Blog

  • নেছারাবাদে জমি-জমার বিরো-ধের জেরে প্রতিপক্ষের হাম-লায় আহ-ত দুইজন

    নেছারাবাদে জমি-জমার বিরো-ধের জেরে প্রতিপক্ষের হাম-লায় আহ-ত দুইজন

    আনোয়ার হোসেন,
    নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতাঃ

    নেছারাবাদে জমি-জমার বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দুইজন। উপজেলার সুটিয়াকাঠী ইউনিয়নের বাড়রা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ বিষয়ে মোঃ কাইয়ুম হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, জায়গা-জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলিয়া আসিতেছিল। গত ১৫ জুন রাত্রে বিরোধীয় বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস মিমাংশার বৈঠকে প্রতিপক্ষ জালিস তালুকদার বৈঠকের শুরুতেই বিবাদী উত্তেজিত হয় কাইয়ুম হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। উপস্থিত শালিসদের সম্মুখে  কাইয়ুম হোসেনকে আচমকা বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুষি মারে। পরে কাইয়ুমের বোন শাহিনা বেগম আগাইয়া আসিলে তাকেও মারধর করে আহত  করে। পরে সাক্ষীদের সহায়তায় কাইয়ুম হোসেন ও শাহিনা বেগমকে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। 

    ঘটনার বিষয় অভিযোগের বাদী মোঃ কাইয়ুম হোসেন জানান, জালিস তালুকদার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক, সে কোন আইন কানুন মানে না। আমাদের জায়গা জোর পূর্বক ভোগ দখল করার চেষ্টা করিয়া আসিতেছে। স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকের সময় আমার বুকে লাথি মারে এবং আমার বোনকে কিল ঘুষি মারিয়া আহত করে। থানায় প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছি। প্রয়োজনে মামলা করবো।

    ঘটনার প্রতক্ষ শালিস সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আবুল হাসেম জানান, ওইদিন আমরা উভয় পক্ষের জায়গা-জমির বিরোধ মিমাংশার জন্য স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকে বসি। শুরুতেই জালিস উত্তেজিত ভাবে কথা বার্তা বলে এবং কাইয়ুমকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে মারধর করে। পরে আমরা  ছাড়িয়ে দেই এবং সাথে সাথে শালিস পন্ড  হয়ে যায়। 

    নেছারাবাদ থানার ইনচার্জ মোঃ বনি আমিন জানান, ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • ময়মনসিংহ জেলায়  শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত গফরগাঁও থানার  শিবিরুল ইসলাম

    ময়মনসিংহ জেলায় শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত গফরগাঁও থানার শিবিরুল ইসলাম

    ময়মনসিংহ প্রতিবেদকঃ
    ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানায় মামলা নিষ্পত্তি, মাদক উদ্ধার, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল সহ বিভিন্ন অপরাধ নির্মুলের মাধ্যমে থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখায় জেলায় শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন থানায় দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ ওসি শিবিরুল ইসলাম।

    বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় তার হাতে শ্রেষ্ঠত্বের
    পুরস্কার হিসাবে সম্মাননা ক্রেষ্ট ও সনদ তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।

    সভায় জানানো হয়- মে-২০২৫ মাসে গুরুত্বপূর্ণ মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, চোরাই মালামাল উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহ সেবা মূলক কার্যক্রম বিষয়ে অবদান রাখায় ওসি শিবিরুল ইসলাম কে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

    জেলার ডেঞ্জারাস এলাকা হিসাবে পরিচিত গফরগাঁও থানায় সম্প্রতি সময়ে যোগদানের পর তার কর্মদক্ষতায় থানা এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে জেলায় শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেন ওসি শিবিরুল ইসলাম । এর আগেও তিনি বিভিন্ন থানায় একজন দক্ষ পুলিশ অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালনে সুনাম অর্জন করায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গফরগাঁও থানায় ওসি হিসাবে যোগদান করেন।

    গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ শিবিরুল ইসলাম বলেন, পুরষ্কার সবসময় দায়িত্ববোধকে বাড়ায় এবং জনসাধারণকে সেবামূলক কর্মকান্ডে আরও উৎসাহ বৃদ্ধি করে। এ পুরষ্কার গফরগাঁও থানার সকল সহকর্মীদের অবদান। আমার এ পুরষ্কার আমি গফরগাঁও বাসীকে উৎসর্গ করছি। সকলের সগযোগীতায় গফরগাঁও বাসীকে সেবা ও নিরাপত্তা প্রদান করতে চাই।

