মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,একসময় এদেশকে সোনালী আশের দেশ বলা হতো,কারন পাট রপ্তানিই ছিলো বাংলাদেশের অর্থকারী ফসল।পাট থেকে পাট জাতদ্রব্য তৈরী হতো, বস্তা,সালা,ব্যাগ,রশি,সুতা,খেলধানী,শারী,লুঙ্গি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী হয়ে রপ্তানি হতো,পাট খড়ি হতে কাগজ,মলট,হার্ডবোর্ডসহ জালানী সামগ্রী তৈরী হতো।কালের বিবর্তনে আজ কৃষকরা পাট করতে আগ্রহী না,কারন গত বেশ একটি যোগ দেশে পাটের বাজারে দস নামায় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাই এখন আর পাট আগের ন্যায় চাষ করে না,এবার কুমিল্লা উত্তর অঞ্চলের ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা ইউনিয়নের মনগজ,বলাকিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন পাট চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এব্যাপারে একাদিক কৃষকরা জানান পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার পাট উৎপাদনে বেশ বাম্পার ফলন হয়েছে তবে পানি সংকটে আছেন তারা,পানির অভাবে কাচাপাট কেটে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হতো জমিতে কিংবা ডোবায়। জমিরপানি নেমে যাওয়ার ফলে দিনমুজুর বেশি লাগতেছে। তারা আরো জানায় তাদের এলাকায় প্রায় ১০০ কানি জমি পাট চাষে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে তবেপানির অভাবে দিনমজুরের সংখ্যা বেশি লাগায় লাগায় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা করছেন অনেক কৃষক।এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা বলক সুপার ভাইজার মোঃ হোসেন জানান পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার কৃষকরা পাট চাষে লাভবান হবেন,সরকার বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন চাষীদের। পাটের বাজারও ভালো। একমন পাটের বর্তমান মূল্য প্রায় ১৮০০/২০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এককানী ত্রিশশতকে পাট ফলন হচ্ছে ৯/১০ মন পাট,সাথে রয়েছে পাটখড়ি। পাটখড়ি জালানি হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে। ভবিষ্যতে পাট চাষে কৃষক দের আগ্রহ বাড়াতে সরকারের সহায়তা থাকবে।
Blog
-
বরগুনা আমতলীর সড়কে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
বরগুনার আমতলীতে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।শনিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা সড়কে আমতলীর ব্রিকফিন্ড নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বাস যাত্রী মো. রিয়াদ (৩০) বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় অন্যদের নাম জানা যায়নি।
আমতলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঢাকা থেকে রাজিব পরিবহন (ঢাকা মেট্টো- ০-১৫-২১৭৫) নামে একটি বাস যাত্রী নিয়ে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি রাত পৌনে ৩ টার দিকে আমতলী উপজেলার ব্রিকফিল্ড নামক স্থানে পৌছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের (ঢাকা মেট্টো- ১৪-১১৫৯) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বাসটি দুমরে মুছরে উল্টে পাশের একটি খাদে পরে যায়। এসময় বাসের মধ্যে থাকা অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা আমতলী ও পটুয়াখালী হাসপাতালে নেয়।
তবে গুরুতর আহত বাস যাত্রী মো. রিয়াদের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাৎক্ষনিক তাকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান জানান, বরিশাল নেয়ার পথে মো. রিদয় নামে গুরুতর আহত এক বাস যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।
-
শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, শিক্ষাবান্ধব সরকার, ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি।
মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহী ১ আসনের এমপি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, শিক্ষাবান্ধব সরকার। প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মান করেছেন। দেশের এখনো অনেক উন্নয়ন কাজ বাকি আছে। সেই কাজটি? আওয়ামী লীগ সরকার করছে, আগামীতেও করতে চাই। শেখ হাসিনা আগামীতেও ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন-এটি আপনারা-আমরা সকলে চাই। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ ভালো, নিরাপদে ও শান্তিতে আছে। সেই কারণে আওয়ামী লীগকে দরকার। আওয়ামী লীগের মতো অপরিহার্য দল বাংলাদেশ আর নেই।
