানায় এই চুক্তির মাধ্যমে ওই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফ্রি ফি কালেকশন সফটওয়্যার, ফ্রি পেমেন্ট গেটওয়ে ইন্টিগ্রেশন, মাত্র ৫ টাকা সার্ভিস চার্জে যে কোন পরিমান ফি পরিশোধ, বিকাশ রকেট’র মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করা , যে কোন ব্যাংকের কার্ড ব্যাবহার করে ফি পরিশোধ সুুবিধা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং ডাটাবেজ মেইন্টেনেন্স খরচ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বহন করবে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাশমত আলী জানান এই চুক্তির মাধ্যমে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের সকল ফি ব্যাংকের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বলে জানান ব্যাংক কতৃপক্ষ। এর ফলে স্কুল কতৃপক্ষের ডাটা এন্ট্রির ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চুক্তিপত্রের পর শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি হলে আগামি এক মাসের মধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের লেনদেন সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে চালু হবে।