November 5, 2024, 2:55 am
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে আগামি ১৫ জুলাই শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ঘিরে
রাজশাহী-১আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী চেম্বার অবকমার্সের সাবেক সভাপতি, সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক এবং সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী জননেতা আলহাজ্ব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে বিতর্কিত করতে তার
বিরুদ্ধে ফের মানহানিকর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত খবর প্রচার করা হয়েছে। আবার বিতর্কিত ও চিহ্নিত একই সোর্সের বরাত দিয়ে একই গণমাধ্যমে একই গণমাধ্যম কর্মী এই জঘন্য অপকর্ম করেছেন।এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্রক্ষোভ ও অসন্তোসের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। অন্যদিকে দেশের দায়িত্বশীল একটি গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীকে
নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে, প্রশ্ন উঠেছে তাদের দায়িত্বশীলতা নিয়েও, বইছে মুখরুচোক নানা গুঞ্জন। সুত্র বলছে, জনগণের সরাসরি ভোটে একটানা তিনবারের নির্বাচিত একজন সম্মানিত সাংসদকে নিয়ে অর্থের বিনিময়ে এমন মানহানিকর ও মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রচার দন্ডনীয় অপরাধ। জনগণের সরাসরি ভোটে তিনবারের নির্বাচিত একজন জনপ্রিয় জনবান্ধব সাংসদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যক্তি বিশেষের কথায় খবর করা যায়, অবশ্যই লিখিত তথ্য প্রমান থাকতে হয়। সেটা কি ওই সাংবাদিকের কাছে আছে ? থাকলে সেটা প্রচার করুক সমস্যা কি ?
অন্যদিকে এই মিথ্যা ও বানোয়াট খবরের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে এবং অভিযুক্ত সাংবাদিককে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ি ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজার নেতৃত্বে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষগণ স্থানীয় সাংসদকে ইদ শুভেচ্ছা জানাতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যায় এবং তাদের অভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে তারা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এ সময় সাংসদ তাদের শান্ত করেন।
অথচ এই ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে
একটি গণমাধ্যমে “সবার সামনে অধ্যক্ষকে ১৫ মিনিট ধরে পেটালেন এমপি” শিরোনামে খবর প্রকাশ করা হয়। সংবাদিক সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, প্রকাশিত খবরে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এমনকি কলেজের সভাপতি, শিক্ষক-কর্মচারী এমনকি শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে কিছুটা গ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্ত্ত তারা কেউ জানলো না, জানলো কে শহরে থেকেও জেলার সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ যিনি ঘুম থেকে উঠে ঘুমানো পর্যন্ত এমপিকে নিয়ে বিষোদাগার করেন। এমনকি শহীদ পরিবারের সন্তান এমপিকে রাজাকার পুত্র বলতেও যিনি দ্বিধাবোধ করেন না।
এতেই পরিস্কার ঘটনা সম্পুর্ন সাজানো মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলেই প্রমাণ হয়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, সাংসদের হাতে নির্বাচনী এলাকার সকল প্রশাসন, রয়েছে লাখো নেতা ও কর্মী-সমর্থক তিনি চাইলে একজন অধ্যক্ষকে যেকোনো সময় যেকোনো শাস্তি দিতে পারেন, তাহলে তিনি অধ্যক্ষকে পেটাবেন কেনো এটা তো বদ্ধ পাগলেও বিশ্বাস করবে না, তাহলে ওই সাংবাদিকের মাথায় এটা আশলো না কেন ? প্রশ্ন হলো এমপির রাজনৈতিক কার্যালয় শহরের নিউ মার্কেট এখানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার শতশত মানুষের সমাগম ঘটে। সেখানে এমপি হকিস্টিক দিয়ে
১৫ মিনিট ধরে একজন অধ্যক্ষকে পেটালেন এটা কি কারো চোখে পড়বে না, কেউ জানবে না ? এটা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য। যেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে কখানোই এমন ঘটনা ঘটেনি, সেখানে আসাদ কি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এমন কথা বললেন, তার কাছে কি কোনো তথ্য প্রমাণ রয়েছে না নাই। আসলে কর্মী-জনবান্ধব একজন সাংসদকে বিতর্কিত করতেই উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন যার কোনো ভিত্তি নাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজাবাড়ি ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ শামিম রেজা বলেন, গত ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার তারা কয়েজজন অধ্যক্ষ এমপি মহোদয়কে ইদ শুভেচ্ছা জানাতে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিত্ত তাদের অভ্যন্তরীন কিছু বিষয়ে তারা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এমপি মহোদয় তাদের শান্ত করেন। তিনি বলেন, এমন মানহানিকর মিথ্যা খবরের জন্য তারা অধ্যক্ষ সমাজ ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ-সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, কলেজ অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে আমার চেম্বারে তারা অনেকেই এসেছিল। নিজেরা কথা-কাটাকাটি শুরু করলে আমি গিয়ে তাদেরকে থামাই।