Blog

  • নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র যুবকের লাশ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার

    নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজ ছাত্র যুবকের লাশ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার

    দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আত্রাই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ এক যুবকের লাশ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোর ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে লাশটি উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। নিহত যুবক হচ্ছে মাহবুর রহমান মালেক (২৬)।
    সে উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে ও দিনাজপুর আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

    পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ জুলাই শুক্রবার আনুমানিক দুপুর ১২ টায় বাড়ির পার্শ্বে আত্রাই নদীতে ২ জনের সঙ্গে গোসল করতে যায়। গোসলের একপর্যায়ে মালেক পানিতে তলিয়ে যায়।
    খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে পার্শ্বেবর্তী উপজেলা খানসামার ফায়ার সার্ভিস ও রংপুর এর ডুবুরী বাহিনী এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাত ৮ টা পর্যন্ত ওই যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাতে খোঁজাখুঁজি বন্ধ থাকার পর শনিবার ভোরে আবার শুরু করে স্থানীয় লোকজন।
    একপর্যায়ে ১৭ ঘন্টা পরে ভোর ৫ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
    মালেক সাঁতার জানত না বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

    মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন)
    দিনাজপুর প্রতিনিধি।

  • বীরগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

    বীরগঞ্জে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

    দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জের পল্লীতে পুকুরের পানিতে ডুবে মোস্তাকিন নামে দশ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
    শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ভূল্লিরহাটের উত্তর পাশে ভগীরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার মোঃ জহুরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাকিন (১০)।
    উপজেলার ১০নং মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে বাসা থেকে তিন জনের সাথে খেলতে বের হয় মোস্তাকিন। ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ কে আবগত করা হয়।
    সংবাদ পেয়ে এসআই মমিনুল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন।
    এব্যাপারে বীরগঞ্জ থানার এসআই মমিনুল জানান, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, শিশুটির মৃগী রোগ ছিল। শিশুর পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফন করতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন)
    দিনাজপুর প্রতিনিধি।

  • পাইকগাছায় বিশাল গাঁজা গাছ উদ্ধার ; চাষী গ্রেফতার

    পাইকগাছায় বিশাল গাঁজা গাছ উদ্ধার ; চাষী গ্রেফতার

    ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
    খুলনার পাইকগাছায় থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বটবৃক্ষের মতো বিশাল এক গাঁজা গাছ উদ্ধার করেছে । একই সাথে গাছের মালিক চাষী সঞ্জয় দে (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে । সে উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের হরিদাসকাটি গ্রামের মৃত বৈদ্যনাথ দে’র ছেলে । শনিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশের আইসি সঞ্জিত বিশ্বাস ও থানার এসআই উত্তম চক্রবর্তী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সঞ্জয়ের পানের বরজ থেকে এ গাঁজা গাছ উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা জানায় সে দীর্ঘদিন ধরে গাজা চাষ করে আসছে। উদ্ধারকৃত গাছের বয়স এক/ দেড় বছর হবে বলে ধারনা করছে পুলিশ। এব্যাপারে পাইকগাছা থানা ওসি জিয়াউর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত গাজা গাছটি বটবৃক্ষের মত বড়। গোপন সংবাদে গাছটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে গাছের মালিককে। থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা,খুলনা।

  • বানারীপাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় সায়েমের দাফন সম্পন্ন

    বানারীপাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় সায়েমের দাফন সম্পন্ন

    আব্দুল আউয়াল,
    বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:

    বরিশালের বানারীপাড়ায় সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মহিষাপোতা গ্রামের মোঃ ইয়াকুব আলির (ইয়াকুব রাজ) ছেলে মোঃ সায়েম আর নেই। (ইন্না…রাজিউন) গত ৯ জুলাই রোজ শনিবার গুয়াচিত্রা বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন বরিশাল- বানারীপাড়া সড়কে মোটরসাইকেল এবং আলফা মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম এবং সাব্বির (মোটরসাইকেল আরোহী) গুরুতর ভাবে আহত হয়। সাব্বির মোটামুটি সুস্থ হলেও ১৫ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সায়েম মারা যায়। ১৬ জুলাই সকাল ১০টায় মহিষাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর মাঠে সায়েমের জানাযার নামাজ পড়ানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৫নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মাস্টার, সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মিন্টু ইউপি সদস্য মোঃ আবু তুর্কি টুলু এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।এদিকে সায়েমের মৃত্যুর সংবাদ শুনে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কয়েক বছর পূর্বে ওর বড় ভাইও নির্মানাধীন ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিল।

