Blog

  • রাজশাহী কেন্দ্রীয় কা-রাগারে মাদ-কের কু-ফল সম্পর্কে আলোচনা ও  পুরস্কার বিতরণ

    রাজশাহী কেন্দ্রীয় কা-রাগারে মাদ-কের কু-ফল সম্পর্কে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : “রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ” এ মিশন ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে তারুণ্যের উৎসব–২০২৫ উদযাপন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ তরুণদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কারাগারে অন্তরীণ ও কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশই তরুণ। এই তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখা, তাদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং সর্বোপরি মাদক ও ধূমপানের কুফল সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

    এই আয়োজনের অংশ হিসেবে গত ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী এর অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ আলি আসলাম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমাজের অমূল্য সম্পদ এই তরুণরা। মাদক থেকে দূরে রেখে তাদের যথাযথভাবে গড়ে তুললে তারা দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। বন্দিদের মাঝে মাদকবিরোধী বার্তা ছড়িয়ে দিতে নাটক, গান ও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়। পরে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

    অপরদিকে, (২৭ জুন ২০২৫) তারিখে রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রাঙ্গণে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার ও কোকো স্মৃতি ক্লাবের তরুণ ফুটবলারদের অংশগ্রহণে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিজয়ী দল কোকো স্মৃতি ক্লাব এবং বিজিত দলের মাঝে ট্রফি বিতরণ করেন কারা উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ কামাল হোসেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান, কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র প্রধান প্রশিক্ষক মোঃ তারেক কামাল, কারাগারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক নুর মোহাম্মদ মৃধা, জেলার আমানুল্লাহ ও অন্যান্য কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এই প্রীতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে তরুণদের শরীরচর্চা, শৃঙ্খলা ও সহমর্মিতার চর্চা যেমন হয়েছে, তেমনি তাদের মাঝে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও গড়ে উঠেছে।

    রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের এধরনের প্রথম ব্যতিক্রমী উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কারাগারের আবদ্ধ পরিবেশে তরুণদের জন্য এমন সচেতনতা ও খেলাধুলার আয়োজন তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
    গত ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশকিছু কয়দি, হাজতী, জামিনে ছাড়া কিংবা খালাস পেয়েছেন। বড় খানার পাশাপশি বন্দিদের জন্য অন্য অন্য সুবিধা ছিল। তবে ঈদে হাজতি ও কয়েদিদের সাথে যে সব আত্নীয় স্বজন দেখা করতে এসেছিলেন তাদের সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়
    মিষ্টি মুখ করা হয়। এসব ভাল কাজের জন্য প্রশাংসায় ভাসছেন রাজশাহী কারাগার কতৃপক্ষ। এ ধরনের উদ্যোগ, ইতিপূর্বে কেউ গ্রহন করেন নি বলে জানান উপস্থিত অনেকে।

    সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শাহ আলম বলেন, “রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ’’ এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে দেশের অন্যতম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, কবিতা, খেলাধূলার পাশাপাশি আগত বিপথগামী লোকদের সঠিক প্রেষণা প্রদানের মাধ্যমে তাদের কৃত ভুল বুঝতে সহায়তা করা ও সংশোধন করা এবং বর্তমান যুগের সথে তাল মিলিয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে সমাজে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে কারা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় বন্দীদের আবাসন সমস্যা দূরীকরণ লক্ষে সমস্ত বন্দীর জন্য সুন্দর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারে আগত প্রতিটি নিরক্ষর বন্দীকে প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
    এছাড়াও কারাগারে অন্তরীন থাকাকালীন বন্দীদের আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যুগোপযোগী বিভিন্ন ট্রেডে কারাগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী।

  • র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-১৩ এর যৌথ অভি-যানে হ-ত্যা মাম-লার যাব-জ্জীবন সা-জাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফ-তার

    র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-১৩ এর যৌথ অভি-যানে হ-ত্যা মাম-লার যাব-জ্জীবন সা-জাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফ-তার