  • ময়মনসিংহ শ্রেষ্ঠ মা-দক উদ্ধারকারী অফিসার হিসাবে পুরস্কৃত হলেন এসআই তাইজুল

    ময়মনসিংহ শ্রেষ্ঠ মা-দক উদ্ধারকারী অফিসার হিসাবে পুরস্কৃত হলেন এসআই তাইজুল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সম্মাননা ক্রেস্ট পেলেন জেলার গফরগাঁও থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) তাইজুল ইসলাম।

    গফরগাঁও থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়,চলমান ২০২৫ এর গত মে মাসে জেলার সর্বোচ্চ মাদক উদ্ধার, মাদক মামলায় গ্রেফতারে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন লাভ করেছেন। তারই স্বীকৃতি স্বরুপ বৃহস্পতিবার (১৯জুন) জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম এর হাত থেকে শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী হিসেবে সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন গফরগাঁও থানার এসআই তাইজুল ইসলাম।

    জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে-ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ প্রতি মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা থেকে মে-২০২৫ মাসের সর্বোচ্চ পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় গফরগাঁও থানা পুলিশের এই কর্মকর্তাকে শ্রেষ্ঠ অফিসারের সম্মানে ভূষিত করা হয়। এছাড়া ময়মনসিংহ জেলায় কর্মরত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার।

    পুরস্কারে ভূষিত হয়ে এসআই তাইজুল ইসলাম বলেন, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে নিরন্তর ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জেলার পুলিশ সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় মে-২০২৫ মাসে তিনি জেলায় সর্বোচ্চ পরিমাণ মাদকদ্রব্য ইয়াবা উদ্ধার করেন। তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ এই পুরস্কারে ভূষিত করায় তিনি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার এই সম্মাননা ভবিষ্যতেও মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন সহ বিভিন্ন অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আরো বেশি অনুপ্রাণিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    এর আগেও তিনি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় কর্মরত থেকে বিভিন্ন সময় চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদঘাটন ও জেলায় সর্বোচ্চ পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

    এ বিষয়ে এসআই তাইজুল ইসলাম বলেন, আমি সবসময় আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করি। সর্বদা মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। আগামীতে মাদকের সঙ্গে জড়িতদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন- গফরগাঁও থানার মেধাবী ও দক্ষ অফিসার ইনচার্জ ওসি শিবিরুল ইসলাম স্যারের দক্ষ নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় থানার সকল পুলিশ সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উপজেলার জনসাধারণের সহযোগিতায় এ সফলতা সম্ভব হয়েছে। যে কোনো স্বীকৃতিই কাজের অনুপ্রেরণাকে বাড়িয়ে দেয়।

  • মাদারীপুরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এনসিপি’র সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    মাদারীপুরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এনসিপি’র সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

    আরিফুর রহমান মাদারীপুর প্রতিনিধি

    মাদারীপুরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে এনসিপি’র সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন এবং বিচারের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে “জুলাই সনদ” বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে মাদারীপুর জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর উদ্যোগে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার ( ১৯জুন বিকাল ৪টায় জেলা এনসিপি কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনসিপি মাদারীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম হাওলাদার।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ। এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী অমিত হাসান, আজগর শেখ,জাবের হাওলাদার এবং মো. আব্দুর রহিমসহ স্থানীয় বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।

    সভায় বক্তারা বলেন, “জুলাই সনদ” দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বক্তারা ন্যায়বিচার, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং জনতার শাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

    সভা শেষে নেতৃবৃন্দ আগামীদিনের কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন এবং জনগণের অধিকার আদায়ে আন্দোলনকে আরও বেগবান করার আহ্বান জানান।

    আরিফুর রহমান মাদারীপুর।।

  • ঠাজুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ৩ দিনব্যাপি ফল মেলার শুভ  উদ্বোধন

    ঠাজুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ৩ দিনব্যাপি ফল মেলার শুভ উদ্বোধন

