November 5, 2024, 6:35 am
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়ঃ
পঞ্চগড়ে নদীতে পাথর তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া লিনজু (১৭) নামে কিশোরের লাশ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার বিকেল চারটার দিকে করতোয়া নদীর আহম্মদনগড় এলাকায় ওই কিশোরকে অনেক খোঁজাখুজির পর লাশ পাওয়া যায়। একদিন পর নিখোঁজ হওয়ার প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নদীর কিনারে লিনজুর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। নিহত কিশোরের বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভার নিমনগড় খালপাড়া গ্রামে সে ওই গ্রামের শ্রমিক সাবেদ আলীর ছেলে। এর আগে গতকাল বিকেল চারটার দিকে বাড়ির পাশে করতোয়া নদীতে পাথর তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় লিনজু।
স্থানীয়রা জানান সাবেদ আলীর পরিবারে অভাব অনটনের কারনে ছোটবেলা থেকেই শ্রমিক হিসেবে কাজে করে আসছিল লিনজু। যে দিনগুলোতে শ্রমিকের কাজ পায়না সেইদিনগুলোতে নদীতে পাথর উত্তোলন করেছিল লিনজু। বাবা সাবেদ আলী দ্বিতীয় বিবাহের কারনে লিনজু তার মামার বাড়িতে বসবাস করছিল। গতকাল রোববার বিকেলে নিত্যদিনের মত লিনজু বাড়ির পাশে করতোয়া নদীতে জাল দিয়ে পাথর তুলতে যায়। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সন্দেহ হলে তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হলে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা লিনজুকে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু রাতভর পর্যন্ত লিনজুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সোমাবার বিকেলে পৌরসভার আহম্মদনগড় এলাকার পঞ্চগড় সুগার মিলের ড্রেনের সামনে নদীর কিনারে লাশ ভেসে থাকতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পরিবার প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় উদ্ধার করে নৌকাযোগে বাড়ির সামনে নিয়ে আসা হয় লিনজুর মরদেহ।
নিমনগড় খালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান জানান লিনজু মৃগি রোগে আক্রান্ত ছিল। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর লিনজুর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করতে চেস্টা করেছিল। তবে লিনজুর নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার তুষার কান্তি রায় জানান নদীতে নিখোঁজের খরব পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ডুবরি দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। সোমবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত রংপুর থেকে আসা চার জন ডুবরী লিনজুকে উদ্ধারে কাজ করেছিল কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। সোমবার বিকেলে আহম্মদনগড় এলকার স্থানীয়রা নদীতে লিনজুর লাশ ভেসে থাকতে দেখতে পায়। পরে লিনজুর মরদেহ উদ্ধার হয়।