পঞ্চগড়ে টুংটাং শব্দে ব্যস্ত কামারেরা

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
মুসলিম উম্মাহর আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা কুরবানীর ঈদ সবকিছু কেনা শেষে আমাদের কামারপট্টি তে আসছে গ্রহীতারা
সারাবছর গুটিকয়েক দা, ছুরি বিক্রি ও শাণের কাজ পাই। দোকান ভাড়া, আনুষাঙ্গিক খরচ দিয়ে লোকসানে থাকতে হয়। এ লোকসান পোষাতে কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকি।

কোরবানির ঈদ আসলেই আমাদের ব্যবসা চাঙা হয়। ’ বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই ) পঞ্চগড় শহরের কামারপট্টি টুংটাং শব্দে ব্যস্ত কামারেরা দা-বটিতে শান দেওয়ার ফাঁকে কথাগুলো বলছিলেন ।

তিনি বলেন, বাবু কোরবানির জন্য তৈরি করা দা, ছুরি, বটি, ধামা বিক্রি এবং পুরনো দা, ছুরিতে শাণের আয় দিয়ে সারাবছর জীবিকা নির্বাহ করি। গত কোরবানে ভালো টাকা আয় করেছিলাম। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শুধু , দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মতো কামাররা।

ঈদ উপলক্ষে , পঞ্চগড় জেলার , পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে , , , ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন কামারের দোকানে গ্রাহকের আনাগোনা বেড়েছে। কামাররাও দা, বটি, ছুরি, ধামাই শাণ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।দোকানের বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছেন নতুন দা, ছুরি, বটি।

মানভেদে নতুন দাম নির্ধারণ করেছি অর্ডার সামাল দিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা লোহা কিনে এনেছি। সান দেওয়ার যন্ত্রে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে বাড়তি কয়লা ও হাতল। কোরবানির আয়ে আমাদের সারাবছর চলতে হয় বিধায় গ্রাহকের চাপ সামাল দিতে সবধরনে

কায়সার আলম এক গ্রাহক জানান,গত বুধবার চাঁদ দপেক্ষে কোন দিন কোরবান তা ঠিক হবে। ইতিমধ্যে পঞ্চগড় গরুর বাজারে গিয়েছিলাম। এখনো গরু কেনা হয়েছে । এ ফাঁকে কোরবানির জন্য বাসায় থাকা দা, ছুরি ও বটিগুলো শাণ দিতে নিয়ে এলাম। দা শাণ করাতে ২০ টাকা, ছুরি ১৫ টাকা, বটি ৩০ টাকা করে নিচ্ছে কামাররা।
হাড়িভাসা ইউনিয়নের হাড়িভাসা বাজারে কবি শাহজামাল সরকার এ পেশায় নিয়োজিত আছেন তিনি বলেন প্রচুর গরমের মধ্যেও বেঁচে থাকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে
কোরবানি ঈদের অপেক্ষায় থাকি সারাবছর। এই কোরবানির আয় দিয়েই বছরজুড়ে কোনমতে আমাদের সংসার চলে। কাঁচা লোহা আগুনে পুড়িয়ে দা, ছুরি, বটি বানাতে হয়। দিনদিন লোহার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছি

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *