February 15, 2025, 7:38 am
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ মহামারী আকার ধারণ করেছে। জন-প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় একের পর এক হচ্ছে বাল্যবিয়ে। সরকারী-বেসরকারী সকল উদ্যোগই যেন ভেস্তে যাচ্ছে সঠিক আইনী প্রদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে। উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ করেও মিলছে না বাল্যবিবাহ প্রতিকার।
১২জুলাই বড়ভিটা ইউনিয়নের পুর্ব ধনিরাম গ্রামের নুরনবী মিয়ার কন্যা ও বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষাথী খুশি খাতুনের সাথে ঘোগারকুটি গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র ও বড়ভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষাথী বুরহান আহাম্মদ সজিবের জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ১৫জুলাই বড়ভিটা ইউনিয়নের কৈয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের কন্যা ও বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনী ছাত্রী খালেদা আক্তার খুশি খাতুনের সাথে বালাটারী (সুফিয়ার মোড়) গ্রামের মনসুর আলীর পুত্র আব্দুর রশিদের বড়ভিটা ইউনিয়নের আলতাফ সেক্রেটারির বাড়িতে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ঘোগারকুটি গ্রামের সৈয়দ আলী বলেন, বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুর মদদে আমার বাড়িতে খুশি খাতুনকে নিয়ে এসে আমার পুত্রের সাথে জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ দেন। আমি প্রশাসনের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। বরং চেয়ারম্যান আমাকে হুমকি দিয়েছেন। বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কারণে ইউনিয়নে বাল্যবিবাহের হিড়িক পড়েছে।
কৈয়া পাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু ছেলে পক্ষে সহযোগিতা করে আমার নাবালক কন্যা খুশি খাতুনকে বড়ভিটা ইউনিয়নের আলতাফ সেক্রেটারির বাড়িতে আটকে রেখেছে। আমরা সেখানে মেয়ে নিতে গেলে ছেলের বাবা আমাদের খুব মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। আমরা চেয়ারম্যান সহ অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচার চাই।
বড়ভিটা ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি জানান, আতাউর রহমান মিন্টু চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নে বাল্যবিবাহের হিড়িক পড়েছে। তার অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে হুমকি ও মারধরের শিকার হতে হয়। সংশ্নিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে নি।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের মাধ্যমে মোবাইল কোট করতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমদ দাস বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।