December 14, 2024, 6:42 am
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাা (চলতিদায়িত্ব) শরিফুল ইসলামের উন্নয়ন মানসিকতা,বিনয়ী আচরণ এবং মেধা ও কর্ম দক্ষতা দিয়ে কাজ করে উপজেলা মৎস্যখাতে অপ্র্যাশিত সাফল্য অর্জন করেছেন। মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী
ও সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচলিত ধারণা ছিল মৎস্য অফিস মানেই নানা অসঙ্গতি ও অনিয়মের বেড়াজাল। কিন্ত্ত শরিফুল ইসলাম তার কাজের মাধ্যমে সেই প্রচলিত ধারণার পরিবর্তন করে ইতিবাচক ধারণার সৃষ্টি করেছেন। স্থানীয় সাংসদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সার্বিক সহযোগীতা-দিকনির্দেশনায় মৎস্য অফিস থেকে নানা ক্রটি-বিচ্যুতি দুর করে মডেল অফিসে রুপান্তরিত করতে নিরলস ভাবে করে চলেছেন এই কর্মকর্তা। তার বদৌলতে এখন মৎস্য অফিসের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে, গতিশীল হয়েছে কাজ, দুর হয়েছে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি ও ভোগান্তি। উপজেলায় এক সময় মৎস্য উৎপাদনে ঘাটতি ছিল, সেটা দুর হয়ে এখন উদ্বৃত্ত উৎপাদন হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলায় বাৎসরিক মাছের চাহিদা প্রায় ৪ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন, উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার ৫৮৫ মেট্রিকটন এবং উদ্বৃত্ত প্রায় ৩৯৫ মেট্রিক টন। উপজেলায় পোনা মাছের চাহিদা প্রায় ৭৬১ মেট্রিক টন, উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৬৬০ মেট্রিক টন ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১০১ মেট্রিক টন। উপজেলায় মৎস্যজীবী সমিতি রয়েছে ৬টি, মৎস্যচাষী সমিতি ৬০টি, মৎস্য চাষি রয়েছে এক হাজার ১৭৮ জন। এছাড়াও নিবন্ধিত মৎস্যজীবী এক হাজার ৬৭২ জন, মৎস্য আড়ৎ ১৫ টি, বাজার ১৬টি, অভায়াশ্রম ৩টি, ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর রয়েছে ৯৭৯টি, বিল ১টি, নদী ১টি, খাল ১০টি, প্লাবন ভুমি ২টি ফুলহাতা জলকর ১টি, বাজে বড়শো ১টি, কর্ণহার খাড়ি ১টি ও মাসিন্দা জলকর ১টি। এবিষয়ে
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) শরিফুল ইসলাম বলেন, তাদের টার্গেট আগামিতে তানোর উপজেলা মাছ উৎপাদনে দেশের মধ্য মডেল উপজেলা হবে, সেই লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছেন।।