    আব্দুল আউয়াল
    বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:

  • কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কর্তৃক ভাতিজি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কর্তৃক ভাতিজি দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কর্তৃক প্রতিবেশী ছোট ভাইয়ের মেয়েকে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতারী গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় চঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

    সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতারী গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা খাতুন (১৬)’র আট মাস আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী গ্রামের জাহানুর ইসলাম (৩০)’র সাথে। জাহানুর ঢাকায় থাকার সুবাদে আয়েশা তার বাবার বাড়িতেই থাকতো। বাবার বাড়িতে থাকাকালীন প্রতিবেশী বড় চাচা রেজাউল ইসলাম রেজার (৩২) এর লালসার শিকার হন। রেজাউল ইসলাম রেজা ওই গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে এবং ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক। এ ঘটনায় আয়েশা খাতুনকে গতকাল শুক্রবার ডিভোর্স দিয়েছে স্বামী জাহানুল ইসলাম। ডিভোর্সের পরে ১৬জুলাই বিকেলে রেজাউলের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলে রেজাউলের বাড়ির লোকজন গলা ধাক্কা দিয়ে তাকে বের করে দেয়। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে ফুলবাড়ী থানায় যাওয়ার পথে স্থানীয় দেওয়ানী বিষয়টি ফয়সালা করে দেয়ার কথা বললে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আমিনুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান নেয় আয়েশা খাতুন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়েটি গ্রাম পুলিশ আমিনুল ইসলামের বাড়িতে রয়েছে।

    আয়েশা খাতুনের মাতা আরজিনা বেগম জানান, আমার মেয়েটির যে জায়গায় বিয়ে হয়েছিল সেখানে সুখের সংসার করছিল। কিন্তু লম্পট রেজাউল আমার মেয়েটাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার অজান্তে আমার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করে পেটে বাচ্চা এনেছে। এ ঘটনায় জেনে আমার জামাই আমার মেয়েটাকে ডিভোর্স দিয়েছে। এখন আমার মেয়ের পেটে দেড় মাসের বাচ্চা এ বাচ্চার পরিচয় কি হবে? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

    আয়েশা খাতুনের বাবা আমিনুল ইসলাম জানান, আমি গরিব মানুষ অতি কষ্টে আমার মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি, কিন্তু রেজাউল আমার মেয়েটির এই সর্বনাশ করল আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

    আয়েশা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে রেজাউল আমাকে বিভিন্ন ধরনের উত্ত্যক্ত করত। আমি বাড়িতে থাকা অবস্থায় আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার সাথে জোরপূর্ব শারীরিক সম্পর্ক করে। যার ফলে রেজাউলের সন্তান এখন আমার পেটে আমিও এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

    অভিযুক্ত রেজাউল ইসলামের।মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

    নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ঘটনায় মেয়েটিকে তার স্বামী তালাক দিয়েছে। সংশ্নিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

    ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ও অভিযোগও পাইনি।

  • নড়াইলে মহানবী (সা:)কে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য, বাবা আটক

    নড়াইলে মহানবী (সা:)কে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য, বাবা আটক

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে মহানবী (সা:)কে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্য, বাবা আটক। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়া এলাকায় কলেজছাত্র আকাশ সাহা ফেসবুকে মহানবীকে (সা:) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৫ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর বিষয়টি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।
    এদিকে ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে স্থানীয় লোকজন ৪-৫ টি বাড়িঘর এবং দিঘলিয়া বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন সন্ধ্যার পর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বাবা অশোক সাহাকে আটক করেছে পুলিশ।
    লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। যে বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল, তা নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
    লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী বলেন, আকাশ সাহা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের বাবা অশোক সাহাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তার ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মূল অভিযুক্ত আকাশ পলাতক রয়েছে।
    এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় (পিপিএম বার)। এ সময় তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশসহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের ও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  • অনাবৃষ্টিতে  বরেন্দ্রঅঞ্চলের  ভূমি পুড়ছে, কৃষক কাঁদছে। আল্লাহ পানি দাও।

    অনাবৃষ্টিতে বরেন্দ্রঅঞ্চলের ভূমি পুড়ছে, কৃষক কাঁদছে। আল্লাহ পানি দাও।

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ খরতাপের দাপট দেখিয়ে আষাঢ় গেল। শ্রাবণ এলেও আসেনি প্রত্যাশিত বৃষ্টি। পুরো আষাঢ়জুড়ে ছিল প্রচন্ড তাপাদহ। সকালের সূর্যটা যেন উদয় হয় ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আগুনের হল্কা নিয়ে। বেলা যত বাড়ে তাপ তত বাড়ে। উঠে যায় ৩৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। চৈত্র বৈশাখের দহন চলেছে আষাঢ়জুড়ে। এমন তাপাদহ দেখে বোঝার উপায় ছিলনা আষাঢ় মাস।

    প্রচন্ড খরতাপে গোটা বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকের লাগানো ফসল মরে যাচ্ছে, পুড়েছে প্রকৃতি, মানুষ, পশুপাখি, ফসলের ক্ষেত। এক অসহনীয় গুমোট অবস্থা। ফসলের ক্ষেত, অফিস, বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোথাও স্বস্তি নেই। মানুষ দর দর করে ঘামছে। এর সাথে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের আসা যাওয়া পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলেছে। প্রচন্ড তাপাদহে কাহিল হয়ে পড়েছে বয়স্ক ও হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা। হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।

    এ অঞ্চলের লাইফ লাইন পদ্মা নদীতে এবার এখনো পানি আসেনি। একদিকে বৃষ্টিহীনতা অন্যদিকে ভারতের ফারাক্কা দিয়ে পানি আটকে রাখার কারনে বিশাল বালিচরের নীচে চাপা পড়া মরা পদ্মা এখনো জেগে ওঠেনি। শুধু পদ্মা নয় তার শাখা নদ নদীগুলো প্রান পায়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় খাল বিল ভরেনি। চারিদিকে চলছে পানির জন্য হাহাকার। মানুষ চাতক পাখির মত চেয়ে আছে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির দিকে।
    প্রচন্ড খরতাপের কারনে পদ্মার বিশাল বালিচর মানুষকে বিড়ন্বনায় ফেলেছে। দুপুরের আগে বালিচর তপ্ত কড়াইয়ে পরিনত হচ্ছে। তপ্ত বালি বাতাসে ভেসে এসে চোখে মুখে জ্বালা ধরাচ্ছে। সবচেয়ে কষ্টে আছে নদী তীরবর্তী মানুষ। নদীর তীরজুড়ে মাইলের পর মাইলজুড়ে দরিদ্র মানুষের বসতি। টিনের এসব বাড়ি ঘর দশ বারো ফুটের বেশী উচ্চ নয়। সেই টিনের চালা চুইয়ে যেন তাপ ঘরের ভেতরে নামছে। উপর দিকে তাপ অন্যদিকে গরম বালি মিশ্রিত বাতাস। জানালা নামক ঝাপও খোলা রাখা যায়না। ঘরের ভেতর এক দম বন্ধকর অবস্থা। সাধারনত চৈত্র বৈশাখে এমন অবস্থা হলে এখন জৈষ্ঠ আষাঢ়জুড়ে এমন অবস্থা চলছে। যেন খরার সময় আরো প্রলম্বিত হয়েছে। প্রবীনরা বলছেন এই পদ্মা ছিল আর্শীবাদের। বাতাসে এ নদীর পানি ছুঁয়ে এসে গায়ে শীতলতার পরশ দিত। আর এখন বাতাসে নদীর তপ্ত বালির ঝাপটা।