তিনি আরো বলেন, একটি সুযোগ পেলে এবং একটু সুযোগ না পেলেও যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলে, সেই খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল গংরা বলেছিল পদ্মা সেতু হবে না, বৈদেশিক মুদ্রা রির্জাভ হঠাৎ করে নাই হয়ে যাবে। তাদের মুখে ছাঁই দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এ বছর ঈদের আগ পর্যন্ত প্রবাসী ভাইয়েরা ৫২ বিলিয়ন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এটিই শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এই টাকা তো আগেও আসার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি সরকারের সময়ে আসেনি। কারণ তখন ব্যাংকিং চ্যানেল ছিল না। এখন ব্যাংকিং চ্যানেল এতো সোজা করে দিয়েছেন আমাদের নেত্রী, প্রবাসীরা নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংকিং চ্যানেল দিয়ে টাকা বাংলাদেশে পরিবারের কাছে পাঠায়।
আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘ঈদের পরে আন্দোলন হবে।’ আজ ৭ বছরেও সেই আন্দোলনের শেষ হয়নি, শুরুও হয়নি, সেই আন্দোলনের কোন খবরই নাই। বিএনপি নিজের আন্দোলন নিজেই খেয়ে ফেলে ঘরে মধ্যে ঢুকে বসে আছে। যে দলের নেতারা ঢাকায় চমৎকার বাড়ি ছেড়ে, এসি গাড়ি ছেড়ে রাজপথে সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে, পথে-প্রান্তরে দাঁড়িয়ে মানুষের সাথে কথা বলার মানসিকতা রাখে না। সেই দলের কথায় বাংলার মানুষ কান দেবে, সেটি হবে না। নিন্দুক থাকে তারা নিন্দা করবে, অপপ্রচার করে, আর জ্ঞানী লোকেরা বলেন, আপনি ভাল কাজ করেন আপনার শত্রুর, প্রতিপক্ষের অভাব হবে না। প্রধান মন্ত্রী অনেক কাজ করেছেন, আগামীতে করবেন কিন্তু বিএনপির নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অপপ্রচার করছেন, গুজব করছেন, এ সব গুজাবে কান দিবেন না। আপনাদের প্রত্যকের উন্নয়ন হয়েছে। যে কোন সমস্যার জন্য আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো ইনসাল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, উপমহাদেশে আওয়ামী লীগের মতো এতো প্রাচীন ও বিশাল দল একটিও নেই। আওয়ামী লীগ বটগাছের মতো দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ছাঁয়া দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ আছে বলেই বাংলাদেশ টিকে আছে।
গোদাগাড়ীর বিজয়নগর হতে খারিজাগাথী ঈদগাঁ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওমর ফারুক চৌধুরী এসব কথা বলেন। রবিবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলার দেওপাড়া এলাকার মোল্লাপড়া গ্রামে এক পথ সভার আয়োজন করা হলেও । শত শত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে পথ সভাটি জনসভায় রুপ নেয়। দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষায়ক সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দীন সোহেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী ১ আসনের এমপি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ মনিরুজ্জামান, প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান, উপজেলার এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ সাদরুল ইসলাম,জেলা পরিষদ সদস্য, মহিলালীগ নেত্রী কৃষ্ণা দেবী, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল বাশার সুজন, কৃষকলীগ নেতা হেলাল উদ্দীন, সাবেক যুবলীগ নেতা শাহীম রেজা রাজু প্রমূখ।
উপজেলার প্রকৌশলী মোঃ সাদরুল ইসলাম বলেন, ৭ শ ১৩ মিটার পিচ, পাথর দেয়ে নির্মিত রাস্তাটিতে ব্যয় হয়েছে ৫৭ লাখ টাকা। কাজটি করেছেন রুদ্র ইন্টার প্রাইজ।
দেওপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষায়ক সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দীন সোহেল বলেন, বিগত ১০ বছরে ৬ নং ও ৮ নং ওয়ার্ডের কোন উন্নয়ন হয় নি। এ রাস্তাটি নির্মান হওয়ার ফলে এলাকার মানুষের ৩৫ বছরের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। বিজয়নগর, নাজিরপুর, নীলবোনা, গহমাবোনা, দরগার হাজার হাজার মানুষ, ছাত্র ছাত্রী, কৃষক, কৃষি শ্রমিক, ভ্যান চালক, মসজিদের মুসাল্লীরা উপকৃত হয়েছেন। তার ফলশ্রুতিতে গ্রমের মানুষ খুশি হয়ে এমপি মহোদয়সহ অতিথিদের ফুলের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে, মিষ্টি বিতরন করছেন। আগামীতে এমপি মহদয়ের নেতৃত্বে এলাকার ব্যপক উন্নয়ন করা হবে ইনসাল্লাহ।
এর পর ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি বাজাবাড়ী ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, গর্ভনিং বডির সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় করেন