    হেলাল শেখঃ চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. জিল্লুর রহমান ওরফে জিল্লুর (৫৫) কে সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

    র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এবং র‌্যাব-১৩ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার রাতে ঢাকার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর (পূর্বহাট) এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

    শনিবার (২৮ জুন) র‍্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএন রায় নিয়তি গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এই আসামী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে অবস্থান করছিলো। অবশেষে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়কের নির্দেশনায় র‌্যাব-৪, সিপিসি-২ এবং র‌্যাব-১৩ এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম ছায়া তদন্ত শুরু করেন। গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জিল্লুর রহমানকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় এবং পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র‍্যাব জানায়।

  • সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশের আম্রকাননে কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত

    সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশের আম্রকাননে কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত

    রংপুর থেকে বিভাগীয় প্রতিনিধি আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন। —

    সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশ রংপুর জেলা শাখার আয়োজনে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর শাহ আম্রকাননে গত শুক্রবার ২৭ জুন দিনব্যাপী আম্রকাননে কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশ এর রংপুর বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ইন্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন রংপুরীর সভাপতিত্বে অতিথি বক্তব্য রাখেন কালচারাল একাডেমির পরিচালক, প্রকাশক, কবি ও সাহিত্যিক এমদাদুল হক, বিশিষ্ট কবি,সোশাল ইসলামি ব্যাংক এর কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, বিশিস্ট কবি ও সাহিত্য সংগঠক, অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম আরিফুল ইসলাম ,শব্দপ্রেমি সাহিত্য সংসদ এর সভাপতি আব্দুল হাদী, হারাগাছ সাহিত্য পরিষদ এর সভাপতি এম এ শোয়েব দুলাল, সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশ গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের, ঠাকুরগাঁও জেলা কমিটির সভাপতি ফজলে ফিরোজ, শাহ আম্রকানন এর প্রতিষ্ঠাতা কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চাপু্ল শাহ, এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক তুহিন শাহ প্রমুখ। স্বরচিত কবিতা ছড়া গল্প বলায় অংশগ্রহণ করেন আবু নাসের সিদ্দিক তুহিন, দেলোয়ার হোসেন রংপুরী, এম এম জাকারিয়া, ফিরোজ কবির, আব্দুল হাদী, আহসানুল হাবিব মন্ডল, ইমদাদুল হক খান, হুসবান হাবিব লুব্ধক, খায়রুল আলম, নবীউল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান সুলতান, হাফিজ রেদওয়ান, এসএম শোয়েব দুলাল, এসএম ইতি, দীপ শিখা, মুঈদ উল ইসলাম, নুশরাত উপমা, খেয়ালি মোস্তফা, জেসমিন আক্তার, সুফি জাহিদ হোসেন, রিয়াজুল হক সাগর, সুরাইয়া, আবুল কালাম আজাদ, মুসাফা আক্তার বাণু, আহসান হাবিব রবু, নাজিরা পারভীন, জিমান্ত, মারুফা আক্তার, অহিদুল ইসলাম, মোজাহারুল ইসলাম, ফজলে ফিরোজ, একেএম ফরহাদ হোসেন, এমদাদুল হক চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, শরিফা খাতুন, মুমতাহিন সিফাত, আব্দুল কাদের, শিল্পী সরকার, খায়রুজ্জামান দুদু, রাসেল আহাম্মেদ ডালিম কুমার, নাসরিন নাজ কবি প্রমুখ। কবিতা পাঠ শেষে উপস্থিত সকল কবি লেখক স্থানীয় শালবন, জমিদার বাড়ি, পুরাতন দিঘি ও মন্দির, শ্যামপুর চিনিকল পরিদর্শন করেন।
    এবারের ব্যতিক্রমী আয়োজনে সকালে আম, কাঠাল ও মুড়ি দিয়ে বিশেষ ধরণের নাস্তা সকলেই আনন্দের সাথে উপভোগ করেন। এছাড়াও দুপুরের খাবারে ১৮ পদের ভর্তা, টাটকা আমের বিচিত্র আাঁচারসহ নানারকম আমের স্বাদ আস্বাদন সকলকে মুগ্ধ করে।
    অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম এর উপর একটি বিশেষ সেমিনার এবং সাহিত্য সংস্কৃতি উৎসব এর আয়োজনসহ আগামী ৩১ অক্টোবর শুক্রবার দিনব্যাপী সাফল্য সাহিত্য সংস্কৃতি পরিবার বাংলাদেশ এর ১০ ম বর্ষপূর্তী উৎসব ও কবি-লেখকদের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    আম্রকাননে কবিতা উৎসবের এ আয়োজনে রংপুর বিভাগের আট জেলা সহ ১৫ জেলার শতাধিক কবি লেখক অংশগ্রহণ করেন।