    গীতি গমন চন্দ্র রায় গীতি।।
    স্টাফ রিপোর্টার।।
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ দুপুরে কৃষি অফিস চত্বরে  কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন।জানা যায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপি জাতীয় ফল মেলার শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার শাফিউল মাজলুবিন রহমান। এ সময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান)জাহাঙ্গীর আলম,জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামীমা নাজনীন,প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রূপম চন্দ্র মহন্ত, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শফিউল হাসান, সহকারী মৎস অফিসার আব্দুল জলিল, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা রজব আলী,পৌর বিএনপি’র সভাপতি শাহাজাহান আলী, কৃষক দলের সভাপতি মোশারফ হোসেনসহ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, মেলায় আগত বিভিন্ন   ফলচাষী ও দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে পরিদর্শন করেন।অতিথিরা উপস্থিত চাষীদের বেশি করে ফল চাষাবাদে উৎসাহ প্রদান করেন।৩ দিনব্যাপি এই মেলার সমাপনী হবে আগামী ২১ জুন শনিবার। মেলায় অবস্থিত ৫ টি স্টলে বিভিন্ন মৌসুমী,ফলআম,জামকাঁঠাল,লিচু,মালটা,পেয়ারা,তরমুজ,ডালিম,আনারস,খেজুর,তাল,পেঁপে,কলাসহ বিভিন্ন জাতের ফল ও ফলের চারা প্রদর্শন করা হয়।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ সহকারী কৃষি অফিসার সাদেকুল ইসলাম।

  • দেশের মানুষকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে- ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

    দেশের মানুষকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে- ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
    বলেছেন, দেশের প্রতিটি মানুষকে পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। বর্তমানে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ফলের চাহিদা যেখানে ২০০ গ্রাম, সেখানে আমরা খাচ্ছি মাত্র ৫৫-৬০ গ্রাম। এই ব্যবধান কমাতে ফলের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণকে ফল খাওয়ায় অভ্যস্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, চালের উৎপাদনে আমরা যেমন বিপ্লব করেছি, তেমনি ফল উৎপাদনেও বিপ্লব ঘটাতে চাই। দেশি ফল যাতে বিলুপ্ত না হয়, সে জন্য এর জার্মপ্লাজম সংরক্ষণের কাজও চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বেলা ১২টায়
    ভালুকা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এই মেলা আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে। এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মেলার স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।

    ইউএনও বলেন, মেলায় দেশীয় বিলুপ্ত প্রায় ফল ছাড়াও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেসকল ফল উৎপাদিত হচ্ছে সেগুলোও মেলায় স্থান পেয়েছে। যারা ভোক্তা এবং চাষী রয়েছেন তারা এই মেলা থেকে উপকৃত হবেন এবং দেশীয় ফল চাষাবাদে আরো উদ্বুদ্ধ হবেন।

    উপজেলা কৃষি অফিসার নুসরাত জামান জানান, তাদের ওই মেলাতে আম, জাম, কাঁঠালসহ দেশী ও বিদেশী, উচ্চফলনশীলসহ প্রায় ৩০টি ফল মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কৃষকসহ তরুণ উদ্যোক্তারাও ফলের চাষ করছেন। এই মেলার মাধ্যমে দেশীয় ফল চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরো বাড়বে বলে তিনি মনে করেন তিনি। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তাসহ উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারিগন উপস্থিত ছিলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং ফল উৎপাদনে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

    মেলায় দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ধরনের দেশি ফল ও ফল চাষ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি রাসায়নিকমুক্ত ফল ক্রয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। ভালুকা ছাড়াও জেলার ১১টি উপজলায় স্থানীয় পর্যায়েও ফল মেলা আয়োজন করা হয়েছে।

  • এশিয়ার বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের করনীয় কি?

    এশিয়ার বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের করনীয় কি?

    সাংবাদিক আনোয়ার
    নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠি) পিরোজপুর।

    এশিয়ার বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন,শুধু এশিয়ার নয় বিশ্বের বৃহত্তম বন সুন্দরবন। এই সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের করনীয় বিষয়ে কিছু আলোচনা আলোচনা করবো। সর্ব প্রথমে বলতে চাই সুন্দরবনকে পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য আমাদের অনেক কিছু করনীয় আছে, সর্বপ্রথমে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন করতে হবে এবং পুনর্ব্যবহার যোগ্য বিকল্পের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়াও, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হবে, জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সরকারের এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

    সুন্দরবন, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশ ও ভারতের কিছু অংশে বিস্তৃত, এই সুন্দরবন বর্তমানে প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণের শিকার। এই দূষণ রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেয়া যেতে পারে। ব্যক্তিগত পর্যায় যদি বলি, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক যেমন – পলিব্যাগ, পানির বোতল, স্ট্র, কফি কাপ ইত্যাদি বর্জন করা এবং কাপড়ের ব্যাগ, মেটাল বা কাঁচের বোতল, কাগজের স্ট্র ইত্যাদি ব্যবহার করা। পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার করা এবং প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা। প্লাস্টিক বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা। সুন্দরবনে পর্যটকরা ভ্রমণে গেলে ব্যবহারীত প্লাস্টিক বর্জ্য সাথে নিয়ে আসা। স্থানীয় দোকান এবং বাজারে পরিবেশ-বান্ধব পণ্য ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।

    সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সুন্দরবন এলাকায় প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা।স্থানীয় সম্প্রদায় এবং পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। স্কুল-কলেজে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। পরিবেশ-বান্ধব পণ্য ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা। সরকার কর্তৃক আইন প্রণয়ন ও তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। প্লাস্টিক দূষণ রোধে গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।

    সুন্দরবনের সুরক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে আমরা সুন্দরবনকে প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে পারি। এছাড়াও সুন্দরবন রক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সৃষ্টি কর্তা প্রদত্ত এই বন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঢাল স্বরূপ কাজ করে কাজ করে। যে সুন্দরবন যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মানুষকে প্রলয়ংকরী ঝড় তুফান বা সাইক্লোনের ছোবল থেকে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জীবন রক্ষা করে আসছে। সেই সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অনেক।

    জীব বৈচিত্র্যের বৃহত্তম আধার এই ম্যানগ্রোভ বনটি বাংলাদেশের অক্সিজেন ভান্ডার বা ফুসফুস হিসেবে আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অপরিসীম ভূমিকা পালন করছে। লাখ লাখ মানুষ সুন্দরবনের মাছ, মধু, গোলপাতা প্রভৃতি আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সুন্দরবনের নদী-খাল বাংলাদেশের মাছের চাহিদার একটা বিরাট অংশ জোগান দিয়ে আসছে। সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। সরকারও এ বন থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়-ঘূর্ণিঝড়, ভৌগোলিক অবস্থান ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের কারনে সুন্দরবন এর জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।

    বাংলাদেশের উপর বয়ে যাওয়া সুপার সাইক্লোন সিডর, আইলা, বুলবুল, আম্পান ও সর্বশেষ ইয়াসের ছোবল থেকে সুন্দরবন নিজের জীববৈচিত্র্য এবং উপকূলের মানুষকে রক্ষা করতে করতে আজ ক্লান্ত-শ্রান্ত। ভবিষ্যতেও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবাহওয়াবিদরা। এসব অনাগত ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় সুন্দরবনকে প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত জরুরি, এজন্য আমাদের যাহা কিছু করনীয় সব কিছু করতে হবে।

    সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল এবং বন-সংলগ্ন জনপদের মানুষের সচেতনতা বাড়াতে তাদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সভা, সেমিনার, গীতিনাট্য, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করতে হবে। সুন্দরবন ব্যবহারকারীদের বন ও বনজসম্পদ সুরক্ষার গুরুত্ব বোঝাতে হবে।

    ইতিমধ্যে সামাজিক সংগঠন ‘রুপান্তর’ এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালক করে আসছে সুন্দরবনকে রক্ষা করার জন্য, সুন্দরবন এরিয়ার কয়কটি উপজেলাকে ‘সুন্দরবন জোন’ এরিয়ায় ভাগ করে প্রতিটি উপজেলায়
    সুন্দরবন রক্ষায়” ইয়ুথ ফর যুব ফোরাম ” কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করেছে। তারা বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে। এই ফোরাম সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, দূষণরোধ, এবং স্থানীয় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবনের পরিবেশগত সমস্যা এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে যুব সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, দূষণরোধে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার কমানোর জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করা।স্থানীয় যুবকদের সুন্দরবন সুরক্ষার কাজে যুক্ত করা এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করা। সুন্দরবনের সম্পদ পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহায়তা করা। সুন্দরবন এর আশেপাশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। এই ফোরামের কার্যক্রমের মাধ্যমে সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষায় যুব সমাজের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে এবং সুন্দরবনকে আরও ভালোভাবে রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

    সাংবাদিক আনোয়ার
    নেছারাবাদ উপজেলা সংবাদদাতা

  • দু-র্যোগ ঝুঁ-কি হ্রা-স কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    দু-র্যোগ ঝুঁ-কি হ্রা-স কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা ( খুলনা) প্রতিনিধি।।

