আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলায়
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী। জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই সোমবার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
সিদ্দিকুর রহমান জানান, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ভাবে
জরিপ করা হয়, যার মধ্য পাঠদান পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়ার আগ্রহ তৈরি ও নিয়মিত উপস্থিতিসহ বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করে একাধিক শিক্ষকদের নির্বাচিত করে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতায় যে শিক্ষক প্রথম স্হান অধিকার করেন তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এবারে তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানীকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি
শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়েছে।এদিকে ১৯ জুলাই মঙ্গলবার তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে
কলেজ চত্ত্বরে শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রাণীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় অধ্যক্ষ অনুকূল কুমার ঘোষ বলেন, উপজেলার মধ্যে অত্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় আমরা গর্বিত। শুধু শ্রেষ্ঠ শিক্ষক না আমাদের কলেজ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাপশি রাবিয়া শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন এবং ক্যারাত ও কবিতা আবৃতিতেও প্রথম স্হান অধিকার করে পুরস্কৃত হয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে সকল শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম নিয়মিত পাঠদান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার জন্যই কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রথম স্হান অধিকার করে কলেজকে সম্মানিত করেছেন। আগামীতে আশা করছি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা একদিন না একদিন বিজয়ী হয়ে পুরস্কৃত হবেন বলে আমার দৃঢ বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন এই কলেজ তানোর সহ আশপাশের উপজেলায় নারী শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, যেহেতু এটি উপজেলার প্রথম মহিলা কলেজ সেহুতু আমাদের মাননীয় সাংসদ মহোদয়কে অনুরোধ করে বলতে চাই তিনি যেনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কলেজ সরকারি করণে। অন্যদিকে
শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী জানান, তার প্রায় ২৫ বছরের শিক্ষকতায় এটিই প্রথম এ্যাওয়ার্ড তিনি অত্যান্ত আনন্দিত ও গর্বিত। সবাই নিজের কাজের জন্য স্বীকৃতি আশা করেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যতদিন বেচে থাকব ততদিন যেন সঠিক ভাবে পাঠদান করাতে পারি এবং মাননীয় সাংসদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কলেজটিকে যেনো সরকারিকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ মুরসেদ আলী মৃধা, প্রভাষক মুনসেফ আলী। এসময় কলেজের শিক্ষক কর্মচারী সুধীজন ও শিক্ষার্থীরা উপস্হিত ছিলেন।
Blog
-
তানোরে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক বন্দিতা রানীকে সংবর্ধনা
-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২
শহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহ মহেশপুর থেকেঃ-
১৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউপির মান্দারতলা ও জাগুসার মাঝামাঝি এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে শাহানুর রহমান (৪০) নামের একজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। এসময় আরো ২ জন মারাক্তত ভাবে আহত হয়েছে। নিহত শাহানুর রহমান পেশায় এসি’আই ফুড় লিমিটেড কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। তার পিতার নাম মুন্সি খলিলুর রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহেশপুরের অভিমুখ থেকে জাগুসার বাজার অতিক্রম কালে নেপা গ্রাম থেকে আসা অপর মোটরসাইকেলটি মান্দারতলা বাজার পারাপারের সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহীরা সড়কে ছিটকে পড়ে।স্থানীয় এলাকাবাসী ছুটে এসে একজনকে নিহত দেখতে পাই। অপর মোটরসাইকেলের দুজনে মারাত্মক আহত হয়ে ছটফট করছিল। আহত ব্যক্তিদের দ্রত উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দ্রত যশোর আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফাড করেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি মোঃ-সেলিম মিয়া বলেন দুর্ঘটনার সংবাদ শোনা মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠায়। অভিযোগ না থাকার কারণেই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
-
সুবর্ণচরে কিশোরীকে অপহরণের পর ৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