  • উজিরপুরে বিএনপি নেতার মৃ-ত্যু বিভিন্ন মহলের শো-ক

    উজিরপুরে বিএনপি নেতার মৃ-ত্যু বিভিন্ন মহলের শো-ক

    উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের তিনবারের বিএনপি’র সাবেক সফল সভাপতি ও তিনবারের সাবেক জনপ্রিয় ইউপি সদস্য  আলহাজ্ব মোবারক হোসেন কালু মেম্বার। 

     ২৮ জুন শনিবার রাত ১:৩০ মিনিটে কিডনি সংক্রান্ত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৮৫)। তিনি ৭ নং ওয়ার্ডের ধামসর গ্রামের অধিবাসী ছিলেন।মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যা ও দুই পুত্রসহ অসংখ্য গুনিগ্রহ রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন  বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উজিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, উজিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এস এম আলাউদ্দিন, বিএনপি’র সদস্য সচিব মোঃ হুমায়ুন খান, উপজেলা  যুবদলের আহ্বায়ক আ খ ম শামসুদ্দোহা আজাদ, উপজেলা ছাত্রদলের  সদস্য সচিব মোঃ মুরাদ হোসেন রনি, বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জুগলু, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বিএনপির নেতা আলতাফ মাহমুদ মিলন হাওলাদার, সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  বিকেল জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানের দাফন করা হয়।

  • অষ্টধারে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় VWB কার্ড বিতরণে লটারির মাধ্যমে  উপকারভোগী বাছাই

    অষ্টধারে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় VWB কার্ড বিতরণে লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী বাছাই

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহের সদর উপজেলার অষ্টধার ইউনিয়নে দুস্থ অসহায় নারীদের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের (ভিডব্লিউবি) প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের মিলনায়তনে এ লটারির আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।

    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগীতায় আয়োজিত লটারি কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, অষ্টধার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে ৫১০জন আবেদনকারী VWB কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। এদের মধ্য থেকে স্বচ্ছ লটারির মাধ্যমে ১৮৩ জন নারীকে উপকারভোগী হিসাবে বাছাই করা হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই সরকারি সুবিধাগুলো প্রকৃত প্রাপকের হাতে পৌঁছাক। এজন্য উন্মুক্ত লটারি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।”

    কার্যকর প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সেবা প্রণয়নে স্বচ্ছতা এবং তা বাস্তবায়নে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই বলে জানিয়ে যাচাই বাছাই টিম সম্বন্বয়ক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার দিকে এগুচ্ছে। তাই সকল স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সরকারের প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে। বিডব্লিউবি কার্যক্রমে প্রকৃত উপকারভোগী বাছাইয়ে লটারী কার্যক্রম তারই অংশ। এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বচ্ছতা, আস্থা ও সরকারের প্রতি বিশ্বাস আরও জোরদার হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    অপরদিকে লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় এলাকাবাসির প্রশংসা কুড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এতে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে উপকারভোগী নির্বাচিত হওয়ায় আবেদনকারীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন। উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও ইউএনওর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। ভুক্তভোগী আবেদনকসরীরা জানান, “আমরা ভেবেছিলাম হয়তো সুপারিশ বা প্রভাব খাটানো হবে, কিন্তু ইউএনও স্যারের কারণে সব কিছু স্বচ্ছভাবে হয়েছে।

    এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। যাচাই-বাছাই শেষে সচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নের কয়েকজন উপকারভোগীরা লটারীর মাধ্যমে প্রকৃত গরীব অসহায়দের বিডব্লিউবি এর আওতায় সেবা পেতে সহযোগীতা করায় উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন-যাচাই-বাছাই সচ্ছতা নিশ্চিত করণে উপজেলা প্রশাসনের নিযোজিত সম্বন্বয় টিম প্রধান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল হক ফারুক রেজা, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের (ফিজিও থেরাপি) কনসালটেন্ট ডাক্তার গোলাম মোস্তফা, ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বারেক (আরজু), ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) এর পরিচালক নাহিদ হাসান, ইউপি সদস্য/সদস্যগণ, ভিজিডি কার্যক্রমের ইউনিয়ন কমিটির সদস্যগণসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সম্মানিত নেতৃবৃন্দ।

  • খাল বিল পুকুরে  মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল উত্তরাঞ্চলে এক সময়ের আ-পদ এখন সম্পদ

    খাল বিল পুকুরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল উত্তরাঞ্চলে এক সময়ের আ-পদ এখন সম্পদ

    রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষ কচুরিপানার সঙ্গে পরিচিত নন, এমনটা খুঁজে পাওয়া ভার। এটি এমন একটি ভাসমান জলজ উদ্ভিদ, যা বিভিন্ন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম। উচ্চ উৎপাদনশীলতা এবং দ্রুত প্রজনন ক্ষমতার জন্য এটি সুপরিচিত। এটা এখন সম্পদে পরিনত হয়েছে।

    কচুরিপানা নিয়ে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস। পূর্ববঙ্গে একটা সময় কচুরিপানার প্রকোপ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, এটি নিধনের জন্য বিশেষ আইনও প্রণয়ন করতে হয়েছে। গাণিতিক সমস্যা থেকে শুরু করে লোকগীতি, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও কবিতাতেও স্থান করে নিয়েছে কচুরিপানা।
    ‘প্রবাসী’ (শ্রাবণ ১৩৬১) পত্রিকায় স্থান পেয়েছে কচুরিপানার সচিত্র প্রতিবেদন। শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মিত্র তো ‘কচুরি পানা’ শিরোনামে ৫৫ পৃষ্ঠার গোটা একখানা পুস্তিকাই রচনা করেছেন! সে কালের পাঠ্যবইতে সংযুক্ত ছিল কচুরিপানা নিয়ে অঙ্ক-‘একটি পুকুরে কচুরিপানা প্রতিদিন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পায়। এভাবে ৬০ দিনে পুকুরটি কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ১৫ দিনে পুকুরটির কত অংশ কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হবে?’ এ গণনা সে সময়ে কচুরিপানার দ্রুত বিস্তারের বিষয়টিকেই মনে করিয়ে দেয়।

    প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। বর্তমানে পুকুর, ডোবা, খাল, বিল, ঝিল, ক্যানেলসহ বিভিন্ন জলাশয় পানিতে ভরে উঠছে। এর মাঝেই গাঢ় সবুজ আবহ নিয়ে ভেসে আছে কচুরিপানা। গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত একটি জলজ বহুবর্ষজীবি উদ্ভিদ এই কচুরিপানা ও তার ফুল! এ যেন প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে ওঠা এক অবহেলিত শোভা।