    এক সময়ে পদ্মা তীরের নির্মল আবহাওয়ার কথা ভেবে নগরীর পশ্চিমাঞ্চলে বৃটিশ আমলে নদীর তীর ঘেষে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, পুলিশ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন, বিচারকদের আবাসস্থল গড়ে তোলা হয়। সার্কিট হাউস, জেলখানা, রিভার ভিউ স্কুল নামে পদ্মামূখী স্কুল এখনো কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে। সব ঠিক আছে শুধু নেই প্রমত্ত পদ্মার সেই রুপ। ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে তিলে তিলে মেরে ফেলা হয়েছে প্রমত্ত পদ্মাকে। এখনো বিহার অঞ্চলে ভারী বর্ষন কিংবা বন্যা না হওয়ায় মরা পদ্মায় বান ডাকেনি। ওপারে বন্যা হলে বরাবরের মত ফারাক্কার সবকটি গেট খুলে দেয়া হবে। ঠেলে দেয়া হবে বিপুল ঘোলা পানি। নাব্যতা হারানো কারনে চারিদিকে সৃষ্টি হবে বন্যা। শুকনো মওসুমে পানি না দিয়ে শুকিয়ে মারা আর বর্ষার সময় ডুবিয়ে মারার খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে ভারতের পানি জল্লাদরা।

    এমন অবস্থা চলছে। যেন খরার সময় আরো প্রলম্বিত হয়েছে। প্রবীনরা বলছেন এই পদ্মা ছিল আর্শীবাদের। বাতাসে এ নদীর পানি ছুঁয়ে এসে গায়ে শীতলতার পরশ দিত। আর এখন বাতাসে নদীর তপ্ত বালির ঝাপটা।

    আষাঢ় শ্রাবন মাসে চরে ফুটবল খেলার দৃশ্য বলে দেয় পদ্মা করুন দশা। বৃষ্টিহীনতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠ পয্যায়ে গিয়ে দেখা যায় বোরো ধান কাটার পর এখন পর্যন্ত বীজতলা তৈরী করতে পারেনি। আমন আর শাকস্বব্জির বীজতলা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছে। প্রচন্ড খরতাপে সব নেতিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে আবহাওয়া সহনীয় হবার পর তারা চাষাবাদে নামবেন।

    রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে এখানে গত জুন মাসে সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর আর বৃষ্টির দেখা নেই। এখানকার সিনিয়র পর্য়বেক্ষক গাউসুজ্জামানের অভিমত রাজশাহীতে বিগত বছর গুলোয় বৃষ্টিপাতের পরিমান অনেক কমেছে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে হচ্ছে। গত ১৪ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল প্রায় বিয়াল্লিশ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এখনো মৃদুতাপদাহ চলছে। তাপমাত্রা ৩৬/৩৯ ডিগ্রী মেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। তাছাড়া আমরা নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করছি। সে তুলনায় গাছ লাগানোর পরিমান কম। পানির আধার বিশেষ করে পুকুরগুলো ভরাট হতে হতে পুকুরশূন্য হতে চলেছে। তাছাড়া নদীর নাব্যতা কমেছে। সব মিলিয়ে জলবায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাবের কারনে আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা বাড়ছে। বৃষ্টির পানির জন্য মাঠে মাঠে কৃষকের হাহাকার, বিদ্যুতের লুকোচুরির কারণে ডিপটিউল গুলোতে কৃষকদের দিন রাত সব সময় লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে।

    রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার কৃষক আব্দুল্লাহ মামুন জানান, আমি সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে রোপা আমন আবাদ করেছি। টানা প্রায় ২০ দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আমার ধানের জমিতে পানি শুকিয়ে জমি ফেঁটে চৈচির হয়ে গেছে। ডিপ-টিউবওয়েল থেকে পুরো জমিতে পানি দিয়ে তা কভার করা সম্ভব হচ্ছে না। একদিন পর পর জমিতে পানির প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে বৃষ্টির পানি ছাড়া ফসল বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে জানান এই কৃষক।

    মহিশালবাড়ী এলাকার শামসুল ইসলাম নামের অপর কৃষক জানান, বর্তমান সময়টা কৃষক আকাশের বৃষ্টির নির্ভর করে আবাদ করে থাকে কিন্তু আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও বৃষ্টির কোন দেখা নাই। ফলে বৃষ্টির অভাবে পুরো আবাদ করতে পারিনি। ডিপ-টিউবওয়েলেও পানি সঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না ফলে আবাদ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বলে এই কৃষক জানান।
    তানোর উপজেলার কৃষক রফিকুল জানান, বর্তমান যে খড়া এমন অবস্থান ধানের জমিতে প্রচার পানির প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। শ্রীঘ্রই বৃষ্টির পানি না হলে ফসল বাঁচানো দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে তিনি জানান।
    চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার কৃষক আতাউর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে আমরা আবাদ শুরু করতে পারিনি। আমাদের সব জমি ডিপ-টিউবওয়েলের আওতায় না হওয়ার করনে বেশকিছু জমি আবাদ শুরু করতে পারিনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি কখন বৃষ্টি হবে তখনই আবাদ শুরু করবো।

    গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শারমিন সুলতানা বলেন, এবার উপজেলায় ২৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গতবার ২৪ হাজার ৯৭৫ হেক্টর ছিলো। বৃষ্টির কারনে অনেক কৃষকের আবাদ বন্ধ আছে আবার যাদের আবাদ করা হয়েছে তাদের পানির সংকট থাকায় জমিতে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
    এসব সমস্যা নিয়ে আমরা বিএমডিএর সাথে কথা বলেছি তারা যাতে কৃষকদের সময় মতো পানি দেয়। তবে চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ না দিয়ে পারায় কৃষকরা বিপদে পড়ছে। যেহেতু এটা প্রাকৃতিক বিষয় তাই বৃষ্টি না হলে কৃষকদের পানির সমস্যা সহসা সমাধান করা সম্ভন নয়।

    রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান জানান, এবার রোপা-আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। গতবার আবাদ হয়েছিলো ৭৭ হাজার ৩২৫ হেক্টর ।

    রাজশাহী অঞ্চলে টানা ২০ দিন বৃষ্টি নাই ফলে কৃষকরা সময়মত আবাদ শুরু করতে পারেনি। আমরা বিএমডিএর সাথে কথা বলেছি কৃষকদের ঠিক মত যাতে পানি সরবরাহ করে। অনাবৃষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত ফসলের বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি । আগামী সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আশাকরা যায় অতিদ্রুত পানির সমস্যা কেটে যাবে । এদিকে গোদাগাড়ীতে বৃষ্টির জন্য ধর্মপ্রান মানুষ আল্লাহর দরবারে ইস্তেকার নামাজ আদায় করছেন।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • নড়াইলে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছনা সেই অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুলের মালা দিয়ে বরণের প্রস্তুতি

    নড়াইলে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছনা সেই অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুলের মালা দিয়ে বরণের প্রস্তুতি

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুলের মালা দিয়ে বরণের প্রস্তুতি। নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছনার ২৮ দিন পর রোববার (১৭ জুলাই) থেকে কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তী শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
    তিনি জানান, গত বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় রোববার কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ১৮ জুন কলেজে সৃষ্ট ঘটনার পরদিন থেকে কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ঈদুল আযহাসহ অন্যান্য ছুটিও ছিল।
    এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস অন্তরালে আছেন। এখনো বাড়িতে থাকছেন না। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে গিয়ে তার দেখা মেলেনি।
    তবে তার মা বনলতা বিশ্বাস বলেন, আমার ছেলেকে (স্বপন বিশ্বাস) জুতার মালা পরিয়ে যেভাবে অপমান-অপদস্ত করা হয়েছে, তাতে সবাই লজ্জিত। এ ঘটনায় সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত হয়েছে। আমার ছেলে কলেজে গেলে তাকে স্ব-সম্মানে মর্যাদা দিতে হবে। ভালোবাসা ও মর্যাদা দিয়ে ফুলের মালায় বরণ করে নিলেই কলেজে যোগদান করবে সে। এটাই আমার চাওয়া।
    স্বপন বিশ্বাসের মা বনলতা আরো বলেন, আমরা মানসিক ভাবে অনেক দুর্বল। তাই সামাজিক ভাবে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়।
    অন্যদিকে, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত।
    এ ব্যাপারে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অচিন চক্রবর্ত্তী বলেন, অধ্যক্ষকে রোববারই কলেজে যোগদান করতে অনুরোধ করেছি। আমরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করতে প্রস্তুতও আছি।
    এ ব্যাপারে বিছালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আনিসুর রহমান বলেন, কলেজে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার কারণে অনেকদিন কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ক্ষতি হচ্ছে। রোববার কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার স্যারকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, রোববার থেকে সুষ্ঠু সুন্দর ভাবে কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা হবে।
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত পাঁচজন রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না।