এসময় রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি মোঃ শাহাদুল হক মাষ্টারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ মোঃ সেলীম রেজা, আলহাজ্ব মোঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রোকনুজ্জামান সরকার, উপাধ্যক্ষ শহিদুল করিম শিবলী, কাঁকনহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সুজাউদ্দিন, গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মইনুল হোসেন, চব্বিশ নগর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আহসান হাবীব, মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজুসহ কলেজের প্রভাষক, প্রভাষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন।মোঃ হায়দার আলী,
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী। -
ময়মনসিংহের সেই নবজাতকের দায়িত্ব নিলেন ডিসি
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেট ফেঁটে রাস্তায় জন্ম নেওয়া শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক।শনিবার (১৬ জুলাই) ময়মনসিংহের ত্রিশালে কোর্ট ভবন এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা মায়ের পেটে ট্রাকের চাপে শিশুটি প্রসব হলে প্রথমে তাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন শিশুর মা-বাবা ও ৬ বছর বয়সী বোন। এতে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন, নিহতরা স্বামী স্ত্রী এবং তাদের ছয় বছরের এক কন্যা। এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, পরে দু্র্ঘটনার সময় পেটে মারাত্মক চাপ পড়লে সেই নারী মারা গেলেও তার শিশু প্রসব হয়ে যায়, এই নবজাতক শিশুটিও আহত হয়েছে, তার হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। শনিবার ওই দুর্ঘটনায় মা-বাবা ও বোনকে হারিয়েছে শিশুটি। স্বজনদের ভাষ্য, চিকিৎসার প্রয়োজন ও চিকিৎসকদের পরামর্শে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
নবজাতকের বাবার বন্ধু মো. শাহজাহান জানান, বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ভিড় দেখে তারা নবজাতককে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে হাতের প্লাস্টার করানোর জন্য নগরের বেসরকারি লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আবার কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর হাতে প্লাস্টার করিয়ে আবার তাকে লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
কমিউনিটি বেজড হাসপাতালের চিকিৎসক জান্নাতুল শিলা সাংবাদিকদেরকে বলেন, শিশুটির ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে, সেখানে প্লাস্টার করা হয়েছে। তাছাড়া আর কোনো সমস্যা নেই।
সুত্র মতে জানা গেছে- ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার (৩০) ও মেয়ে সানজিদা আক্তার (৬)। রত্না আক্তারের গর্ভে ছিল কন্যা শিশুটি।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই ট্রাকের চালক পলাতক, তবে ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে ত্রিশালে সড়ক দূর্ঘটনায় বাবা বোন ও গর্ভবর্তী মা নিহতের পর নবজাতকের জন্ম নেয়া শিশু অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সন্ধ্যায় নগরীর চরপাড়া লাবীব হাসপাতালে কন্যাশিশুটিকে দেখতে যান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবা বোনকে হারিয়ে অসহায় হয়ে যাওয়া শিশুটির চিকিৎসা সহ বড় হওয়া পর্যন্ত সার্বিক দায়িত্ব নিয়ে জনতার প্রশংসায় ভাসছেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক।
রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবজাতক শিশুট আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিবিএমবির সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
-
ঝিমিয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ির সাংস্কৃতিক অঙ্গন ,ঢিলে ঢালা ভাবে চলে কার্যক্রম,শিল্পী সমাজের ক্ষোভ প্রকাশ
মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির সাংস্কৃতিক চর্চা আগের মতো নেই। ঝিমিয়ে পড়েছে জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গন।সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আগের মতো সেই প্রাণচাঞ্চল্য আর নেই। দিবসভিত্তিক দায়সারা গোছের সরকারি কিছু অনুষ্ঠানই যেন সাংস্কৃতিক চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সমাজ,রাষ্ট্র সহ সমগ্র বিশ্ব যা দিয়ে পরিবর্তিত হয়।যার প্রয়োগে ব্যক্তি ও সমাজে যুগান্তকারী সফলতা আসে।সেই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রটাতে দিনের পর দিন মাসের পর মাস ধরে চলছে অবহেলা ও উদাসীনতা।যে ক্ষেত্রটাতে রবীন্দ্র নজরুল,জসিমউদদীন,শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ অসংখ্য লেখক কবি বিচরণ করে পৃথিবী জোড়া সফলতা ও শান্তির বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল।
সেই ক্ষেত্রটার কোনো সঠিক চর্চা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় দেখা যাচ্ছে না।খাগড়াছড়ি সদরে নামমাত্র কিছুটা চর্চা হলেও বাকি আটটি উপজেলায় এর কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে।সরকারি প্রোগ্রামগুলোও চলে ঢিলেঢালা ভাবে।তাও নামমাত্র। প্রতিটি উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমি থাকলেও এখানে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না।ফলে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের খরা চলছে এই পার্বত্য খাগড়াছড়িতে।
এই পার্বত্য খাগড়াছড়িতে জেলা,উপজেলা প্রশাসক আসে যায় কিন্তু এই ক্ষেত্রটার উন্নয়নে কোনো সুদূরপ্রসারী উদ্যোগও পরিলক্ষিত হয় নি।আর তাছাড়া শিল্পকলা একাডেমিতে স্থানীয় ভাবে যাদের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে তাদেরও নেই কোনো আন্তরিক উদ্যোগ।আর মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি গুলোর কোন পুর্নগঠন না হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে থমকে আছে কার্যক্রম।শিল্পী সমাজে নানা অভিযোগ ও গুঞ্জন রয়েছে শিল্পকলায় সরকারি বাজেট এর টাকা যথাযথ ভাবে ব্যয় করা হয় না এবং এই খাতের টাকা নিয়ে রয়েছে নানা অনিয়ম। ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৯টি উপজেলা থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাচাই ও বাচাইকৃত শিল্পীদের নিয়ে যে প্রতিভা অন্বেষণ এর আয়োজন করা হয়েছিল,তার সমাপ্তটা আজও হয়নি।এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবাদ জানানো হলেও আজও কোন সুরেহা করেনি কেউ।
আর তাছাড়া এখানে নেই কোনো ব্যক্তিগত, সামাজিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ। শিল্পী,লেখক,কবি উঠে আসার পূর্বে যেন আতুর ঘরে একেকজন প্রতিভাবান শিল্পীর মৃত্যু ঘটছে।এর দায় কে নেবে প্রশ্ন উঠছে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে। শুধু তাই নয়।বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে রবীন্দ্র নজরুল সহ যারা ফুলের ঢালি সাজিয়ে এই বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছিলেন।এখানে তাদের জন্মদিন কিংবা মৃত্যু দিবসেও নেই কোনো আয়োজন ও কর্মসূচি।
এই অবস্থা যদি চলমান থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা/ছেলেমেয়েরা কি শিখবে?সেই জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিদের কিভাবে চিনবে এই প্রজন্ম? তাদের কিভাবে লালল করে সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে? তারা কিভাবে জাতির সম্পদ হয়ে উঠবে?এই প্রশ্নগুলো উঠেছে সাহিত্য ও সঙ্গীত অঙ্গনে।সরকার শিল্পকলার জন্য যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাজেট রাখেন তার কিছুই বাস্তবায়িত হয় না এই জেলায়।ফলে ছেলে মেয়েরা মোবাইল গেম সহ ভয়ঙ্কর পথে ধাবিত হচ্ছে দিনের পর দিন।
পানছড়ি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য ও শিক্ষক সবিতা চাকমা বলেনঃ সাহিত্য, সঙ্গীত সহ শিল্পকলার প্রতিটি সেক্টরে বিচরণ করার মধ্যে দিয়ে কিন্তু মানুষের মাঝে প্রকৃত মূল্যবোধ জাগ্রত হয়।সঠিক নির্দেশনা ও গাইড লাইন এর অভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মেধাবী শিল্পীরা উঠে আসতে পারে না।পানছড়ি উপজেলায় বর্তমানে সাংস্কৃতিক চর্চার একটা শূন্যতা বিরাজ করছে।খাগড়াছড়ি জেলা সহ সব স্থানে যেসব সংগঠন আছে তাতে যদি জেলা উপজেলা প্রশাসন সুদৃষ্টি দেন তাহলে এই সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে যাবে।