    এক সময়ের আপদ জলজ উদ্ভিদ কচুরিাপনাও এখন রাজশাহীর সম্পদ। কচুরিপানা গবাদিপশুর উৎকৃষ্ট খাবার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এই কচুরিপানা জলজ উদ্ভিদ। নদী ও পুকুর ভাঙ্গন এলাকায় এলাকায় বাঁশ দিয়ে আটকে রেখে ঢেউয়ের আঘাত থেকে ভিটেমাটি রক্ষায় ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া পানিতে স্তূপীকৃত পচা কচুরিপানার ওপরে ভাসমান নানা শাক-সবজিও ফলানো যায়। ফলে চাষিরা পানিতে ভাসমান কচুরিপানার স্তূপগুলোকে কৃষিকাজে ব্যবহার করে। কচুরিপানাকে শুঁকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যও তৈরি করা হয়। কচুরিপানা থেকে তৈরি হচ্ছে টব, ফুলদানি,পাটি, ট্রে, ফলঝুড়ি, ডিম রাখার পাত্র, পাপোশ, মোড়া, টুপি, আয়নার ফ্রেম, ডাইনিং টেবিলের ম্যাটসহ প্রায় ২০ ধরনের পণ্য। ’কচুরিপানা প্রকৃতি ও মানুষের জীবনে কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও অসাধারণ অনেক কিছু কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

    গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার এ প্রসঙ্গে জানান, কচুরিপানা গবাদিপশুর উৎকৃষ্ট খাবার, জৈবসার হিসেবে খুবই শক্তিশালী, এটা ব্যবহার করে কৃষকগণ ভাসমান শাক সবজির চাষ করে থাকে। পুকুর ও বিলে কাপ জাতীয় মাছের ভাল খাবার, রোদে শুকিয়ে জালনী হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর ঔষধিগুন রয়েছে।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার কৃষক আব্দুল লতিফ এ প্রতিবেদককে বলেন, এটা গোবরের সাথে পঁচিয়ে কৃষি জমিতে ব্যবহার করলে ফসল উৎপাদন ভাল হয়।

    উপসহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার বলেন, কচুরিপানা কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিকভাবে এসব কচুরিপানা সংরক্ষণ করা হলে জৈব সার তৈরি করা যায়। এতে কৃষকরা ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারেন। কচুরিপানা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। এটি প্রচুর পরিমাণে বীজ তৈরি করে, যা ৩০ বছর পরও অঙ্কুরোদ্গম হতে পারে। পানি পেলে কচুরিপানার ফুল প্রায় সারা বছরই ফোটে। তবে বেশি দিন স্থায়ী হয় না। নাজুক এ ফুল কাণ্ড থেকে আলাদা করলে খুব দ্রুতই নুয়ে পড়ে। তাই এ ফুল জলাশয়ে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণই মুগ্ধতা ছড়ায়।

    মেডিক্যাল পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাফিসা জিন্নাহ বলেন, রাজশাহীর বিভিন্ন পুকুর, নদী, খাল-বিলে প্রতি বছর বর্ষার পানিতে বিলের চারপাশ কচুরিপানায় ভরে যায়। এখন মুক্ত জলাশয়ে ফুটন্ত কচুরিপানা ফুল প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। এ অরূপ সৌন্দর্য মনকে মাতিয়ে যাচ্ছে। উষ্ণতা বয়ে আনছে প্রকৃতি প্রেমিদের হৃদয়ে।

    মোঃ হায়দার আলী
    নিজস্ব প্রতিবেদক,
    রাজশাহী

  • রাজশাহী নগরীতে  পানিতে ডু-বে এক স্কুল ছাত্রের মৃ-ত্যু

    রাজশাহী নগরীতে পানিতে ডু-বে এক স্কুল ছাত্রের মৃ-ত্যু

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী নগরীর মেহেরচন্ডী ফ্লাইওভার সংলগ্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কবরস্থান জামে মসজিদ পুকুরে গোসল করতে নেমে ১৫ বছর বয়সী এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পানিতে ডুবে মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর আনুমানিক একটার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

    মৃত ছাত্রের নাম রাফসান রাব্বি। সে রাজশাহী অগ্রণী স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং নগরীর উপরভদ্রা এলাকার বাসিন্দা। তার পিতা শফিকুল ইসলাম। রাব্বি ওই এলাকায় পরিবারের একমাত্র ছেলে ছিলেন।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, রাফসান রাব্বি তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কবরস্থান জামে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসলের সময় কিছুক্ষণ পর তার আর পানির উপরে দেখা মেলেনি। এরপর বন্ধুদের চেষ্টায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ততক্ষণে সে পানিতে ডুবে মারা গেছে।

