January 2, 2025, 11:08 pm
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কর্তৃক প্রতিবেশী ছোট ভাইয়ের মেয়েকে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতারী গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতারী গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন (১৬)’র আট মাস আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী গ্রামের জাহানুর ইসলাম (৩০)’র সাথে। জাহানুর ঢাকায় থাকার সুবাদে আয়েশা তার বাবার বাড়িতেই থাকতো। বাবার বাড়িতে থাকাকালীন প্রতিবেশী বড় চাচা রেজাউল ইসলাম রেজার (৩২) এর লালসার শিকার হন। রেজাউল ইসলাম রেজা ওই গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে এবং ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক। এ ঘটনায় আয়েশা খাতুনকে গতকাল শুক্রবার ডিভোর্স দিয়েছে স্বামী জাহানুল ইসলাম। ডিভোর্সের পরে ১৬জুলাই বিকেলে রেজাউলের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলে রেজাউলের বাড়ির লোকজন গলা ধাক্কা দিয়ে তাকে বের করে দেয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে ফুলবাড়ী থানায় যাওয়ার পথে স্থানীয় দেওয়ানী বিষয়টি ফয়সালা করে দেয়ার কথা বললে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেয় আয়েশা খাতুন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি গ্রাম পুলিশ আমিনুল ইসলামের বাড়িতে রয়েছে।
আয়েশা খাতুনের মাতা আরজিনা বেগম জানান, আমার মেয়েটির যে জায়গায় বিয়ে হয়েছিল সেখানে সুখের সংসার করছিল। কিন্তু লম্পট রেজাউল আমার মেয়েটাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার অজান্তে আমার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করে পেটে বাচ্চা এনেছে। এ ঘটনায় জেনে আমার জামাই আমার মেয়েটাকে ডিভোর্স দিয়েছে। এখন আমার মেয়ের পেটে দেড় মাসের বাচ্চা এ বাচ্চার পরিচয় কি হবে? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আয়েশা খাতুনের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, আমি গরিব মানুষ অতি কষ্টে আমার মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি, কিন্তু রেজাউল আমার মেয়েটির এই সর্বনাশ করল আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আয়েশা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল আমাকে বিভিন্ন ধরনের উত্ত্যক্ত করত। আমি বাড়িতে থাকা অবস্থায় আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার সাথে জোরপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক করে। যার ফলে রেজাউলের সন্তান এখন আমার পেটে আমিও এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামের।মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় মেয়েটিকে তার স্বামী তালাক দিয়েছে। সংশ্নিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ও অভিযোগও পাইনি।