রফিকুল ইসলাম সুমন ( নোয়াখালী)
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে এক কিশোরীকে (১৭) জোরপূর্বক অপহরণ ও পরে একটি বাড়িতে সাত দিন আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে জাহাজমারা এলাকার প্রভিটা ফ্যাক্টরির সামনে থেকে অভিযুক্ত নাজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুলাই সন্ধ্যায় জাহাজমারা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয় ওই কিশোরী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে চেওয়াখালী বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে একটি সিএনজিতে তুলে তাকে অপহরণ করে প্রথমে জেলা শহর মাইজদীর দিকে নিয়ে যান নাজিম উদ্দিন। পরে নাজিম ওই কিশোরীকে সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন এবং ১০ জুলাই রোববার রাত থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীকে নিয়ে পুনরায় জাহাজমারা এলে তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে জানতে পেরে বিষয়টি থানায় জানায় ভুক্তভোগীর পরিবার। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার ও কিশোরীকে উদ্ধার করে।চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকির হোসেন জানান, কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাঁকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
-
কুড়িগ্রামে তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের টানা দুই সপ্তাহের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা জনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগে। প্রখর রোদের ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম বিপাকে। বিশেষ করে তীব্র রোদের তাপের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে তীব্র তাপদাহে অনেকে অলস সময়ও পার করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।
তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা সাধারণ মানুষের। বৃষ্টিহীন তীব্র গরমে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত নেই কোনো সুখবর। গেল এক সপ্তাহ ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা গড়ে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তিন-চার দিন আরো তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীব-বৈচিত্র্যের ওপর। এমন প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জেলাবাসীর। এতে করে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। একটু শীতলতার জন্য শিশু-কিশোর সবাই পুকুর-নদী-বিলে ছোটাছুটি করছে।
অসহনীয় প্রচণ্ড গরমে গ্রামাঞ্চল কিংবা শহরে শিশু, বয়স্কদের জ্বর-সর্দি- ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপের কারণে নানা বয়সীদের দেখা দিয়েছে চর্ম রোগও। তীব্র তাপদাহে কয়েক দিন থেকে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজারে মানুষের সমাগম কিছুটা কমেছে। প্রচণ্ড গরমেই অনেকে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধও রেখেছেন।
জেলার নাগেশ্বরী সদরের ভ্যান ও রিস্কা চালক অনেকে জানান, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ঠিকমতো কাজে যেতে পারছি না। গরমে কাজ করতে না পেরে আয় কমে গেছে। আগে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করা যেত। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে সারা দিনে ২০০ টাকা আয় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর মিয়া জানান, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। কুড়িগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে লাইফ দেয়া যেতে পারে। -
বৃষ্টির জন্য লোককাহিনী নির্ভর “ঝাপুটি” উৎসব পালন
মিলন মিয়া ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা গ্রামে বৃষ্টির জন্য লোককাহিনী নির্ভর “ঝাপুটি” ( গাছ, লতা , পাতা দিয়ে বিশেষ তৈরী মাটির পুকুর) উৎসব করেছে এলাকার মানুষ।
এসময় ঝাপুটি তে ব্যাঙ ছেড়ে গীত পরিবেশন করা হয়, কাজল ফোঁটা, আলপনা অংকন সহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে গ্রামের মানুষ পালন করেছে ঝাপুটি আয়োজনের। তাদের বিশ্বাস এই ঝাপুটির মাধ্যমে বৃষ্টি আসবে, সুজলা সুফলা হবে ধরিত্রী।
কলা গাছের ছায়ামণ্ডপ করে তার মাঝে করা হয় গর্ত, গর্তের চারপাশ জঙ্গলের লতাপাতা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। মাটির হাঁড়ি বা ডুঙ্গিতে দেওয়া হয় কাজল আর চালের গুড়ার সাদা ফোঁটা। এই কাজল ফোঁটা হল আকাশের কালো মেঘের প্রতীক । যেখান থেকে পাতালে বৃষ্টি নামে। তার পর গর্তের পাশে রাখা হয় ডুঙ্গি বা হাঁড়ি। গর্তে পানি ঢেলে তাতে ছেড়ে দেয়া হয় ব্যাঙ। গাওয়া হয় গীত।