  • রাণীশংকৈল কলেজ মসজিদের ইমাম গ্রেফতার মসুলিদের মধ্যে ক্ষোভ

    রাণীশংকৈল কলেজ মসজিদের ইমাম গ্রেফতার মসুলিদের মধ্যে ক্ষোভ

    রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ
    ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরে কলেজ মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড ভূক্ত করেছে থানা পুলিশ। পরদিন শনিবার এজাহার নামীয় ইমাম কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভের স ার হয়েছে মুসল্লিদের মধ্যে।
    স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি প্রাচীর নির্মাণ কে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল যা নিয়ে পৌর মেয়র ও ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে। এতে সাইদুর ও শামিমা আকতার আপোষ মিমাংসায় হাজির হয়নি। গত ১৪জুলাই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে একপক্ষে শামিমা আকতার (৪০) অপর পক্ষে রুনা আক্তার ও আব্দুর সুভান আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১৫ জুলাই রাতে উপভয় পক্ষে পৃথক ২টি এজাহার দাখিল করে। কিন্তু থানা পুলিশ তদন্ত ছাড়াই সাইদুরের অভিযোগ আমলে নিয়ে সাংবাদিকের জামাই কলেজ মসজিদের ইমাম মজিবর রহমান কে গ্রেতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
    এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসাহাক আলী বলেন, ইমাম সাহেব একজন শান্তপ্রিয় লোক তাকে গ্রেফতার করা ঠিক হয়নি। তাছাড়া প্রাচীরের ঘটনায় পৌরসভা থেকে আপোষ মিমাংসা ডাকা হয়েছিল সাইদুরের লোকজন হাজির হয়নি।
    পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানি যেহেতু উভয় পক্ষে মারপিটের শিকার হয়েছে দূ পক্ষের অভিযোগ আমলে নেওয়া উচিৎ ছিল। একপক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পক্ষ পাতিত্বের প্রমান দিয়েছে।
    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই এরশাদ আলী বলেন, মামলা রেকর্ড হওয়ার পর আসামি প্রকাশে ঘুরে বেড়াবে এটা ঠিক নয়। তবে অভিযোগটি তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড করা নিয়ম আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মামলা রেকর্ড করে পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে আমাকে দিয়েছে আমি এরপর খোঁজখবর নেই। তবে পিও ভিজিট এখনো করা হয়নি।
    এ প্রসঙ্গে রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, মামলা যে কেউ তদন্ত করতে পারে । অভিযোগটি এসআই বদিউজ্জামান তদন্ত করছে। আর তদন্তকারি কর্মকর্তা করা হয়েছে এসআই এরশাদকে এটা কোন ব্যপার না।

    এস আর মানিক
    রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও

  • ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের পেট ফেটে জন্ম নিল নবজাত শিশু

    ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের পেট ফেটে জন্ম নিল নবজাত শিশু

    ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে গর্ভে থাকা সাত মাস বয়সী নবজাতক। বাচ্চাটি সুস্থ আছে। বর্তমানে বাচ্চাটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে পৌর শহরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, স্বামী জাহাঙ্গির আলম, স্ত্রী রত্না বেগম ও শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলায়।

    জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাড়ি থেকে ত্রিশাল এসেছিলেন জাহাঙ্গির। রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহ গামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান মারা যায়। কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে গর্ভে থাকা সাত মাস বয়সী নবজাতক। সড়ক দুর্ঘটনার সময় অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেট ফেটে সাত মাসের নবজাতক বেরিয়ে যায়। তবে, আশার কথা হলো, নবজাতক বেঁচে আছেন। তাকে ভর্তি করা হয়েছে ময়মনসিংহের সিবিএমসিবি হাসপাতালে।

    ত্রিশাল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ৫ বছরের সন্তান নিয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে এসেছিল। রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহ গামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান মারা যায়। এ সময় অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগমের পেটে থাকা শিশু চাপ খেয়ে সড়কেই প্রসব হয়। নবজাতক মেয়ে বাচ্চাটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বাচ্চাটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।