    এই দুর্ঘটনায় রাফসানের পরিবার এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও পরিচিতজনরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একমাত্র পুত্রের আকস্মিক চলে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।

    স্থানীয়রা মসজিদ পুকুরের আশেপাশে সুরক্ষার ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে।

    মোঃ হায়দার আলী,
    নিজস্ব প্রতিনিধি,
    রাজশাহী।

  • পাবনা-২ আসনে পুনরায় ধানের শীষের কান্ডারী হলেন অ্যাডভোকেট এ, কে, এম সেলিম রেজা হাবিব

    পাবনা-২ আসনে পুনরায় ধানের শীষের কান্ডারী হলেন অ্যাডভোকেট এ, কে, এম সেলিম রেজা হাবিব

    এম এ আলিম রিপন, সুজানগর: সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা এবং বেড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত পাবনা ২ সংসদীয় আসনে দলীয় এবং জনমত জরিপে এগিয়ে থাকায় পুনরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুজানগর উপজেলার কৃতি সন্তান এ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিব বলে জানা গেছে ।

    এর আগে এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রাথর্ী হিসেবে পাবনা-২ ( সুজানগর-আমিনপুর) আসন থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

    জানাযায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনগুলোতে প্রাথর্ী বাছাইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে বিএনপি। ২০২৬ সালে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে এ লক্ষ্য সামনে রেখে অন্যান্য আসনের মত পাবনা ২ আসনেও প্রাথর্ী বাছাই করে দলটি। এর মধ্যে সংসদীয় আসনটিতেএকাধিক জরিপও সম্পন্ন করে দলটি । পাবনা ২ নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে দলের
    মধ্যে স্থানীয় জনপ্রিয়তা, দলীয় নেতা কর্মীদের মতামত , দলের জন্য নিবেদিত কি না, আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান-ত্যাগ, দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থাকা, সততা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এবং জনমত জরিপে এগিয়ে থাকায় জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট একেএম সেলিম রেজা হাবিবকে এ আসনটিতে বিএনপি’র ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এ আসনটিতে অ্যাডভোকেট এ, কে, এম সেলিম রেজা হাবিবের পাশাপাশি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন ও পাবনা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আব্দুল হালিম সাজ্জাদ। এরমধ্যে কৃষিবিদ হাসান-জাফির তুহিন কে পাবনা-৩ আসনে সংসদ সদস্য প্রাথর্ী হিসেবে মনোনয়নের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) দেশের সর্ববৃহৎ গণমুখী একটি বড় রাজনৈতিক দল। এই দলের মনোনয়নের বিষয়ে সবাই আগ্রহী হন। এতে দোষের কিছু নেই। তবে পাবনার- ২ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী কে, তা গত বৃহস্পতিবার দলটির হাই কমান্ড থেকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি ও মতপার্থক্য থাকলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের কান্ডারী বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এ, কে,এম সেলিম রেজা হাবিবের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে নেতাকর্মীরা কাজ করে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এ আসনটি উপহার দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    সুজানগর উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আনিসুর রহমান খোকন বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত। জনবান্ধব নেতা এডভোকেট এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব ধানের শীষের কান্ডারী হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে সবাই উজ্জীবিত, উৎফুল্ল।

    উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট এ,কে,এম সেলিম রেজা হাবিব অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবেন ।

    উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রিয়াজ মন্ডল বলেন, দলের প্রতিটি নেতাকর্মী অ্যাডভোকেট এ কে এম সেলিম রেজা হাবিবের বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