অনেককাল ধরেই বৃষ্টির জন্য জাতিভেদে নানা কৃষ্টি বিদ্যমান। ভরা শ্রাবণে যখন বৃষ্টির দেখা মেলা ভার , তখন দিনাজপুরে বেশ ঘটা করেই ব্যাঙের বিয়ে হয়েছে। কোথাও কোথাও মহান রবের দরবারে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করেছে অনেক মানুষ। আবার জয়পুরহাটের হিন্দা গ্রামে ঝাপুটি অনুষ্ঠানেরও দেখা মিলল।
আমরাও আশা রাখি, মৃত্তিকা আবার সিক্ত হবে অঝোর ধারায়…..l
-
বানারীপাড়ায় নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:বরিশালের বানারীপাড়ায় মঙ্গলবার ১৯ জুলাই সকাল ১০ টায় উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে বেসরকারী সংস্থা রুপান্তরের অপরাজিতা প্রকল্পের উদ্যোগে নারীর অধিকার এবং অংশ গ্রহণ বিষয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা। রুপান্তর জেলা সমন্বয়কারী নুর-ই-আজম হায়দারীর সঞ্চালনায় উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সন্ধ্যা রানী সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ারুল আজীম, এনজিও সমন্বয় পরিষদের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম, সমাজ সেবা কর্মকর্তা পার্থ সারথী দেউরী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা দীপিকা রাণী সেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান মিয়া, সংবাদ কর্মী আব্দুল আউয়াল, সদর ইউনিয়নের অপরাজিতার সম্পাদক রুবিনা আক্তার, ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম, রুপান্তর উপজেলার সমন্বয়কারী বিলকিস খানম প্রমূখ।
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি। -
কুমিল্লার ডিসি কামরুল হাসান বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক প্রাপ্তিতে কুমিল্লা বাসির অভিনন্দন
মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,
বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২ এর জন্য দলগতভাবে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ক্যাটারিতে তিনি এ পদক পাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) শাহাদাৎ হোসেন। তিনি জানান, সোমবার বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাই। সেখানে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২৩ জুলাই বেলা ১১ টায় ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন ও জনপ্রশাসন পদক ২০২২ পদক প্রদান করা হবে। সে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যে কারণে জনপ্রশাসনের জন্য মনোনীত হন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকঃ সারাদেশে প্রথমবারের রোবটিকস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। পাশাপাশি পুরো জেলায় ১০৮ টি রোবটিকস ও প্রোগ্রামিং ক্লাব রয়েছে।
রোবটিকস ও প্রোগ্রামিং এর এই কাজগুলোতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম কাজ করেছে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফি, সহকারী কমিশনার নাসরিন সুলতানা নিপা ও ফাহিমা বিনতে আখতার।
পদকের জন্য চূড়ান্ত মনোনীত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান তার অনুভূতি জানান। তিনি বলেন, আমি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে লক্ষ্য রেখে কুমিল্লার স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য রোবটিকস ও প্রোগ্রামিংয়ের উদ্যোগ নেই। কারণ আগামীদিনগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা হবে প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাই বর্তমান প্রজন্ম যেন এখন থেকেই নিজেদের প্রতিযোগিতাময় বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে পারে সে লক্ষ্যেই রোবটিকস ও প্রোগ্রামিংয়ে উদ্বুদ্ধ করি। তাতে অভূতপূর্ব সাড়াও পেয়েছি।
পদকের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কাজের স্বীকৃতি পেলে উৎসাহ জাগে। আমি এই জন্য কুমিল্লাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাই আমার টিমকে। যারা এ কাজে আমাকে সব সময় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। -
ময়মনসিংহের ১১ উপজেলায় ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে ঘর পাচ্ছে ২৮৭ গৃহহীন পরিবার
আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ
মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নিয়ে সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।সেই লক্ষ বাস্তবায়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন সংক্রান্তন এই প্রেস ব্রিফিং করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক।
মঙ্গলবার (১৯শে জুলাই) সকালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক সন্মেলন কক্ষে সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে উক্ত প্রেস বিফিং করেন জেলা প্রশাসক মোহান্মদ এনামুল হক।
জেলা প্রশাসক এনামুল হক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: শফিকুর রেজা বিশ্বাস উপস্হিত ছিলেন। তিনি বলেন, ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে ১১টি উপজেলায় ২৮৭ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।
আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গনভবন থেকে সকালে ১০ টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি ময়মনসিংহ নান্দাইল উপজেলার চরভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে -২ এর জমি ও গৃহহস্তান্তর কার্যক্রম শুভ উদ্ধোধন করবেন । প্রতিটি গৃহ ২ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়ত ও রেজিষ্ট্রেশন এবং জমি সহ সেমিপাকা গৃহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমির দলিল, নামজারীর খতিয়ান প্রদান করা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে অবশিষ্ট ১৪০৩ টি গৃহহীণ পরিবারকে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে।
এ সময় উপস্হিত ছিলেন ডিডিএলজি জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তাসলিমা মোস্তারীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পুলক কান্তি চক্রবর্তী মানব সম্পদ ও উন্নয়ন মো. নজরুল ইসলাম, এডিসি রাজস্ব মোঃ পারভেজুর রহমান, নান্দাইলের ইউএনও আবুল মনসুর, ডেপুটি কালেকটর রেভিনিউ মোঃ তরিকুল ইসলাম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন।
-
ময়মনসিংহ সদরে ঘর পাচ্ছে আরও ৫৫ভূমিহীন-গৃহহীণ পরিবার
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলায় আরো ৫৫ জন ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ নতুন ঘর । মঙ্গলবার (১৯জুলাই) সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহের আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের
৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ সময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাহান কবির সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে সেমিপাকা একক গৃহ নির্মাণের কর্মসূচি হাতে নিয়ে সমগ্র দেশের সকল ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
সেই লক্ষ বাস্তবায়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন সংক্রান্ত এই প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ধোধন সংক্রান্ত এই প্রেস ব্রিফিং করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ৩য় পর্যায়ে ২য় ধাপে ময়মনসিংহের ১১উপজেলার ১১টি উপজেলায় ২৮৭ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। তার মাঝে সদর উপজেলায় ঘর পাবে ৫৫জন। এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। এর আগেও সদরে ৬৫টা ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা জানান- গত ২০-২০২১ অর্থ বছরে ৩২৫টা, ২০২১-২২অর্থ বছরে ৬৫+৫৫ মোট ১২০ টা উপজেলায় সর্বমোট-৪৪৫ জন গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর দেওয়া হয়েছে।আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী গনভবন থেকে সকালে ১০ টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি ময়মনসিংহ সদর ও নান্দাইল উপজেলার চরভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে -২ এর জমি ও গৃহহস্তান্তর কার্যক্রম শুভ উদ্ধোধন করবেন । প্রতিটি গৃহ ২ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত, কবুলিয়ত ও রেজিষ্ট্রেশন এবং জমি সহ সেমিপাকা গৃহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমির দলিল, নামজারীর খতিয়ান প্রদান করা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
-
ময়মনসিংহে অপরাধ নির্মুলে জেলায় শ্রেষ্ঠ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ পিপিএম বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। জুন মাসের অপরাধ সভায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিট পুলিশিং সভা, গুরুত্বপূর্ণ মামলা রহস্য উদঘাটন, মাদকদ্রব্য উদ্ধারে ভূমিকা, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল,নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার, বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হওয়ার অবদানে তার হাতে সার্টিফিকেট আর্থিক টাকা তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান বিপিএম সেবা।সোমবার (১৮ জুলাই) রবিবার সকাল ১১টায় জুন মাসে অপরাধ সভায় থানা ও শহর এলাকায় আইন শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখা, অপরাধী দ্রুত গ্রেফতার, মিছিল মিটিংএর আইন শৃংখলা বজায় রাখা, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করায় জেলা পুলিশ সুপার তাকে পুরস্কৃত করেন এবং সনদ পত্র তুলে দেন।
ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম বার) বলেন, আমার সব সময়ের চাওয়া জনগণের নিরাপত্তা প্রদানের স্বার্থে সার্বক্ষণিক দায়িত্বশীল থাকা। ময়মনসিংহবাসী আমাকে আমার কাজে সহযোগিতা করায় আমি এ পুরস্কার অর্জন করতে পেরেছি। সে জন্য ময়মনসিংহ বাসীকে ধন্যবাদ জানাই।