Blog

  • পাইকগাছায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টুং টাং শব্দে মুখর কামারশালা

    পাইকগাছায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টুং টাং শব্দে মুখর কামারশালা

    ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা।। পবিত্র কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখরিত হয় ওঠেছে পাইকগাছার কামারশালা। চলছে হাঁপর, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। কর্মব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা। সারাদিন তপ্ত লোহা ও ইস্পাত গলিয়ে চলছে, দা, চাপাতি, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া সময় মত করতে পারছেনা তারা। কাঁকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মকান্ড। মূল কারিগরের সাথে একজন ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরাঙ্গা লোহার দন্ড। কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। ম্যাশিনের সাহায্যে কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন। দিন-রাত সমান তালে লোহার টুং-টাং শব্দ আর হাফরের ফুঁসফাঁস শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রতিটি কামারশালা। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার প্রাচীন কামারশিল্প যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
    আর মাত্র কয়েক দিন পর ঈদুল-আযহা। উপজেলা পৌর সদর, নতুন বাজার, গদাইপুর, আগড়ঘাটা, কপিলমুনি বাঁকা, চাঁদখালী, কাটিপাড়া, বোয়ালিয়ার মোড়সহ বিভিন্ন হাট বাজার এবং কামার বাড়ীতে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের ছোরা, চাপাতি, চাকু, দা, বটি, কুড়াল সহ বিভিন্ন সরজ্ঞাম তৈরি করছে কামাররা। সারা বছর টুক-টাক কাজ থাকলেও কুরবানির ঈদের সময় কামার শিল্প মুখরিত হয়ে ওঠে। কামারের দোকানে দুই তিনজন কারিগর কাজ করছে। কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময় দোকানে পুরাতন ও নতুন ধারালো অস্ত্র বানানো ও মেরামত করার ভীড় শুরু হয়। ঈদের আগের দিন র্পযন্ত এই ব্যস্ততা থাকে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে কামার শিল্পে। বৈদ্যুতিক সান দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম সান দেওয়া হয় ও হাফর বা জাতা দিয়ে বাতাস দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মটর।
    উপজলার গদাইপুর গ্রামের সন্তোস কর্মকার, রজন কর্মকার, আগড়ঘাটার বিশ্ব কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর দা, ছুরি, চাপাতিসহ কোরবানি বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করেন। বোয়ালিয়া মোড়ে অবস্থিত কামারশালার শিল্পী বিমল র্কমকার ও সুপম কর্মকার বলেন, লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ লোহা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা ও গাড়ীর পাতি ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি ক্রয় করতে হয়। পশু জবাই করার ছোট-বড় বিভিন্ন সরজ্ঞাম সাইজের উপর দাম নির্ভর করে। গদাইপুরের সন্তোষ কর্মকার বলেন, অর্ডার দিয়ে তৈরী করা নতুন চাপাতি তৈরীর মুজুরী ৫শ টাকা থেকে ৭শ টাকা, জবাই করা ছোরা ৩শ টাকা। আর তৈরী করা ছোট চাপাতি ৫শত টাকা, বড় চাপাতি ৭ শত থেকে ৮ শত, বড় ছোরা ৩ শত থেকে সাড়ে ৩ শতটাকা, চাকু ৫০ টাকা থেকে দেড় শত টাকা, বটি আড়াই শত থেকে ৩ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
    হরি গোপাল কর্মকার জানান, এই পেশায় আমরা খুব অবহেলিত। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বেশী হলেও সেই অনুযায়ী দাম পাই না। ফলে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক এই পেশা পরিবর্তন করছে বলে জানা গেছে।
    উপজেলার বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, দা, ছুরি, চাপাতি, চাকু ও বটির বেচাকেনা বেড়েছে। পৌর বাজারে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে আসা সিরাজুল ইসলাম, ওহাব, আবুল কালামসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা। কোরবানি ঈদের কয়েক দিন বাকি। তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার জন্য এসেছি।
    লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। তাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।

  • ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ২০ জন আটক

    ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ২০ জন আটক

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কালে ২০ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (৫ জুন) ভোরে মহেশপুরের মাটিলা গ্রামের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছে। বিজিবির ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মোহাম্মদ তারেক জানান, বিজিবির একটি টহল দল অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদের আটক করে। তাদের বাড়ি ফরিদপুর, বরিশাল, ঝিনাইদহ, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বলে বিজিবিকে জানায় তারা। তিনি আরও জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে আটককৃতদের মহেশপুর খানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • ঝিনাইদহে স্কুলের বিদ্যুৎতে চলে পুকুরের মাছ চাষ

    ঝিনাইদহে স্কুলের বিদ্যুৎতে চলে পুকুরের মাছ চাষ

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    স্কুলের বিদ্যুতে চলে লীজ দেওয়া পুকুরের মটর। এ ভাবেই সাইট লাইন দিয়ে চলছে প্রায় এক যুগ। কোন হৈচৈ নেই। নেই প্রশাসনিক পদক্ষেপ। প্রতি মাসে স্কুল ফান্ড থেকে ১০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হয়। অথচ স্কুলের পুকুরটি লীজ দেওয়া আছে অন্যের নামে। তিনি সেখানে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রঘুনাথপুর রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুরটি লীজ দেওয়া বারোবাজার এলাকার মাছ চাষি বাচ্চুর কাছে। স্কুলের কাছ থেকে লীজ নিয়ে তিনি সেখানে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন। পুকুরে একটি মটর বসানো আছে। স্কুল থেকে অবৈধ ভাবে সাইট লাইন নিয়ে মৎস্য চাষি বাচ্চু গভীর নলকূপ বসিয়ে সেচ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তার এই কাজে সহায়তা করছেন রঘুনাথপুর রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেন। রঘুনাথপুর ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইদ্রিস আলী ইদু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান এবং স্কুল সভাপতি আমির হোসেন প্রায় ১৫ বছর ধরে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে অবৈধভাবে সাইড লাইন দিয়ে পুকুরে বণিজ্যিকভাবে মাছ চাষে সহায়তা করে যাচ্ছে, যা সমিতির আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ জোনার অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথীন্দ্র নাথ বসাক জানান, অভিযোগের বিষয়টি এজিএমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে স্মারকলিপি প্রদান

    মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে স্মারকলিপি প্রদান

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    ঈদের সাত দিন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচলে আরোপ করা বিধিনিষেধ অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বাইকাররা।
    মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক বরাবর এই স্মারকলিপি দেন পঞ্চগড় বাইকার্স ক্লাব এবং ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের কয়েকজন বাইকার।
    স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন- যৌক্তিক কারণ ছাড়াই মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা সারাদেশের বাইকারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ঢাকা শহর থেকে ঈদ উদযাপনের জন্য ঘরমুখী অনেকেই নিজস্ব পরিবহণ ব্যবহার করে থাকে; এর মধ্যে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যাই অধিক। কিন্তু এই বিধিনিষেধের কারণে লাখো বাইকার পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে সমস্যার সম্মুখীন হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
    ফেসবুক ভিত্তিক প্লাটফর্ম ‘ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব’ এর এডমিন রাফাত সাদিফ বলেন, হেলমেট এবং আনুষাঙ্গিক নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহারসহ ট্রাফিক মেনে চললে সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। সুতরাং বৈধ কাগজপত্র থাকার শর্তসাপেক্ষে হলেও আগামী ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হোক।
    ফেসবুক ভিত্তিক প্লাটফর্ম ‘পঞ্চগড় বাইকার্স ক্লাব’ এর এডমিন রেজাউল করিম রাজু বলেন, এই বিধি নিষেধে নিজের জেলাতেও বিরম্বনার শিকার হতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমার বাড়ি পঞ্চগড়ে হলেও চাকুরির সুবাদে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাটোরে করেছি। এখন আমার মোটরসাইকেলে সেখানকার নম্বর প্লেট লাগানো। এই বিধিনিষেধেতো নিজ এলাকাতেও আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারবোনা। অনতিবিলম্বে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
    এসময় পঞ্চগড় ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব গ্রুপের মোডারেটর তাহমিদ সাকী, পঞ্চগড় বাইকার্স ক্লাব গ্রুপের মোডারেটর রিপন রায় এবয় কায়সার ইসলাম দিপু উপস্থিত ছিলেন।

  • নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের

    নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের।
    টিনশেড বাড়ির চারদিক নিস্তব্ধ। বেশ কয়েকবার ‘কেউ আছেন, কেউ আছেন’ বলে উচ্চস্বরে ডাকলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এগিয়ে আসেননি কেউ। কিছুক্ষণ পর একজন বর্ষীয়ান নারী এলেন। আমাদের পরিচয় জানার পর বাড়ির উঠানে বসতে দেন।
    এটিই নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বাড়ি। ৩০ বছর ধরে তিনি ওই কলেজে দর্শন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়কুলা গ্রামে তার বাড়িতে পুলিশ পাহারা।
    ১৮ জুনের ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে ফেরেননি অধ্যক্ষ। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
    অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী সোনালী দাস বলেন, আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি ওই কলেজে থাকুক তা অনেকে চান না। ঘটনার সময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের জানিয়েছিলেন, আইসিকে (মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) জানিয়েছিলেন এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় অনেকের সহযোগিতা চেয়েছিলেন আমার স্বামী। এরপরও সবার উপস্থিতিতে এত বড় ঘটনা ঘটল। তাকে আপমান-অপদস্থ করা হলো।
    তিনি বলেন, তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না। ঘটনার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই, করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তার কাছে কোনো মুঠোফোন নেই। অন্যের ফোন দিয়ে কয়েকবার সামান্য কথা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ে আছি। আমার স্বামী এ ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নয়। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
    মেয়ে শ্যামা রাণী বিশ্বাস বলেন, আমাদের কোনো নিরাপত্তাই নেই বললেই চলে। আমরা খুবই ভয়ে আছি। বাবা এখন কোথায় আছেন, আমরা সঠিক জানি না। আমাদের তিন বোনেরই পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মেজো বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে প্রাইভেট পড়তে যেতে পারছে না। ছোটরাও পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে। বাবার সঙ্গে যে অন্যয় হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অন্যায় না করেও তিনি অপমান-অপদস্থ হয়েছেন। এখন নিরাপত্তার অভাবে আমরা ঘরের বাইরে যেতে পারছি না।
    এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের একটি আবেগ ঘন পোস্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই কলেজে শিক্ষকতা করি। ছাত্ররা আমার প্রাণ, স্থানীয়রাও আমাকে ভালোবাসত। তবু আমার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে আমি কলেজে যাব। ওই পোস্টে চূড়ান্ত হেনস্তার বর্ণনা দিয়ে স্বপন কুমার বলেন, পুলিশ আমাকে কলেজ কক্ষ থেকে বের করে আনে। তখন দুই পাশে শত শত পুলিশ ছিল।
    এর মধ্যেই স্থানীয়রা আমাকে পুলিশের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দিল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের কাছে নেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেকে আঘাত করেন। আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ায় পায়ের কিছু জায়গায় কেটে যায়। তখন অনুভব করি পেছন থেকে কেউ আমার মাথায় আঘাত করছে। সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে মাসখানেক আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা করেছিল কলেজের প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। এরপর থেকেই চক্রটির তোপের মুখে আছেন তিনি।নড়াইলে গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে কলেজে যাব-ফেসবুকে অধ্যক্ষ আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার: স্ত্রী। বাবার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি: মেয়ে। ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ।

  • নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা

    নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
    নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা। নড়াইলে নিরাপত্তার অভাবে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষের তিন কন্যা। টিনশেড বাড়ি, চারদিক নীরব, নিস্তব্ধ। বেশ কয়েকবার ‘কেউ আছেন, কেউ আছেন’ বলে উচ্চস্বরে ডাকলেও বারবার বাড়ির ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। কেউ এগিয়ে আসেনি।
    কিছুক্ষণ পর একজন বৃদ্ধা মহিলা কাছে এসে পরিচয় জানার পর বাড়ির ওঠানে বসতে দেন। এ বাড়িটিই হচ্ছে স্বপন কুমার বিশ্বাসের। যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
    যদিও সরেজমিন সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়কুলা গ্রামে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের এ বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পুলিশ পাহারা বসেছে। তবে ১৮ জুনের ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে ফেরেননি ওই অধ্যক্ষ। তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
    নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই কলেজে দর্শন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৭ জুন তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
    ওই দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ওরফে বাপ্পী রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন- ‘প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম’। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কলেজের কিছু ছাত্র তাকে সেটি মুছে (ডিলিট) ফেলতে বলেন।
    এরপর ১৮ জুন সকালে অভিযুক্ত ছাত্র কলেজে আসলে তার সহপাঠীসহ সব মুসলিম ছাত্র তার গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের দাবি তুলে অধ্যক্ষের নিকট বিচার দেয়। কিন্তু ওই সময় ‘অধ্যক্ষ একই সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তাকে রক্ষা করার চেষ্টায় ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসেরও গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছিল।
    অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী সোনালী দাস বলেন, ‘আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার, তিনি ওই কলেজে থাকুক তা অনেকে চায় না। ঘটনার সময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের জানিয়েছিলেন, আইসিকে (মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) জানিয়েছিলেন এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষকসহ স্থানীয় অনেকের সবার সহযোগিতা চেয়েছিলেন আমার স্বামী (অধ্যক্ষ স্বপন কুমার)। এরপরও সবার উপস্থিতিতেই এত বড় ঘটনা ঘটল, তাকে অপমান অপদস্থ করা হলো।
    তিনি আরও বলেন, তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না। ঘটনার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি, তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই, করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন নেই। অন্যের ফোন দিয়ে কয়েকবার সামান্য কথা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ে আছি। আমার স্বামী এ ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নয়। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
    একই প্রসঙ্গে স্বপন কুমার বিশ্বাসের মেয়ে শ্যামা রাণী বিশ্বাস বলেন, আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। বর্তমানে আমরা খুবই ভয়ে আছি। আমার বাবা এখন কোথায় আছে আমরা সঠিক জানি না। আমাদের তিন বোনেরই পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। আমার মেজো (অধ্যক্ষের ২য় কন্যা) বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে প্রাইভেট পড়তে যেতে পারছে না। একই সঙ্গে ছোট বোনেরও পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে। আমার বাবার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অন্যায় না করেও তিনি অপমান অপদস্থ হয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তার অভাবে আমরা ঘরের বাইরে যেতে পারছি না।
    এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের একটি আবেগঘন পোস্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন- ‘৩০ বছর ধরে আমি এই কলেজে শিক্ষকতা করি। ছাত্ররা আমার প্রাণ, স্থানীয়রাও আমাকে ভালোবাসত। তবু আমার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে আমি কলেজে যাব।
    ওই পোস্টে চূড়ান্ত হেনস্তার বর্ণনা দিয়ে স্বপন কুমার আরও বলেন- ‘পুলিশ আমাকে কলেজ কক্ষ থেকে বের করে আনে। তখন দুই পাশে শত শত পুলিশ ছিল। এর মধ্যেই স্থানীয়রা আমাকে পুলিশের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দিল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের কাছে নেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেকেই আঘাত করেছে। আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ায় পায়ের কিছু জায়গায় কেটে যায়। তখন অনুভব করি পেছন থেকে কেউ আমার মাথায় আঘাত করছে।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে মাসখানেক আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা চালায় ওই কলেজের প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। এরপর থেকেই চক্রটির তোপের মুখে আছেন তিনি।

  • পঞ্চগড়ে মহানন্দায় ধরা পড়লো ৩২ কেজির বাঘাইড়

    পঞ্চগড়ে মহানন্দায় ধরা পড়লো ৩২ কেজির বাঘাইড়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মহানন্দা নদীতে একদল যুবকের জালে ৩২ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
    মঙ্গলবার (০৫ জুলাই ) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ সীমান্ত এলাকার এই নদী থেকে মাছটি ধরা হয়।
    জানা গেছে, দুপুরে দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের ১১ জন যুবক মহানন্দা নদীতে বড় জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার একপর্যায়ে তারা একটি বড় মাছের টের পান। মাছের অবস্থান বুঝে ওই যুবকেরা জালে ফেলেন। একসময় তাদের জাল একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ে।
    স্থানীয়দের ধারণা, সীমান্তবর্তী উপজেলার মহানন্দা নদীটি ভারত থেকে প্রবাহিত হওয়ায় বিরাট এই বাঘাইড় মাছটি ভারত থেকে আসতে পারে।
    এদিকে, মাছটি বাড়িতে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় জমাতে থাকে। অনেকে ওই মাছের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছেন। তবে মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারে তোলা হবে এবং প্রতিকেজি দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হবে বলে জানান ওই যুবকরা।
    ওই দলের যুবক সোহাগ, রাসেল, আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতিবছরই মহানন্দা নদীতে বাঘাইড় মাছ ধরা পড়লেও তাদের জালে এবারই প্রথম। বড় মাছ ধরার আনন্দটাই আলাদা।

  • নড়াইলে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা দুশ্চিন্তায়

    নড়াইলে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা দুশ্চিন্তায়

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছর বাণিজ্যিকভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদি পশু মোটাতাজা করেন জেলার খামারি ও কৃষক। এসব গবাদি পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়।
    গত বছর কুরবানির ঈদে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ১২ হাজার গরু ও ছাগল বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করেছে কৃষক। এ বছর কুরবানি ঈদে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩৮ হাজার পশুর জোগান দেবেন স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা। গত বছর ভারত থেকে নড়াইলে কুরবানির হাটে পশু কম আমদানি করায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। খামারিরা লাভও করেছিলেন বেশি।
    এ বছরও কুরবানিকে সামনে রেখে লাভের আশায় জেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় ৩৮ হাজার দেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করেছেন খামারিরা। হঠাৎ দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার প্রায় ৫ হাজার খামারি ও কৃষক। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্ব থেকে নড়াইলের গরুর খামারিরা কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে।
    এ বছর জেলার ৪৭৯২ জন খামারি ৬৪৭৪৮ গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করেছেন। যার মধ্যে ১৮৪৬৭টি দেশি গরু, ৪৬০৯৬টি ছাগল এবং ১৮৫টি ভেড়া রয়েছে। গত বছরের তুলনায় ২৯৮৯০টি পশু বেশি মোটাতাজা করা হয়েছে। এ বছর তিনটি উপজেলার মধ্যে লোহাগড়া উপজেলায় বেশি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে।
    নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা যায়, এ ঈদে জেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে সব মিলিয়ে (গরু, ছাগল ও ভেড়া) ২৭২৮২টি। জেলার খামারিরা যে পরিমাণ পশু মোটাতাজা করেছেন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩৭৪৬৬টি পশু বিভিন্ন জেলায় জোগান দিতে পারবেন।
    স্থানীয় খামারিরা জানান, গত বছর ভারতীয় গরুর উপস্থিতি স্থানীয় বাজারে কম থাকায় দেশি গরু-ছাগলের চাহিদা ছিল বেশি। খামারি ও কৃষকরা লাভও করেছিলেন বেশি। অনেক খামারি গতবারের তুলনায় এ বছর আরও বেশি গরু ও ছাগল মোটাতাজা করেছেন। নতুন নতুন খামার গড়ে উঠছে।
    খামারি ছাড়াও জেলার সাধারণ কৃষকরা বাড়তি আয়ের জন্য বাড়িতে গরু-ছাগল মোটাতাজা করছে। শেষ সময়ে ঈদ মৌসুমে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে জেলার খামারি ও কৃষক।
    কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের খামারি ইমরান শেখ জানান, গত বছর তার খামারে ৭টি গরু ছিল। ঈদের সময় বিক্রি করে ভালো লাভও হয়েছিল। এ বছর তিনি ১০টি গরু মোটাতাজা করেছেন। বন্যার কারণে কুরবানির চাহিদা কমে যাওয়ায় পশুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
    খামারি ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলায় মোট যে পশু মোটাতাজা করা হয়, এর ৬০ ভাগ মোটাতাজা করছেন খামারিরা। বাকি ৪০ ভাগ করছেন জেলার সাধারণ কৃষকরা। গরু ব্যবসায়ী আমিনুর বলেন, প্রতিবছর ঈদের সময় নড়াইলের বিভিন্ন হাট থেকে গরু কিনে সিলেট ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতাম। এ বছর সিলেট থেকে কোনো ব্যবসায়ীই যোগাযোগ করেনি। সিলেটের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ফোন দিলে এ বছর গরু নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
    নড়াইলের তিনটি উপজেলায় মোট ১১টি হাটে গরু বেচাকেনা হয়। ঈদকে সামনে রেখে আরও কয়েক জায়গায় অস্থায়ী গরুর হাট বসে। স্থানীয় গরুর মালিকরা এসব হাটে গরু বিক্রি করেন। ১১টি হাটের মধ্যে ৪টি বড় হাট হলো মাইজপাড়া, লোহাগড়া, শিয়েরবর ও পহরডাঙ্গা গরুর হাট। বর্তমানে এ পেশায় জড়িত রয়েছেন জেলার প্রায় ৪২ হাজার মানুষ। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মারুফ হাসান জানান, ১০-১২ বছর আগে নড়াইলের চাষিরা অল্প পরিসরে গরু মোটাতাজা করতেন।
    বর্তমানে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পশু মোটাতাজা করেন চাষিরা। চলতি ঈদ মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৩৮ হাজার গরু, ছাগল জোগান দেবেন নড়াইলের স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা।

