February 15, 2025, 9:01 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
তানোরে ফের গভীর নলকুপ জবরদখলের অভিযোগ নেছারাবাদে জমিজমা বিরো-ধ এর জের ধরে মা-রামা-রি থানায় অভিযোগ থানচিতে সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডু-বে এক শিশু নিহ-ত আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি—মেজর জেনারাল (অব:) ড. মনিরুল ইসলাম আখন্দ টঙ্গীবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত বি-রোধের জেরে হামলায় উভয় পক্ষের ৭ জন আহত পাবনা-২ আসনে অধ্যাপক হেসাব উদ্দিনকে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে হবে-হাবিবুর রহমান রাজশাহীতে দায়িত্ব পালন করার সময় এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃ-ত্যু পাইকগাছায় সপ্তদ্বীপার ২৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও সম্মাননা প্রদান পাইকগাছায় তরমুজ চা‌ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা
বরগুনার তালতলীতে মিটার খুলে নেবার ১৫ বছর পরে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল

বরগুনার তালতলীতে মিটার খুলে নেবার ১৫ বছর পরে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল

মংচিন থান তালতলী( বরগুনা) প্রতিনিধি।।
বরগুনার তালতলীতে সিডরে বিধ্বস্ত হওয়া পল্লি বিদ্যুতের একটি মিটার অফিসে খুলে নেওয়ার ১৫ বছর পরে নতুন করে ১লাখ ৮৫ হাজার ৮৪১ টাকা বিল করেছে কলাপাড়া জোনাল অফিস। তালতলীর ছোট ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মিটারের মূল মালিকের মৃত্যু হওয়ায় তার ছেলের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে বকেয়া বিল যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামের বৃদ্ধ আদম আলী গ্রামের রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি মুদি দোকান চালাতেন। তিনি দোকানে নিজ নামে পল্লি বিদ্যুতের একটি মিটার (হিসাব নাম্বার ৩৭৪-২২০৫) নেন।

বার্ধক্যজনিত কারণে ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর তিনি মারা যান। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে তার দোকান ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এতে পল্লি বিদ্যুতের লোকজন বিধ্বস্ত হওয়া মিটারটি খুলে নিয়ে যায়।

কিন্তু মিটার খুলে নেওয়ার ১৫ বছর পর মৃত আদম আলীর ছেলে আনসার আলীর চলতি জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে তার বাবার বকেয়া এক লাখ ৮৫ হাজার ৮৪১ বিদ্যুৎ বিল যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সরেজমিন গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, বৃদ্ধ আদম আলীর মৃত্যুর ২-৩ বছর পরে ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত স্থানীয় এনায়েত করিমের ছেলে এনামুল করিম ওই দোকানের অদূরেই রাস্তার পূর্বপাশের সারিতে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার গ্যারেজ ব্যবসা চালু করেন।

তিনি বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় আদম আলীর নামের ওই মিটারের স্থান পরিবর্তন করে রাস্তার পূর্বপাশের খাম্বা থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার ব্যবসা খোলেন।

পরে দেনায় জর্জরিত হয়ে ২০১৮ সাল থেকে এনামুল করিম এখন গাঢাকা দিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে বর্তমানেও তার ওই গ্যারেজ ঘরে বিদ্যুতের মিটারটি লাইনচ্যুত অবস্থায় লাগানো রয়েছে।

আনসার আলী বলেন, আমার বাবা ১৯৯৮ সাল থেকে ছোট মাকে নিয়ে দোকান ঘরের পেছনেই আলাদা থাকতেন। আমরা তিন ভাই আলাদা সংসারে বসবাস করতাম। ২০০৬ সালের ১০ নভেম্বর বাবা মারা যান।

২০০৭ সালে সিডরের বন্যা হওয়ার কারণে বাবার দোকানঘর ভেঙে যায়। এর কিছু দিন পরই বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে মিটারটি খুলে নিয়ে যায়। এখন বিদ্যুৎ অফিসের লোকেরা কাকে মিটারটি দিয়েছে জানি না।

আমরা তিন ভাই নিজ নামে মিটার এনে ব্যবহার করছি। এনামুল করিমের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

পল্লি বিদ্যুতের কলাপাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সজিব পাল বলেন, আদম আলী মারা যাওয়ার কারণে তার নামের বিদ্যুৎ বিল ওয়ারিশ সূত্রে ছেলে আনসার আলীর নামে দেওয়া হয়েছে।
এনামুল করিম যদি আদম আলীর মিটার অবৈধভাবে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD