Blog

  • রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

    রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকল্প একনেক সভায় উঠেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা স্থায়ী ক্যাম্পাস লাগবে এ ব্যাপারে কারোরই কোন দ্বিমত নেই। শুধু এখানে এসে দেখা যে জায়গাটা আসলে কেমন, কতটুকু উপযোগী।

    আজ (১৬ জুন) সোমবার দুপুরে উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ি এলাকার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন। এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের জন্য একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, বরাদ্দ ৫শ’ কোটি বেশি নাকি কম, কাজ শুরু হলে আরও পাওয়া যাবে কি যাবেনা তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে তিনি যেহেতু দাপ্তরিক ভাবেও পরিবেশ নিয়েই কাজ করছেন; তাই চলনবিল অধ্যুসিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মানের উপর গুরুত্ব দেন।

    এর আগে এদিন ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ১০ টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ এসে পৌছান। এসময় তাকে স্বাগত জানান রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর তিনি বাঘাবাড়ি ঘাট থেকে বড়াল নদী পাড়ি দিয়ে পৌছান তিন নদীর মোহনায় অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত নয়নাভিরাম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে।

    সেখানে পৌঁছালে উপদেষ্টাকে স্বাগত জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ঘুরে দেখেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি। বৃক্ষরোপণ শেষে এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন।

    উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) ড. কাইয়ুম আরা বেগম। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাদপুর সার্কেল, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

    এছাড়াও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এস.এম. হাসান তালুকদারসহ উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • তিতাস গ্যাসের নতুন করে অ-বৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হা-তিয়ে নিয়েছে দা-লাল চক্র

    তিতাস গ্যাসের নতুন করে অ-বৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হা-তিয়ে নিয়েছে দা-লাল চক্র

