March 18, 2025, 1:28 pm
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় কুরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে একটি ২৭ মন ওজনের ষাঁড় গরু। খামারি ভালোবেসে গরুটির নাম রেখেছেন ‘কালু’। নাম ধরে ডাকলে সাড়াও দেন গরুটি। কালুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- কেউ তার দাঁত দেখতে চাইলে মাথা উচিয়ে দাঁত দেখায় সে।
সম্প্রতি সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া গ্রামের মোকাম্মেল প্রধানের খামারে গিয়ে দেখা মিলে এই ষাঁড় গরুটির। খামারে বিক্রি উপযোগী আরও ৪০টি গরু থাকলেও কালুই সেরা।
খামারে গিয়ে দেখা যায়, কালুর পরিচর্যায় ব্যস্ত মোকাম্মেল প্রধান এবং তার ছোট ভাই মনির প্রধান। তাদের সঙ্গে বেশ সখ্যতা কালুর। তাদের কথা মত নড়াচড়া করে কালু, দেখতে চাইলে সে দাঁত বের করে দেখায়।
খামারি জানান, মাত্র ৮ মাস আগে আড়াই লাখ টাকায় কিনেন কালুকে। উদ্দেশ্য মোটাতাজা করে কুরবানীর ঈদে বিক্রি করবেন। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে এলেও কেউ এখনো কাঙ্খিত দাম বলেননি। ৬ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
গরুর দেখভাল করেন মনির প্রধান। তিনি বলেন, কালু এখন আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যে কারণে প্রতিদিন লোকজন দেখতে আসে। তাকে বিক্রি করলে একটু খারাপও লাগবে আমাদের। তারপরও চাচ্ছি ভালো দামে বিক্রি করতে। কারণ, তার পিছনে দৈনিক ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
খামারি মোকাম্মেল প্রধান বলেন, শখের খামার এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। খামারের সবচেয়ে বড় গরু কালু। কুরবানী ঈদে বিক্রির জন্যই তাকে মোটাতাজা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যে দাম বলছে, সে দামে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবছর খামার থেকেই বাইরের ব্যবসায়ীরা এসে গরু কিনেন, এজন্য কালুকে হাটে তুলিনি। এবার খামারে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসতেছেনা। আর স্থানীয়রা আসলেও সঠিক দাম বলছেনা।
প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় এ বছর কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৭৯টি পশু। এর বিপরীতে কোরবানির যোগ্য পশু প্রস্তত রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২টি। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪১ হাজার ২৮০টি, এবং ছাগল-ভেড়া ৯৩ হাজার ৯৯২ টি।