April 19, 2025, 7:45 am
মোঃ বাবুল হোসেন,পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এক স্বামী। এমন ঘটনায়পঞ্চগড় সদর থানায় অভিযোগ করেছেন স্বামী পৌর এলাকার রাজনগর গ্রামের সাঈদ হোসেন দিদার । অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে স্ত্রী তাসমিনা আক্তার তামান্না স্বামী দিদারকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিদারের স্ত্রী, শশুর, শাশুড়ি এবং শ্যালক মিলে তাঁকে ঘরের ভেতরে আটকে চেয়ারের সাথে বেঁধে মারধর করেন । পরে ট্রাংকে রাখা চার লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান তারা। দিদার একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরী করেন । ওই কোম্পানীর কিস্তির টাকা ট্রাংকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি। অভিযোগে আরও জানাযায় স্ত্রীর চাপে পরে নিজের বাড়িতে না থেকে সদর উপজেলার জগদল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ৪ বছরের এক সন্তান সহ বসবাস করছেন তিনি।ঘটনার দিন তার ছেলে মোবাইলে ভিডিও দেখছিলো। ভিডিও দেখতে বারন করতে গিয়ে তিনি ছেলেকে ধমক দেন। এ নিয়ে প্রথমে স্ত্রী তাঁকে মারধোর শুরু করেন । এসময় মেহমান খেতে আসা শাশুড়িও মারধোর শুরু করেন। পরে স্ত্রী তার বাবা এবং ভাইকে ফোন করেন । একটু পরেই শশুর তেঁতুলিয়া থানার ভজনপুর ইউনিয়নের ভেলুপাড়া এলাকার তবিবর রহমান এবং শ্যালক তরিকুল ইসলাম তারেক বাড়িতে আসেন । তারা দুজনে ঘরের ভেতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন । তারা সবাই মিলে দিদার কে ধরে চেয়ারের সাথে বেঁধে ফেলেন এবং লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। দিদারের চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। এবং তারা উদ্ধার করে তাঁকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন । জরুরী বিভাগে প্রার্থমিক চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক নকিবুল প্রধান এ্যাপোলো জানান, চিৎকার চেচামেচি শুনে আমি ছুটে যাই। দিদারের শশুর আমাকে থাকতে দেয়নি। তিনি আমাকে পারিবারিক ঘটনা বলে জানান। স্ত্রী তাসমিনা জানান, দিদার আমাকে এবং আমার মাকে মারধোর করে । তখন আমি বাবা এবং ভাইকে খবর দেই। তারা আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। টাকা পযসা কোন কিছুই আনিনি। শশুর তবিবর রহমান জানান মারধোরের ঘটনা সত্যি নয়। ওই ছেলে আমার মেয়েকে সবসময় নির্যাতন করতো। তাই মেয়েকে নিয়ে এসেছি।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে । দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।