    পাবনা ২ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এ, কে,এম সেলিম রেজা হাবিব বিএনপি প্রাথর্ী হিসেবে মনোনয়নের জন্য জন্য চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত হওয়ার পর শুক্রবার (২৭ জুন) এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ জনপদের মানুষের সুখে দুখে পাশে থেকে কাজ করছি। ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা মামলার পাশাপাশি করতে হয়েছে কারাবরণ। পাবনা- ২ সংসদীয় আসনের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে আমি যাইনি। দলীয় নেতাকর্মীসহ জনসাধারণ সবার সঙ্গে রয়েছে আমার আত্মার সম্পর্ক । বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পাবনা- ২ আসনের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য আমাকে পুনরায় সুযোগ দিয়েছেন। সেজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এ জনপদের মানুষ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে আমাকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করলে সন্ত্রাস ও চঁাদাবাজমুক্ত করার পাশাপাশি জনগণের সার্বিক কল্যানে কাজ করবো ইনশাল্লাহ। এজন্য তিনি ধানের শীষ প্রতীকের ভোট প্রার্থনা করে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।

  • ময়মনসিংহে পুলিশের  সার্বিক নিরাপত্তায় নির্বিঘ্নে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা* উদযাপন

    ময়মনসিংহে পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তায় নির্বিঘ্নে রথযাত্রার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা* উদযাপন

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়েছে। আগামী ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসব শেষ হবে। শোভাযাত্রার সময় ময়মনসিংহ জেলা ও কোতোয়ালি পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো পুরো এলাকায়। যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা অনুসারে সবখানে মোতায়েন ছিলো জেলা পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য। শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব–২৫” ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে।

    শুক্রবার (২৭জুন) দুপুর ৩:০০ ঘটিকায় দুর্গাবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) বর্ণাঢ্য এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এ উপলক্ষে দুর্গাবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ মহোৎসবে হাজারো ভক্তবৃন্দ, দর্শনার্থী ও স্থানীয় জনগণ অংশ নেন।

    রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন মন্দিরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রথযাত্রা উপলক্ষে নগরীব্যাপী ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ এর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।

    এই রথযাত্রা উৎসবের প্রবর্তক হচ্ছেন আচার্য্য শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ, যিনি ইসকন আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ সিটি সেন্টার, শ্রীশ্রী গৌরনিতাই মন্দির, ময়মনসিংহ।

    আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সনাতন সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত আছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরাও।

    জয় শ্রী জগন্নাথ” ধ্বনিতে মুখর ময়মনসিংহ, ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অপূর্ব সাক্ষী হয়ে উঠেছে রথযাত্রা মহোৎসব–২৫। এই মহোৎসবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শিবিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে কড়া নিরাপত্তার জোরদার করতে মাঠে ছিলেন কোতোয়ালি পুলিশ।

    প্যান্ডেল ও সড়কজুড়ে আলোকসজ্জা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সেবাকাজে নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের সক্রিয় ভূমিকা চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানটি শহরের ধর্মপ্রাণ জনগণের কাছে এক অপার আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে।

  • আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নানকে অভিনন্দন

    আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হান্নানকে অভিনন্দন

    হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়া থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হান্নানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)।

    তিনি এক শুভেচ্ছা বার্তায় নবনিযুক্ত ওসির দায়িত্ব পালনে সফলতা কামনা করেন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ওসি হান্নানের দক্ষ নেতৃত্বে আশুলিয়াকে একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

    তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগষ্ট থেকে ইতিপূর্বে ১০ মাসে আশুলিয়া থানা থেকে ৫জন ওসি ও ১জন তদন্ত ওসি ক্লোজ বা বদলির ঘটনা ঘটেছে, জাতি জানতে চায় এই ঘটনা কোনো বড় ধরনের ষড়যন্ত্র কিনা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, পুলিশের বদলির চাকরি তবে অতিরিক্ত কোনকিছুই ভালো না। পুলিশের কাজে বাঁধা সৃষ্টিকারী যেইহোক না কেন কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে নতুন ওসি সাহেবকে সরকারি কাজে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি। এরজন্য ওসি সাহেবও তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন বলে সবার প্রত্যাশা।