মাটিরাঙ্গা বাউল শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মোঃখোকন মিয়া জানান,মাটিরাঙ্গা সহ সমগ্র জেলায় একসময় গানের,নৃত্যের, নাটকের খুব প্রচার ও চর্চা হতো।মানুষের মাঝে উৎসাহ ও প্রেরণা কাজ করতো।প্রত্যেক মানুষের মাঝে এক সুন্দর সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো যা এখন কম দেখা যায়। এর মূল কারণ হচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের স্থবিরতা।এর গতি ও কার্যক্রম ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সুদৃষ্টি কামনা করি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা মেয়র ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শামসুল হক বলেন,একসময় আমরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের মাঝে ঐক্য ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলাম।তবে দুঃখজনক হলেও সত্য সেই ধারা বর্তমানে এসে থমকে গেছে।ছেলেমেয়েরা ফেইসবুক ও অনলাইনের নানা গেইমে আসক্ত হয়ে পড়েছে যেভাবে,এই ধারা চলতে থাকলে মেধাশক্তি হারিয়ে এই ফেলবে তরুণ সমাজ।আর যারা সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না তাদের দ্বারা কখনো সমাজের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে না।জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ,জেলা পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন যদি এই কর্মকাণ্ড ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলেই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র সঠিক পথে এগিয়ে যাবে।নয়তো কখনো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার একজন স্বনামধন্য শিল্পী আবুল কাশেম বলেন: এই পার্বত্য খাগড়াছড়িতে সঙ্গীত চর্চা তেমন ভাবে হচ্ছে না।তাও কোনো রকম ভাবে চলে ঢিলে ঢালা ভাবে।সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও কর্মসূচি নেই।এটা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত।যা থেকে উত্তোরনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা খুবই জরুরী।এখন যেভাবে বাচ্চারা মোবাইলের দিকে ধাবিত হচ্ছে এটাও সঠিক সাংস্কৃতিক চর্চার অভাবের কারণে।
খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও জেলা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আদনান বলেন: সাংস্কৃতিক অঙ্গন গতিশীল না হলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অপসংস্কৃতিমুখী হবে যার ফলে অপূরণীয় ক্ষতি হবে।’
খাগড়াছড়ির শিল্পী, সাহিত্যিক, নাট্যকার ও নির্দেশক সূত্র জানায়,বর্তমানে এসেও গৎবাঁধা এবং পুরোনো কিছু পরিবেশনা ছাড়া অনেক দিন ধরে জেলায় ব্যতিক্রম কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন নেই। রাজনৈতিক অস্থিরতা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব,তরুণ প্রজন্মের অনাগ্রহ, গণমাধ্যমের একমুখী প্রচারণাসহ নানা কারণ এর জন্য দায়ী।
আর এই দিকে পানছড়ি ,দিঘীনালা, মহালছড়ি
,মানিকছড়ি শিল্পকলা একাডেমির সদস্য ও সঙ্গীত শিক্ষক থোয়াই অঙ্গ চৌধুরী,মুর্তজা পলাশ,বিনু মারমাসহ অনেক সাংস্কৃতিক শিল্পী এই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন যে দেশ সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য গান মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রানিত করে চড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়েছিল।কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে খাগড়াছড়ি জেলায় সাংস্কৃতিক অঙ্গন যেভাবে ঝিমিয়ে পড়েছে।যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কখনো ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।।সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বেঁচে থাকলে তবেই দেশ বা রাষ্ট্র সঠিক পথে এগিয়ে যায়।খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় এই সাংস্কৃতিক চর্চার সঠিক বাস্তবায়ন এর উদ্যোগ গ্রহণ এর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান তারা।
অন্যদিকে অনেক অভিভাবকরা বলেন শিল্পকলা একাডেমিতে বাচ্চাদের নিয়ে তেমন কোনো আয়োজন দেখা যায় না।এতে বাচ্চারা সঙ্গীত চর্চা থেকে পিছিয়ে পড়ছে।এর ফলে নৈতিক অবক্ষয় এর দিকে ধাবিত করছে বাচ্চারা। সামাজিক মূল্যবোধ ধরে রাখা ও অপসংস্কৃতি রোধে দেশীয় সংস্কৃতি চর্চার গতি ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ার কর্তপক্ষকে অনুরোধ জানান অভিভাবকবৃন্দ।
জানা যায়,এই জেলায় সাহিত্য, নাটক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রায় অর্ধশতাধিক সংগঠন থাকলেও হাতে গোনা দু-একটি সংগঠন ছাড়া বাকিগুলো নামসর্বস্ব হয়ে পড়েছে। অনেক সংগঠন বিলুপ্তির পথে। পৃষ্ঠপোষকতা ও জেলা, উপজেলা প্রশাসন এর কোনো কার্যকরী উদ্যোগ না থাকার কারণে এই সাংস্কৃতিক পদযাত্রা দিন দিন থেমে যাচ্ছে।
-
র্যাব-১২’র পৃথক অভিযানে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ও সদরে ১৩ গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মহিলা এবং ০১ জন পুরুষ মাদক ব্যবসায়ী আটক।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
১। এর ধারাবাহিকতায় ১৬/০৭/২০২২ খ্রিঃ বিকাল ০৩.১৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানাধীন ক্ষিরপোতা মৌজাস্থ যৌতুক মোড় পাকা রাস্তার উপর এক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ০৬(ছয়) গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ মোঃ কাবিল উদ্দিন(২৫) পিতা-মোঃ আঃ হামিদ, সাং-বড়মাছ দক্ষিণা, থানা-তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জ।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাহাকে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২। ১৬/০৭/২০২২ খ্রিঃ বিকাল ০৫.৩৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল সিরাজগঞ্জ জেলার সিরাজগঞ্জ পৌরসভাধীন রহমতগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেইটের সামনে এক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ০৭(সাত) গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীঃ মোছাঃ রাজিয়া খাতুন(২৩), পিতা-মোঃ বাবু তালুকদার, সাং-কালেকান্দাপাড়া, থানা ও জেলা-সিরাজগঞ্জ।
গ্রেফতারকৃত মহিলা মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করত উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাহাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল।
এ ধরণের মাদক উদ্ধার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২ বদ্ধপরিকর।
র্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।
সূত্র ও বিস্তারিতঃ
এম. রিফাত-বিন-আসাদ
মেজর
মিডিয়া অফিসার
র্যাব-১২
মোবা-০১৭৭৭-৭১১২৫৮
-
নড়াইলে মহানবীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি : কলেজছাত্র গ্রেফতার
জান্নাতুল বিশ্বাস.নড়াইল!! নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া এলাকায় মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে কলেজছাত্র আকাশ সাহাকে (২০) খুলনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে তাকে
গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর গত শুক্রবার আকাশের বাবা অশোক সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৫ জুলাই) লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ওইদিন জুম্মার নামাজের পর বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। এরপর বিক্ষুদ্ধলোকজন আকাশ সাহার গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।
বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ৫-৬টি বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এর মধ্যে গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দুই রুম বিশিষ্ট টিনের ঘরটি পুড়ে গেছে। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি
মন্দিরের টিনের চালা ভাংচুরসহ ইট ছুঁড়েছে বিক্ষুদ্ধরা। পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। ঘটনার পর আকাশের বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। #
মো জান্নাতুল বিশ্বাস
নড়াইল প্রতিনিধি -
ভুয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি-ভেজাল ওষুধ সেবন করে অকালে হচ্ছে অনেক মানুষের মৃত্যু
হেলাল শেখঃ সারাদেশে ভুয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি-ভুল চিকিৎসা ও ভেজাল ওষুধ সেবন করে অকালে হচ্ছে অনেক মানুষের মৃত্যু। ভারতীয় নিষিদ্ধ ওষুধ ও ভেজাল ওষুধ সেবন করে রোগীদের ভোগান্তি-ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চলে ফার্মেসী ও ক্লিনিক ব্যবসা।
সূত্রমতে, দেশে প্রায় লক্ষাধিক ভুয়া ডাক্তার রয়েছে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ সেবন করে বেশিরভাগ মানুষের রোগ ভালো হচ্ছে না, বাড়ছে রোগীর জটিলতা। এর আগে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া চৌরাস্তায় একটি ফার্মেসী দোকানে অভিযান চালিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ ২২ ধরনের ভারতীয় ওষুধ জব্দ করেছেন ওষুধ প্রশাসনের একটি দল। কয়েকজন ভুয়া ডাক্তারকে র্যাব-৪ কর্তৃক গ্রেফতার করা হলেও অতি দ্রুত আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও যা তাই রোগীদের সাথে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে।
জানা গেছে, ব্যাঙের ছাতার মতো ওষুধের দোকান দিয়ে ভেজাল ও নি¤œমানের ওষুধ বিক্রি করে অনেকেই লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছে। ভুয়া ডাক্তার ও ভেজাল ওষুধের ছড়াছড়ি সারাদেশেই। জানা গেছে, গত (১৩ অক্টোবর ২০২১ইং) দুপুর ২ টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন জামগড়া চৌরাস্তা বাসস্ট্যা-ে সুফিয়া ফার্মেসিতে ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা যায়, বিক্রয় নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ বিক্রির সময় অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকার ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এসময় সুফিয়া ফার্মেসিতে প্রবেশ করেন এবং দোকানের ভেতরে থাকা ২২ ধরনের নিধিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয়। অভিযান শেষে সুফিয়া ফার্মেসির বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন।
সূত্র জানায়, এর আগে বিভিন্ন অনলাইন ও সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। অনুমোদনহীন ভেজাল ওষুধ চেনা কঠিন, রাস্তার পাশে হাট-বাজারে নানারকম ওষুধ বিক্রি হওয়ায় সেই ওষুধ সেবন করে বেশিরভাগ রোগীদের রোগ মুক্তি না হয়ে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ। ভুয়া ডাক্তার কর্তৃক চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করা হচ্ছে মানুষের সাথে। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা-উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ মাঝে মধ্যে ২-৪জন ওষুধ ব্যবসায়ীকে আটক ও ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করে জেল জরিমানা করলেও কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না তাদের প্রতারণা। পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম দুর্নীতি। ভুয়া ডাক্তার ও ভেজাল ওষুধ দিয়ে অবাধে চলছে চিকিৎসা সেবার নামে নানারকম প্রতারণা।
সূত্রমতে জানা গেছে, বাংলাদেশে ভুয়া ডাক্তারের সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। তারা রাজধানীসহ সারাদেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা এবং থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করছে। সেই সাথে অনুমোদনহীন ভেজাল ওষুধ রোগীদের কাছে বিক্রি করে সংশ্লিষ্টরা অবৈধভাবে অর্র্থ কামিয়ে বাড়ি গাড়ি করছে, রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাচ্ছে।
অন্যদিকে নামী দামি কোম্পানীগুলো ওষুধের গায়ে মূল্য লিখছেন না। ওষুধের গায়ে মূল্য না থাকায় কৌশলে দাম বেশি নিচ্ছেন অনেক দোকানদার। সেই সাথে নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার কারবার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এক কথায় চিকিৎসা সেবার নামে অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সরকারের বদনাম হচ্ছে। ভেজাল ওষুধে মানবদেহে রোগ ভালো না হয়ে আরও খারাপ পরিণতি হচ্ছে। বেশিরভাগ ওষুধ সেবন করে রোগ ভালো হচ্ছে না। রাস্তা-ঘাটে ও মুদি দোকানেও ওষুধ বিক্রি করতে দেখা যায়। ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেও অনেকেই ডাক্তার সেজে ওষুধের দোকান খুলে বসে চিকিৎসা করছে। যাদের ওষুধ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তারাও এখন কথিত ডাক্তার। এর কারণে চিকিৎসা সেবায় বেশি জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই জানায়। শুধু সচেতনতার অভাবে মানুষের শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
ঢাকার ধামরাই ও সাভার-আশুলিয়ায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিন থানায় প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ওষুধের দোকান রয়েছে, তাদের অনেকেরই সঠিক কাগজপত্র নেই। অনেকের বৈধ কাগজপত্র থাকলেও তার মেয়াদ নেই। সেই সাথে ক্লিনিক ব্যবসায় বিভিন্ন টেস্টের নামে অবৈধ ভাবে ভোক্তাকে ঠকানো হচ্ছে। ব্যাঙের ছাতার মতো ওষুধের দোকান ও ক্লিনিক ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে।
র্যাব জানায়, ভুয়া চিকিৎসক নিজেকে ডাক্তার হিসেবে উল্লেখ করে আসে। রোগ বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি থাকার কথাও অনেক ব্যবস্থাপত্রে লিখেন এবং অনুমোদনহীন ভেজাল ওষুধ লিখে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে। ক্লিনিক ও হাসপাতালের সামনে ওষুধ কোম্পানির গাড়ী-মটরসাইকেল দেখলে মনে হয় সেখানে মটরসাইকেলের বাজার লেগেছে। এ বিষয়ে র্যাব ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জানায়, উক্ত ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত আছে। উক্ত ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভোক্তভোগী ও সচেতন মহল।
রাজধানী ঢাকার ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সৈকত কুমার বলেন, ভারতীয় নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করাসহ নিয়মিত অভিযান চলছে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভুয়া ডাক্তারদের গ্রেফতার করাসহ অভিযান অব্যাহত আছে। -
সুজানগরে পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে চাষী
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর(পাবনা)ঃ চলতি বছর পাটের আবাদ বৃদ্ধি ও পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটলেও পানির অভাবে পাট জাঁগ দেওয়া (পঁচানো) নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাবনার সুজানগর উপজেলার পাট চাষিরা। বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিলসহ বিভিন্ন ডোবা ও নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এ অ লের কৃষকরা পাট কাটতে পারছে না। অনেকেই আবার ভারি বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন ডোবা-নালায় পানি ভরাট হওয়ার আশায় পাট কাঁটা শুরু করলেও কাংখিত বৃষ্টির দেখা না পেয়ে পানির অভাবে পাট জাঁগ দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এরই মধ্যে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন ও মোটরের পানি দিয়ে পাট জাঁগ দিতে গিয়ে তাদেও বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে । আবার অনেকে খালে বিলে বা ছোট জলাশয়ে সামান্য জমাট বাঁধা পানিতে পাট-জাঁগ দিচ্ছেন । এ অবস্থায় চাষ বৃদ্ধি ও ভালো ফলন হলেও লাভের জায়গায় লোকসান গুনতে হবে বলে জানান এ অ লের পাট চাষিরা। বৃষ্টির অভাবে একদিকে চাষিরা যেমন রয়েছে মহাবিপদে অন্যদিকে কৃষকরা রোপা আমন ধানও বুনতে পারছেন না। সোনালি আঁশ এখন কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাষিরা শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে আমন লাগানোর কারণে পাট কেটে রেখেছেন যত্রতত্র। পানি না থাকায় রোদে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে এসব কাঁচা পাট। সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম শনিবার জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। চাহিদা সম্পন্ন বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের রিবন রিডিং পদ্ধতিতে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে পাট পচানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে কাংখিত বৃষ্টির দেখা মিলবে, ঘরে উঠবে সোনালী ফসলের সোনালী আঁশ। প্রাপ্য মজুরি পেয়ে হাসি ফুটবে মুখে, এমন বিভোর স্বপ্নে বুক বেঁধে আছেন এই অ লের প্রান্তিক চাষিরা ।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।। -
সুজানগরে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা
এম এ আলিম রিপনঃ পাবনার সুজানগরে এক তরুণী প্রেমের স্বীকৃতি আদায় করতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের তিনদিন পর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার রাতে তরুণী নিজেই বাদী হয়ে সুজানগর থানায় প্রেমিক সোহেল হোসেনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। জানাযায়, উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের মো.ইসলাম হোসেনের ছেলে সোহেল হোসেন এবং সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের তারাবাড়ীয়া গ্রামের মো.নাসির হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এবারে মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি পাশকৃত মোছা.সিমা খাতুনের মধ্যে প্রায় ১ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তাদের দুইজনের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে সোহেলকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন প্রেমিকা। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিক। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই গত বুধবার থেকে প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করলে প্রেমিক সোহেল পালিয়ে যায়। ওই বাড়িতে তিনদিন অনশনের পর শুক্রবার রাতে সুজানগর থানায় প্রেমিক সোহেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন প্রেমিকা সিমা খাতুন। সুজানগর থানার ওসি(তদন্ত) রাজেশ চক্রবর্তী, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।