    খুলনার পাইকগাছায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতি সংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ( ডব্লিউএফপি) এর সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন এ অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পার্থ প্রতিম রায়, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একরামুল হোসেন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম গাজী, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজীব বিশ্বাস, এস আই নুর আলম, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর ঈমান উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াহিদ মুরাদ, একাডেমিক সুপার ভাইজার মীর নূরে আলম সিদ্দিকী, উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন,সমবায় পরিদর্শক তোরাব আলী, ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু, ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সানা, পিযুষ কান্তি মন্ডল, সুকুমার কবিরাজ সহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ইউপি সদস্য বৃন্দ। সভায় প্রকল্প কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সুশীলনের প্রকল্প সমন্বয়কারী ইমরান হোসেন। সঞ্চালনা করেন সুশীলনের উপজেলা সমন্বয়কারী ফিরোজ রায়হান।
    এসময় সুশীলনের প্রকৌশলী আয়ুব আলী সহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • পাইকগাছায় পলিথিন ও প্লাষ্টিক দূ-ষণ প্রতিরো-ধ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছায় পলিথিন ও প্লাষ্টিক দূ-ষণ প্রতিরো-ধ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছায় রুপান্তর কর্তৃক আয়োজিত পলিথিন ও প্লাষ্টিক দূষণ প্রতিরোধে বাজার কমিটি এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের করণীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে পাইকগাছা পোনা ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুরাম মন্ডলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাইকগাছা থানার সাব-ইনেসপেক্টর নূর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক আলাউদ্দীন রাজা। পলিথিন ও প্লাষ্টিক দূষণ প্রতিরোধে সার্বিক বিষয় উপস্থাপন করেন রুপান্তর এর সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের অফিসার সাকী রেজাওয়ানা । বক্তব্য রাখেন পাইকগাছা চিংড়ি বিপনন সমবায় সমিতির সভাপতি জিন্নাত সানা, আছাদুল ইসলাম, আঃ গনি, হৃদয় কুমার দাস,সাবিনা ইয়াসমিন, সুশান্ত,ইমা খানম উপস্থিত ছিলেন রুপান্তর এর ইয়ুথ ফোরামের সদস্য রাকিবুল ইসলাম, কৃষ্ণা চক্রবর্তী,ছন্দা, সজিব প্রমুখ।

  • পাইকগাছায় হ-তদরিদ্র কিনা গাজীর বসতঘর আ-গুনে পু-ড়ে ভস্মি-ভূত

    পাইকগাছায় হ-তদরিদ্র কিনা গাজীর বসতঘর আ-গুনে পু-ড়ে ভস্মি-ভূত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
    খুলনার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামে মৃতঃ নিজাম গাজীর ছেলে হতদরিদ্র কিনা গাজীর গোলপাতার বসতঘরটি আগুন পুড়ে ঘরের আসবাবপত্র সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস পত্র ক্ষতি সাধিত হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে। সরেজমিনে জানাযায় গত শুক্রবার বিকেলে কিনা গাজী প্রতিবন্ধী ছেলে রুবেল মারাত্মক অসুস্থ হলে স্বামী স্ত্রী ছেলেকে পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে ছেলের সাথে থাকে। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে তার বসতঘরে পাশে গোয়াল ঘরে আগুন লাগে। কিছুক্ষনের মধ্যে কিনা গাজী বসতঘরে চালে ও আগুন লেগে ঘরের চালও ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ব্যহারের কাপড় সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পুড়ে প্রায় লক্ষাধীক টাকার জিনিস ক্ষতি হয়। স্থানীয়রা পরে কিনা গাজী কে সংবাদ দিলে তার ক্ষতি দেখে নিজ হতভঙ্গ হয়ে যায়। এব্যাপারে কিনা গাজী বলেন আমার প্রতিবন্ধী ছেলে রুবেল (২৪) কে নিয়ে গত শক্রবার বিকেলে পাইকগাছা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি,ছেলের সাথে আমি ও আমার স্ত্রী হাসপাতালে ছিলাম। সোমবার সকালে বাড়ী থেকে ফোনে জানাই আমার ঘরে আগুন লেগে ঘর পুড়ে গেছে। আমি বাড়ীতে যেয়ে দেখি ঘরের ভিতর সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি একজন হতদরিদ্র মানুষ আমার ৩ শতক ভিটাবাড়ী জায়গা ছাড়া কোন জমি নাই।আমার একমাত্র ছেলে সে প্রতিবন্ধী কোনরকম কাজ কাম করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। স্ত্রী শাকিরা বেগম সে রোগগ্রস্ত সংসার চালানো হিমশিম খেতে হয়। বর্তমানে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে এখনো হাসপাতালে ভর্তি । নতুন করে বসতঘর নির্মাণ করা আমার সমাার্থন নাই। সমাজের বিত্তবান ও সরকারি ভাবে সাহায্য পেলে বসতঘরটি সংস্কার করে প্রতিবন্ধী ছেলে ও রোগগ্রস্ত স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতে পারবো। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ সরদার বলেন কিনা গাজী একজন হতদরিদ্র মানুষ,তার ঘর পুড়ে গেছে এমন ঘটনা আমার জানা নাই।

    প্রেরক,
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।