  • দিনাজপুর সদর উপজেলায় গোশাইপুর গ্রামে  ব্র্যাক সেলপ কর্মসুচির পল্লীসমাজ পুর্নগঠন।

    দিনাজপুর সদর উপজেলায় গোশাইপুর গ্রামে ব্র্যাক সেলপ কর্মসুচির পল্লীসমাজ পুর্নগঠন।

    অদ্য রোজ মঙ্গলবার বিকাল ২.০০ ঘটিকার সময় দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের উত্তর গোশাইপুর গ্রামে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচির আয়োজনে নারী, পুরুষ, কিশোর- কিশোরীদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে সহিংসতামুক্ত পরিবার গঠন এবং সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা হ্রাস করনের লক্ষ্যে নারী, পুরুষ, কিশোর- কিশোরী দল নিয়ে সর্বমোট ৬০ জন সদস্য নিয়ে উত্তর গোশাইপুর ০৪ নং পল্লীসমাজ পুর্নগঠন করা হয়। পল্লীসমাজ পুর্নগঠন এর উদ্দেশ্য হলো নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নারী- পুরুষ এবং কিশোর-কিশোরীদের সংগঠিত করা। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকারে স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। সকলের মতামতের ভিত্তিতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। সকল সদস্য স্বতঃর্স্ফুত ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন এবং তারা তাদের নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আগামীতে পালন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। পল্লীসমাজ পুর্নগঠনে সেলপ অফিসার মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ এর সহযোগিতায় ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচির ডেপুটি ম্যানেজার (লিগ্যাল এইড এন্ড ভাউসি) মোঃ সেলিম রেজা সহ নানা পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।

  • ব্যক্তি বনাম নেত্রী” শব্দের বিতর্ক নিয়ে মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বুলুর সংবাদ সম্মেলন

    ব্যক্তি বনাম নেত্রী” শব্দের বিতর্ক নিয়ে মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বুলুর সংবাদ সম্মেলন

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    আগামী ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বুলু “ব্যক্তি বনাম নেত্রী” শব্দ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
    জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বুলু লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৯ জুন তারিখে আমি আমার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছি যে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমি একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি অথচ ব্যক্তি শব্দটিকে একটি কুচক্রীমহল নেত্রী বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে মিথ্যা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই ওই দিনের বক্তব্যে আমি কখনো নেত্রী শব্দটি উচ্চারণ করিনি। আমার বক্তব্যের ভিডিওটিকে একটি দুষ্টচক্র সুপার এডিটিং করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়ে আমার মান সম্মান ও রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষুন্ন করার পায়তারা করছে। আমি এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজবের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এই ধরনের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। পৌরবাসী আমার সাথেই আছে তারা আবারো আমাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবেন ইনশাল্লাহ।