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে আবারও তিতাস গ্যাসের হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেই সাথে বৈধ গ্রাহকরা অবৈধ অতিরিক্ত হাজার হাজার চুলা ব্যবহারে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ মোটা অংকের টাকার মালিক হচ্ছে।
    সোমবার (১৬ জুন ২০২৫ইং) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল এলাকায় ডাঃ কাজল এর ৬ তলা নতুন ভবনে ১টি চুলা বৈধ আর ৬৪টি চুলা অতিরিক্ত অবৈধ। এরকম অনেকেই সরকারি তিতাস গ্যাস চুরি করে ব্যবহার করছে। আশুলিয়ার কাঠগড়া সরকার বাড়ির ডিস ব্যবসায়ী ইলিম সরকার হত্যা মামলার আসামী কেমেলি’র বাড়িতে ১২টি চুলা অবৈধভাবে ব্যবহার করছে, জামগড়া ও জামগড়ার আশপাশের এলাকায় এরকম প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বৈধ চুলার চেয়ে অবৈধ চুলার সংখ্যা অনেক বেশি ব্যবহার করছে। এসব চোরদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বিভিন্ন উপর মহলের পরিচয় দিয়ে থাকেন।
    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাসা বাড়ি ও হোটেলে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ে ব্যবহার করছে অনেকেই। এর কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। তিতাস গ্যাসের কতর্ৃপক্ষ অভিযান চালালেও কোনো ভাবেই বন্ধ করতে পারছেন না অবৈধ সংযোগ ব্যবহার। সারাদেশে যেসকল এলাকায় সরকারি গ্যাস রয়েছে সেখানেই অবৈধ সংযোগ বাণিজ্য জমজমাট ভাবে করছে দালাল চক্র। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ গ্যাহকদের চুলায় গ্যাস না থাকলেও অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদের চুলায় গ্যাস থাকে সবসময় এর রহস্য কি জাতি জানতে চায়। যেমনঃ কিছু হোটেলে রান্না চলে প্রায় ১৪-১৬ ঘন্টা, এই সময়ে গ্যাসের চাপ অনেক বেশি কিন্তু বৈধ গ্রাহকের চুলায় গ্যাস থাকে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেন এবং সরেজমিনে গিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়।
    জানা গেছে, আশুলিয়ার ভাদাইল, ইউসুফ মার্কেট, জামগড়া, মীরবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে দালাল চক্র। প্রতি মাসে ৪-৫টি অভিযানে তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন কতর্ৃপক্ষ কিন্তু দিনব্যাপী অভিযান শেষে রাতে আবারও অবৈধ সংযোগ দেওয়ার অনেক নজির ও সত্যতা রয়েছে। এ যেন চোর পুলিশের খেলা। বিশেষ করে সরকারের তহবিল থেকে প্রতিটি অভিযানে খরচ হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা, একই স্থানে ৭-৮ বার অভিযান চালানোর নজির রয়েছে কিন্তু অভিযান করা হলেও গ্যাস চোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি প্রায় দুই বছর। তাহলে সরকারের কত টাকা খরচ ও কত টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে তার কোনো হিসাব নাই। তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতিটি বাসা বাড়ি থেকে ৩০-৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকে দালাল চক্র, হোটেল বা শিল্প-কারখানার সংযোগ হলে লক্ষাধিক টাকা নেয়া হয়, এইভাবেই একের পর এক সরকারি সম্পদ নষ্ট করে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তার গ্যাসবাজি আর আগের মতো ভয় পায় না চোরেরা, তাদের খুঁটির জোড় কোথায় তা জাতি জানতে চায়।
    তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের দাবি পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ দেওয়ার পরিস্থিতি বা সক্ষমতা আপাতত নেই, তাই গ্রাহকদের আশায় ঝুলিয়ে না রেখে গ্যাস সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার জন্য সরকারি সিদ্ধান্তটি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে-কথাগুলো বলেছেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া, ইউসুফ মার্কেট, এদিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকা, মীর বাড়ি, চিত্রশাইল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগের ছড়াছড়ি, হাজার হাজার অতিরিক্ত চুলা ব্যবহার করছে বেশিরভাগ বাসা বাড়ির মালিকরা। তথ্যমতে, এসব অবৈধ সংযোগ দাতা দালাল চক্র আবারও সক্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর এলাকার সিরাজ, হানিফ, আব্দুল জলিল, ফারুক, ইউসুফ মার্কেটের কথিত মেম্বার মকবুল ও জামগড়া মীর বাড়ির জামাই হাবিবসহ অনেকেই তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ থেকে অগ্নিকান্ডে নারী ও শিশুসহ গত কয়েক বছরে সাভার ও আশুলিয়ায় অনেক মানুষ আহত নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষ দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়। এদিকে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতলের দামও অতিরিক্ত বেড়েছে, ওষুধের দোকান, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ গ্রাহকদের চুলার গ্যাস টিপটিপ করে জ্বলে কিন্তু অবৈধ সংযোগের চুলায় সবসময় গ্যাস থাকার রহস্য কি জাতি জানতে চায়।বৈধ গ্রাহকদের কাছ থেকে বিল ঠিকই নেয়া হয় কিন্তু গ্যাস না থাকার কারণ কি?। বিশেষ করে সরকারের উক্ত সিদ্ধান্তে দুই শ্রেণীর গ্রাহক সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন, এদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো রাজধানী ঢাকাসহ সাভার আশুলিয়ায় ও বিভিন্ন উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ও শহরের বাসা বাড়ি ফ্ল্যাটের মালিকেরা। আরেকটি হলো বিভিন্ন আবাসন কোম্পানিগুলো। তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রাহকদের গ্যাসের পাইপলাইনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবাসন কোম্পানির অনেকেই বলেন, এখন গ্যাসের সংযোগ না পেলে তাদের প্লট, জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে না। তারা অনেকেই দাবি করেন যে, গ্যাস সংযোগ নতুন করে আর কেউ পাচ্ছেন না, এতে গ্রাহকরা বেশি বিপাকে পড়েছেন।
    ২০১৮ইং সালে এলএনজি আমদানি শুরুর পর দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা গ্যাসের সংযোগ নতুন করে শুরু হওয়ার কথা নীতিনির্ধারণী মহলেও শুনা যাচ্ছিল। তখন ঢাকা ও সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধ সংযোগের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেয় দালাল চক্র সিন্ডিকেটগুলো। তারা গ্রাহকদের আশ্বাস দেয়, কিছুদিন পরে গ্যাসের নতুন বৈধ সংযোগ দেওয়া শুরু করলে এগুলোকে বৈধ করে দেবেন কিন্তু এখন এসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পালায় এই গ্রাহকদের সংযোগও কাটা পড়েছে। গ্যাসের দালাল ও কন্ট্রাক্টাররা গ্রাহকদের টাকা আর ফেরত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা গেছে, সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বেশ জোরেসোরেই মাঠে নামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। বিশেষ করে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে কিছুদিন আগে জ্বালানি বিভাগ উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নের আদেশ দিয়েছিলো। সূত্র জানায়, ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া এবং টাকা জমা দেওয়া গ্রাহকদের আবেদনও বাতিল করা হবে। তাদের অর্থ ফেরত দেবে সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানিগুলো। বিতরণ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, নতুন সংযোগের জন্য ডিমান্ড নোট ইস্যু হওয়া এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়া গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখের মতো। গ্যাস ও খনিজ সম্পদ খাতের নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বৈধ অবৈধ নানা উপায়ে এই শ্রেণির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৮লাখ হবে। দেশে সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আলোচনা করেছেন বলে জানান, গৃহস্থালিতে আর গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। যেসব গ্রাহক সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন এবং টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের নাম তথ্যভান্ডারে রয়েছে। আগামীতে এ বিষয়ে একটি সভা করে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের রোডম্যাপ তৈরি করা হতে পারে।সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।দেশে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি। এদিকে ২০২৫ সালে ঈদুল আযহা ঈদের ছুটির ফাঁকে নতুন করে অনেক বাসা বাড়ি ও কলকারখানায় অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র।
    তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিঃ এর আশুলিয়া জোনের প্রকৌশলী আবু ছালেহ মোঃ খাদেমুদ্দীন বলেন, আশুলিয়ায় তিতাস গ্যাসের বৈধ গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজারের বেশি হবে। শিল্প গ্রাহক সংখ্যা ১ হাজার ৫০০। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী দালালদের বিরুদ্ধে এর আগে আশুলিয়া থানায় ৪৮টি মামলা করা হয়, বর্তমানে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্যাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবহারকারী দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এখন দুদুকের কর্মকর্তারাও কাজ করছেন বলে তিনি জানান। সরকারি গ্যাস চোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ধারাবাহিক ভাবে চলবে।##

  • নি-ষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহারে পরিবেশ দূ-ষণসহ ন-ষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

    নি-ষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহারে পরিবেশ দূ-ষণসহ ন-ষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার ও আশুলিয়াসহ সারাদেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে ও মার্কেটের দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে-এসব ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না নিরবতায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বিশেষ করে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার কারণে-একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করায় পরিবেশ চরমভাবে দূষণ হচ্ছে। বিভিন্ন পলি ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
    সোমবার (১৬ জুন ২০২৫্ইং) সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল বাজার, জিরানী বাজার, কাঠগড়া বাজার, ভাদাইল বাজার, অন্যদিকে আশুলিয়া হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদার জানায়, সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকেরই প্রশ্নঃ সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যেখানে-সেখানে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে কিভাবে? মানুষ বাজার খরচ করার সময় প্রায় ব্যক্তির হাতেই পলিথিন ব্যাগ দেখা যায় চোখে পড়ার মতো।
    বিশেষ করে বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মর্কর্তার্গণ সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করার জন্য সকলকে জানিয়েছেন,সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করে আসছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সারা বিশ্বে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশে সকলের অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে সোনালী অঁাশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে। বিশেষ করে লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশববাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করে, তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনে জমি নষ্ট করে। অনেকেই বলছেন যে, জমিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে ফসল হয় না।
    পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জানান, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার করার কারণে রাস্তা ও ড্রেন নষ্ট করে পরিবেশ দূুষণ করছে কিছু অসাধু লোকজন। সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যারা আইন মানছেন না-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তারা দাবী করেন।

  • নড়াইলের তুলারামপুরে বৃটিশ শাসনামলে নির্মান হয় দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ

    নড়াইলের তুলারামপুরে বৃটিশ শাসনামলে নির্মান হয় দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    বৃটিশদের শাসনামলে নির্মিত হয় তুলারামপুর সরদারভিটা জামে মসজিদ। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, তুলারমপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় পুরাতন মসজিদ এটি । এ আগে এ ইউনিয়নে তরফদার বাড়ি জামে মসজিদটি নির্মান হয় । যা শের শাহ শাসনামলে । তরফদার বাড়ি জামে মসজিদ নির্মানে অনুপ্রানিত হয়ে তুলারামপুর গ্রামের ধার্মিক ব্যক্তিত্ব দলিল উদ্দিন মোল্য ১৮৮৯ সালে ৪ শতক জমির উপর উপরে খড় ও চার পাশে মাটির ওয়াল করে ছোট পরিসরে এ মসজিদটি নির্মান হয় । পরবর্তীতে পাকিস্তান শাসনামলে স্থানীয় গ্রামবাসিদের সহযোগিতায় উপরে টিন এবং পাকা ওয়াল দিয়ে মসজিদটি সম্প্রসারণ করা হয় ।
    এ সময় মসজিদটিতে ইমামসহ ২৭জন মুসল্লি নামায আদায় করতে পারতেন। তৎকালিন সময়ে জনবসতি কম থাকায় ২৭জন মুসল্লিকে শুক্রবার বাদে পাওয়া যেত না বলে এলাকার প্রবীনরা জানিয়েছেন। তারা আরো বলেছেন, ঘন বন জঙ্গলে ভরা এলাকাতে নির্মিত সে সময়কার মসজিদে মুসল্লিরা নামায আদায় করতে আসবেন এটা ভাবাই যেত না। পাকিস্তান শাসনামলে থেকে এ গ্রামে বসতি বাড়তে থাকে । বাড়তে থাকে মসজিদে এসে নামায আদায় করা মুসল্লিদের সংখ্যা । আবারও ২০০০ সালের দিক স্থাণীয় গ্রামবাসি মসজিদের প্রয়োজনীতা অনুভব করে সিদ্ধান্ত নেন মসজিদটি পূণঃনির্মানের জন্য । গ্রামবাসিদের সাহায্য-সহযোগিতায় ও পরে আরো ৩ শতক জমি বাড়িয়ে ৭শতক জমির উপর মসজিদটি একতলা ভবন নির্মান করা হয় ।
    সর্বশেষ ২০১৮ সালের শুরুতে স্থাণীয় জনগন আবারও মসজিদটি দ্বিতল ভবন নির্মান কাজ করে । বর্তমানে মসজিদটির একতলার ফ্লোরে এবং বাইরের ওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে টাইলস স্থাপন করা হয়েছে । ইতিমধ্যে দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু হয়েছে । মসজিদটি দ্বিতল ভবনের ওয়ালে চলছে টাইলস এর কাজ । মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ এটি দর্শনীয় হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা জানান ।
    তুলারামপুর দক্ষিনপাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার ইমদাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুর্ব পুরুষ ছিলেন মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা । মসজিদটি নির্মানের সময় এখানে অল্প জনবসতি ছিল । শুধু তাই নয় বর্ষা মৌসুমে পানিতে থৈথৈ করতো । এ কারনে উচু ভিটার উপর মসজিদটি নির্মান করা হয় । তিনি আরো বলেন মসজিদটি তুলারামপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় মসজিদ । মসজিদটির দ্বিতল ভবন নির্মান সম্পন্ন হলে ১’শ মুসল্লি এক সাথে নামায আদায় করতে পারবেন । বর্তমানে আমাদের ইউনিয়নে ৯টি মসজিদ নির্মান হলেও আমাদের মসজিদটি প্রতিষ্ঠাতা হয়ে বৃটিস শাসনামলে । আমার বাবা ও দাদা এ মসজিদে নামায আদায় করে গেছেন । আমি ও আমার সন্তান বর্তমানে নামায আদায় করছি । যা ভাগ্যের ব্যপার ।
    তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মেদ বলেন, আমাদের বাড়ির পাশেই এ মসজিদটি নির্মিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় এর উন্নয়নে স্থানীয়দের নিয়ে কাজ করে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে । এর আগে আমার পিতা আব্দুর রাজ্জাক মোল্যাও এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন । তিনিও মসজিদ উন্নয়নে কাজ করেছেন । স্থানীয়দের সাহয্য সহনুভুতির মাধ্যমে মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ করছি । মসজিদটি বাইরে ও ভিতরে টাইলস দিয়ে দর্মনীয় করে তোলার হয়েছে।

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে

  • সুজানগরে সেলিম রেজা হাবিবের নেতৃত্বে  বিএনপি’র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

    সুজানগরে সেলিম রেজা হাবিবের নেতৃত্বে বিএনপি’র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

    এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : বিএনপি’র রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাবনার সুজানগরে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।পাবনা -২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এ,কে,এম সেলিম রেজা হাবিবের নেতৃত্বে রবিবার সুজানগর পৌর বাজারে এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেট বিতরণ কালে পাবনা -২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এ,কে,এম সেলিম রেজা হাবিব বলেন, দীর্ঘ ১৫বছরের স্বৈরাচারী শাসক যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, বাংলাদেশকে গুম-খুন আর লুটের রাজ্যে পরিণত করেছিল তখন ২০২৩ সালের ১৩ জুলাইয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩১ দফা ঘোষণা করেন-যেখানে গণতন্ত্র ফিরে পাবে তার হারানো কণ্ঠ, আর নাগরিকগণ ফিরে পাবে রাষ্ট্রে তার আত্মমর্যাদা।বিএনপি’র ৩১ দফা বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক ঘোষণা নয় বরং এটি এক জাতির আকাঙ্ক্ষার ভাষা। যেখানে আছে ন্যায়বিচারের কথা, প্রশাসনের জবাবদিহিতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, আর মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার। বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন, নির্বাচন হবে স্বচ্ছ আর রাষ্ট্র হবে সবার জন্য সমান। এ দফাগুলোতে আছে কৃষক, শ্রমিক, সংখ্যালঘু, নারী ও শিশুদের স্বপ্ন-যারা প্রান্তিক হয়েও রাষ্ট্রের প্রাণ। দুর্নীতির নাগপাশ ছিন্ন করে, এক ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার ডাক যেন প্রতিটি শব্দে বাজে।এই ৩১ দফা কোনো দলীয় মঞ্চে বঁাধা নয়। এটি একটি জাতির সম্ভাবনার মানচিত্র। এটি যদি বাস্তবায়ন হয় তবে এ দেশ আবার জেগে উঠবে-নতুন আলোয়, ন্যায়বোধে আর মানুষের ভালোবাসায় এটিই বিএনপি’র প্রত্যাশা।লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, সুজানগর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল মোনায়েম, বিএনপি নেতা আহম্মদ আলী প্রামানিক লাটু, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দিন, ডাক্তার আব্দুস সালাম, মানিকহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, মোহাম্মদ আলী টুকু, সিদ্দিক প্রাং, আব্দুস সাত্তার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পিন্টু রহমান পিন্টু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রিয়াজ মন্ডল, সুজানগর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান খোকন, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক শফিউল আলম বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, হারুন মন্ডল, তোফাজ্জল হোসেন তোফা, ভঁায়না ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সান্টু, উপজেলা তঁাতিদল নেতা আসাদুজ্জামান রোকন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক শফিউল আযম শফি, আবু জাকারিয়া তরঙ্গ, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান ফজলু, যুগ্ন আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, পৌর যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক সাহেব আলী মন্ডল, রতন বিশ্বাস, হালিম শেখ, সন্টু খঁা, জিয়া বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবকদল সুজানগর পৌর শাখার আহ্বায়ক সুজাউদ্দিন সুজা, সদস্য সচিব বিপুল প্রামানিক, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রমজান মন্ডল, উপজেলা ছাত্রদল নেতা গাজী মাজাহারুল ইসলাম, আফতাব উদ্দিন, আলম শেখ, আব্দুস সবুর জয়সহ বিএনপি’র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ সদর উপজেলা শাখার কমিটির গঠন

    মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ সদর উপজেলা শাখার কমিটির গঠন

    এস মশিউর,
    হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।।
    গতকাল দুপুরে মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন উপলক্ষে হবিগঞ্জ পোদ্দার বাড়িতে রেজভীয়া খানকাহ শরিফে হযরত মাওলানা মো :দিদার আলী রেজভীর সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ নায়েব হোসাইন এর পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, হযরত মাওলানা মো:আবু তৈয়্যব মোজাহিদি, সভাপতি-মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখা
    বিশেষ অতিথি ছিলেন, হযরত মাওলানা মো : তাফাজ্জল হক, সাধারণ সম্পাদক- মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখা হযরত মাওলানা মো :মোজাহিদ ইসলাম মানিক, সাংগঠনিক
    সম্পাদক-মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখা,হযরত মাওলানা মো :আব্দুর রহমান, অর্থ সম্পাদক-মউশিক: শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ হবিগঞ্জ জেলা শাখা, হযরত মাওলানা মো :আমিনুল হক আলকাদরীএতে সর্ব সাধারন উপস্থিতির মতামতের ভিওিতে,হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার কমিটির গঠন করা হয় সভাপতি,মাও:মো :দিদার
    আলী রেজভী,সহ-সভাপতি,মাও: মো:গোলাম মস্তোফা,মাও:সামছু উদ্দিন
    সাধারণ সম্পাদক,মোহাম্মদ নায়েব হোসাইন,
    যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মাও:মো:নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাও:মোশাররফ হোসেন
    সাংগঠনিক সম্পাদক,মাও: মো:আব্দুল আহাদ
    সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, মাও:মো:নাজমুল ইসলাম,
    অর্থ সম্পাদক, মাসুম বিল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক, মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রচারসম্পাদক, মহিউদ্দিন আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক :মাও:ইমরান আহমেদ এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মাও:জাফর আলীমাও:রুহুল আমীন, মাও:আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ আ:শহিদ,মাও:মাহবুব হোসেন, মাও:আবু ইউসুফ,মাও:ফখরউদ্দিন খান রেজা, মাও:বজলুর রহমান, মাও:আবুবক্কর সহ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি,সা:সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক সহ প্রমূখ।

  • তেঁতুলিয়ায় সরকারি চাল জ-ব্দ, গুদাম সি-লগালা 

    তেঁতুলিয়ায় সরকারি চাল জ-ব্দ, গুদাম সি-লগালা 

    বাবুল হোসেন,

    পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

    তেঁতুলিয়ায় সরকারি চাল জব্দ, গুদাম সিলগালা, থানায় মামলা 

    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের সরকারি চাল জব্দ করেছে প্রশাসন।একইসঙ্গে গুদামঘরে সিলগালাসহ এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে৷

    এদিকে জব্দের একদিন পর রোববার (১৫ জুন) দুপুরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. রুবেল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলায় গুদামের ম্যানেজার মো. সাদেকুল ইসলামকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

    এর আগে শনিবার (১৪ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে কয়েক শতাধিক বস্তা চাল, খালি বস্তা, মোড়ক পরিবর্তনের সরঞ্জামাদি, মোবাইল ফোন এবং সেলাই মেশিন জব্দ করা হয়। এককইসঙ্গে গুদামঘরে সিলগালা করা হয়।

    অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরুর নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে অংশ নেন উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. রুবেল হোসেন এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানার একটি টিম।

    অভিযান সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিজ নগর এলাকার ফিরোজা বেগমের চাতাল ও গুদামঘর এবং তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের মেসার্স সহিদুল রাইস এজেন্সির গুদামে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় সরকারি প্রকল্পের শতাধিক বস্তা চাল, খালি বস্তা ও চালের মোড়ক জব্দ করা হয়। স্থানীয়া বলছেন গুদামঘরগুলো ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম চাল,ধান,গম,ভূ্ট্টাসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য ব্যবসা করে আসছেন৷

    তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প সভাপতিদের কাছ থেকে সরকারি বরাদ্দের চাল কিনে বৈধভাবে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে সংশ্লিষ্টরা চাল বিক্রি করে থাকেন এবং তিনিও বৈধভাবে কাগজপত্র দেখে ক্রয় করেন।

    এবিষয়ে সহিদুল ইসলাম নামে ওই ব্যবসায়ী জানান,সরকারী প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হওয়া চাল প্রকল্পের সভাপতি ও জনপ্রতিনিধিরা পাওয়ার পর বিক্রি করে তারা প্রকল্প বাস্তবায়নাহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করেন। আর আমরা তাদের কাছে বৈধ ভাবে ক্রয় করে পরে খুচরা ও পাইকরী বিক্রি করি। আমাদের কাগজপত্র,সরকারী লাইসেন্স রয়েছে৷

    তেঁতুলিয়া উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. রুবেল হোসেন বলেন, অভিযান চালিয়ে সরকারী চালসহ একজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে আটকসহ গুদামের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, “অভিযানে গিয়ে সরকারি চালসহ বিপুল পরিমাণ খালি বস্তা ও মোড়ক পরিবর্তনের আলামত পাওয়া গেছে। গুদামের মালিক বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় গুদামগুলো সিলগালা করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা বলছেন,তেঁতুলিয়ায় বরাদ্দ হওয়া টিআর,কাবিখাসহ বিভিন্ন বরাদ্দের চাল ও গম সিন্ডিকেট করে প্রভাব দেখিয়ে ও কম দামে ক্রয় করে পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি হচ্ছে। আর এর সাথে জড়িত উপজেলা পিআইও অফিসের দুই একজন কর্মচারী।

  • সলঙ্গা হাটে পকে-টমারের উপদ্র-প 

    সলঙ্গা হাটে পকে-টমারের উপদ্র-প 

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের প্রাচীনতম সলঙ্গা হাটে ইদানিং পকেটমারের ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়েছে।সপ্তাহের সোমবার ও বৃহ:বার হাটে বিভিন্ন দোকান পট্রিতে হাটুরেদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট,টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসলেও হাট কমিটির রহস্যজনক নীরবতার কারণে এ ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। হাটুরেদের অভিযোগে জানা গেছে,সর্বশেষ সলঙ্গার সাপ্তাহিক বড় হাট সোমবার (১৬ জুন)  বিকেলে কদমতলা তরকারি হাটায় হাটুরেদের পাঞ্জাবীর পকেট হতে মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে।এর আগে কোরবানীর ঈদে গরু হাটা,ভুষাল হাটা,ডিমহাটা ও তরিতরকারি হাটায় হাটুরেদের পকেট কেটে নগদ টাকাসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় পকেটমারেরা। 

    শুধু তাই নয়,সুযোগ বুঝে দোকানীদের দোকান থেকেও টাকা চুরি করে এসব ছিচকে চোরেরা।হাট ইজারাদার মতিয়ার রহমান সরকার জানান,ঐতিহ্যবাহী হাটের নাম সলঙ্গা।পকেটমার ঢুকে এ হাটের বদনাম হবে,তা কখনই হতে দেব না।হাটে পকেটমারের সন্ধান পেলে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।    

    এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান,চুরি- ছিনতাই ও পকেটমার রোধে আমিসহ আমার পুলিশের সকল সদস্য কঠোর ও তৎপর।নিদ্রিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    জি,এম স্বপ্না,সিরাজগঞ্জ।

  • সলঙ্গায় জামা-য়াতে ইসলামীর ২০০ ফুটবল বিতরণ

    সলঙ্গায় জামা-য়াতে ইসলামীর ২০০ ফুটবল বিতরণ

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : আধুনিকতার ছোয়ায় দেশের যুব সমাজ যখন নেশা ও মোবাইল আসক্ত হয়ে  বিপথগামী,ঠিক এমনি মুহুর্তে সমাজ থেকে মাদক,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ,কিশোর গ্যাং রুখতে ফুটবল খেলাকে উজ্জীবিত করতে যুবকদের হাতে ফুটবল তুলে দিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।গত কয়েক দিন ধরে সলঙ্গা ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের যুবকদের মাঝে প্রায় ২০০ টি ফুটবল বিতরণ করলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল  মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল

    মাও: রফিকুল ইসলামের পক্ষ হতে  ফুটবল বিতরণ করেন, সলঙ্গা থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর রাশেদুল ইসলাম শহিদ।অন্যান্যদের মধ্যে সাথে ছিলেন,সলঙ্গা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর কে,এম হারুনর রশীদ। ইসলামী ছাত্রশিবির সলঙ্গা থানা শাখার সভাপতি গাজী মোহসীন আলম।
    ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি সবুজ মিয়া। 

    ৭নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মাওলানা মোস্তফা কামাল ছাড়াও জামায়াত,শিবির, শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • বিরামপুরে উচ্ছে-দ অভি-যানে ঘরবাড়ি হারা মানুষের পাশে এবি পার্টি নেতা ব্যারিস্টার সানী

    বিরামপুরে উচ্ছে-দ অভি-যানে ঘরবাড়ি হারা মানুষের পাশে এবি পার্টি নেতা ব্যারিস্টার সানী

    দিনাজপুর, প্রতিনিধি:

    দিনাজপুরের বিরামপুর পশুহাটে গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বসবাসকারী ভূমিহীন ৬২টি পরিবারের প্রায় তিন শতাধিক অধিবাসীদের বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যার ফলে আকস্মিক এই ঘটনায় বাস্তুহারা পরিবারগুলো এখন খোলা জায়গায় প্রয়োজনীয় খাদ্যের অভাবে অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে। এছাড়াও বিকল্প পূনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

    সেবা ও সমস্যা সমাধানের বার্তা নিয়ে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাস্তুচ্যুত এলাকা পরিদর্শন করেন ও তাদের দাবী-দাওয়া এবং সমস্যাগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তিমূলে রয়েছে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের সক্ষমতা অর্জন। এর মধ্যে মানুষের নিরাপদ আবাসস্থল একটি। বাসস্থানের নিশ্চয়তা না থাকলে একটি পরিবার কখনো স্বাবলম্বী হতে পারে না। তাই ভূমিহীনদের মাঝে সরকারী ভাবে বাসযোগ্য স্থান বরাদ্দের মাধ্যমে তাদের সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করা সম্ভব।’

    এরপর এবি পার্টি নেতা ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে টেলিফোনে কথা বলে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর পূনর্বাসনের দাবীর বিষয়টি কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।

    পরিদর্শনকালে এবি পার্টির দিনাজপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার, নবাবগঞ্জ উপজেলার সদস্য সচিব ওয়াহেদুজ্জামান, সহকারী সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, হাকিমপুর উপজেলার সদস্য সচিব আনোয়ার মাহফুজ, এবি যুব পার্টির সদস্য তানভীর আহমেদ সহ বাস্তুহারা ৬২টি পরিবারের সদস্যবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।