July 27, 2024, 12:52 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পাইকগাছায় ৪ দলীয় নক আউট ফুটবল টূর্ণামেন্টের উদ্বোধন শীঘ্রই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারবো আমরা – মোংলায় নৌবাহিনী প্রধান লাখো মুসল্লির জানাজা শেষে ছারছীনা শরীফের পীর সাহেবের দা*ফন সম্পন্ন পানছড়িতে মা মনসা পুঁথি পাঠের আসর জমে উঠেছে গোপাল হাজারীর বাড়িতে কোট বি*রোধীদের উপর হাম*লার প্রতি*বাদে ঝিনাইদহে ছাত্রদলের বিক্ষো*ভ নবাগত গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন যুবলীগ সভাপতি তানোরে বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন নড়াইল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র পৌর মেয়র আনজুমান আরা সভাপতি নির্বাচিত বাংলাদেশ জমইয়াতে হিজবুল্লাহর নায়বে আমীর হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহর ইন্তে*কাল ধামইরহাটে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামানের গাছ রোপন
কুড়িগ্রামে স্বাধীনতা বিরোধীর সড়ষন্ত্রে শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ

কুড়িগ্রামে স্বাধীনতা বিরোধীর সড়ষন্ত্রে শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ

এম এস সাগর,

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী (চওড়াবাড়ী) এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধী (নিষিদ্ধ জামায়াত)’র সড়ষন্ত্রে “শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ প্রদান। উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা। কিন্তু তারপরেও শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ দিচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধীরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৫৬সালে ২একর ৩২শতক জমিতে স্থাপিত হয়ে সু-নামের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। উপজেলার ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ জমি অত্র প্রতিষ্ঠানে। অপরদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদের স্মরণে সরকারী নির্দেশক্রমে প্রতিটি বিদ্যালয়ের ন্যায় শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা বেগম প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করা মাত্র শিমুলবাড়ী (চওড়াবাড়ী) এলাকায় স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীর সাবেক আমির সামছুল হক তার পুত্র কায়ুম মিয়া ও মাদক মামলার আসামী সফিকুল ইসলাম সড়ষন্ত্র করে স্থানীয় যুব-তরুণদের উস্কিয়ে দিয়ে “শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ প্রদান করে আসছে।

শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৯জুন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের মাঠ মেপে খেলার মাঠ ঠিক রেখে পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রধান শিক্ষক কে নির্দেশ প্রদান করেন। তারপরেও উক্ত স্বাধীনতা বিরোধীরা সরকারী নির্দেশনা কে বৃদ্ধাঙ্গালী দেখিয়ে আবারও শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে বাধাঁ প্রদান করছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম নষ্টসহ শিক্ষকদের হেনস্তা করার পায়তারা চালাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, আশেপাশের বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার থাকলেও আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নাই। তার কারণে জাতীয় দিবসে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারি না।

অভিভাবকরা জানান, স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীরা বারবার শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ প্রদান করছে। অতি দ্রুতই শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি তাদের।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু হলেও স্থানীয় কিছু মৌলবাদী ছেলেরা বারবার শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ প্রদান করে আসছে। শহীদ মিনার মানেই স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদের স্মরণ করা।

শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির দাতা সদস্য নজির হোসেন জানান, এলাকার জামায়াত শিবিরের ছেলেরা শহীদ মিনার নির্মাণে বারবার বাধাঁ প্রদান করছেন।

শিমুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমা বেগম জানান, সরকারী নির্দেশনা মতে বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করলে এলাকার কতিপয় কিছু ছেলে নির্মাণ কাজে বাধাঁ দেয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তা কে অবহিত করায় তারা জন-প্রতিনিধিদের নিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করেন। তারপরেও নির্মাণ কাজ বন্ধ।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, শহীদ মিনার বারবার নির্মাণে বাধাঁর বিষয়টি জেনে উপজেলা প্রশাসন সহ বিদ্যালয়ে যাই এবং মাঠ মেপে পতাকা স্ট্যান্ডের পাশে শহীদ মিনারের জায়গা নির্ধারণ করি। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক কাজ শুরু করলেও আবারও শহীদ মিনার নির্মাণে বাধাঁ আসে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। শহীদ মিনার নির্মাণের বিধাঁ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD