Blog

  • নড়াইলে প্লাষ্টিকের হাত পাখার দাপটে বাজার ছাড়া তালপাতার পাখা

    নড়াইলে প্লাষ্টিকের হাত পাখার দাপটে বাজার ছাড়া তালপাতার পাখা

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :
    আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে নানান ধরণের প্রাচীন নিদর্শন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নিদর্শন হলো হাতপাখা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে হাতপাখার ব্যবহার। বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ারকন্ডিশন সহ নানান ধরণের আকর্ষনীয় প্লাষ্টিকের হাত পাখার দাপটে বিলুপ্তির পথে প্রাচীন এই নিদর্শন। বিক্রি না হওয়ায় কারিগরেরা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে অন্য কাজে মন দিয়েছেন। আগে হাতপাখা বানিয়ে সংসার চলতো তাদের। বর্তমানে হাতপাখার ব্যবহার না থাকায় পেশাদার কারিগররা হাতপাখা বানানো বন্ধ করে জীবন-জিবীকার জন্য অন্য কাজে মনসংযোগ করেছেন। যাতে করে কারুশিল্পের একটি অংশ হারাতে বসেছে।
    আবহমানকাল থেকে যখন বিদ্যুত সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিলো না সে সময় থেকেই মানুষের দেহ শীতল করার জন্য ব্যাবহৃত হতো হাতপাখা। প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত নানাভাবে পাখার ব্যবহার চলছে। প্রাচীনকালে অতি গরমে বাতাসকে চলমান করে, গরম হাওয়া সরিয়ে অপেক্ষাকৃত শীতল হাওয়া প্রবাহের জন্য হাতপাখার ব্যবহার শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে রুপান্তরের ধারাবাহিকতায় হাতপাখা একটি অলঙ্কারিত শিল্পে সৌন্দর্য লাভ করেছে। পাঁচ বছর আগেও উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের মানুষ হাতপাখার ব্যবহার করতেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন আর হাতপাখা চোখে পড়ে না বললেই চলে। হাতপাখার সাহায্যে যতটা হাওয়া বওয়ানো যায়,তার চেয়ে বড় জায়গা ঠান্ডা রাখতে ভিন্ন প্রযুক্তির আবিষ্কারে হাতপাখার অস্তিত্ব বিলীন প্রায়!
    গ্রীষ্ম মৌসুমে গ্রামের পুরুষ-মহিলা হাতে একটি করে পাখা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকতেন কোন গাছের নিচে। কেরাত কেরাত শব্দে পাখা ঘুরিয়ে শীতল করতো দেহ। প্রতিটি বাড়ীর উঠোনে বসে মহিলারা হাতপাখা দিয়ে শীতল করতো নিজের দেহ সাথে স্বামী সন্তানের দেহ। হাতপাখার প্রচলন অধিকাংশ দেখা মিলতো গ্রাম-গঞ্জে। বর্তমান সময়ে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি কোনায় বিদ্যুত পৌঁছে যাওয়ার ফলে আর তেমন ব্যবহার নেই হাতপাখার। গ্রাম্য লের গৃহবধুরা বাঁশের বাতি দিয়ে চাক কেটে নিয়ে বিভিন্ন কালারের বাহারী কাপড় দিয়ে বানাতেন দৃষ্টিনন্দন হাতপাখা। আবার সেই পাখার মধ্যে লিখতেন প্রিয়জনের নাম বা নিজের সন্তানের নাম। কিন্তু কালের পরিক্রমায় বর্তমানে হাতপাখার আর কদর নেই। বর্তমানে উঠতি বয়সের মেয়েদের হাতপাখার কথা জিজ্ঞেস করলে চমকে ওঠে। যেন কোনদিন নাম-ই শোনেনি!
    গ্রামবাংলার ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য হাতপাখা গল্প,ছড়া,কবিতা,গান ও উপন্যাসের বহু জায়গা দখল করে আছে।
    জেলায় পাখা তৈরি করে জিবীকা নির্বাহ করতো শ’খানেক পরিবার। তালপাখা তৈরির ক্ষেত্রে শৈল্পিকতা ফুটে উঠতো কারিগরদের হাতের ছোঁয়ায়। আগে এই অ লের গ্রামের মানুষ গরম থেকে নিস্তার পেতে তালপাতা, বাঁশের কি , গাছের পাতলা বাকল সহ বিভিন্ন রকম কাপড় সংগ্রহ করে পাখা বানাতেন। কিছু কারিগর তালপাতা,বাঁশের কি স্বল্পমূল্যে পাতা কিনেও পাখা বানিয়ে বাজারে বিক্রি করতেন।
    স্থানীয় হাট বারে বা বিভিন্ন মেলায় চোখে পড়তো হাতপাখার পসরা। মেলায় ঘুরতে আসা গৃহবধু,কিশোর-কিশোরীরা পছন্দমতো নকশা দেখে সাগ্রহে কিনতেন হাতপাখা। অনেকে প্রিয়জন বা আত্মীয় স্বজনকে উপহার দেওয়ার জন্যও হাতপাখা কিনতেন। জেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হাতপাখা তৈরীর পেশাদার কারিগররা পাখা বানানো বন্ধ করে দিয়েছেন। কেন পাখা বানানো বন্ধ করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে একজন কারিগর বলেন, “পাখা বানিয়ে আগে যা রোজগার হতো তা দিয়ে সংসার চলতো। বর্তমানে হাতপাখা বিক্রি হয় না। যার কারনে অন্য পেশা বেছে নিয়েছি।”
    জেলার নড়াইল পৌরসভার কুড়িগ্রামের সন্তয মিস্ত্রি
    ৬৮ বছর বয়সী সন্তষ মিস্ত্রি
    সাথে কথা হলে তিনি বলেন ফ্যানের বাতাস ভালো নাগে না। আত্তিরে শুতে খালি গোঁ গোঁ শব্দ করে। বাতাস তেমন গাওত নাগে না। কোন সমে গরম বাতাস বারায়। বিদিকিচ্চি নাগে মোক। আগে মোর পাখা-ই মেলা ভালো আচোলো।
    তবে অনেক হাতপাখার প্রধান কারিগর বা কারুশিল্পি মহিলারা নিজে ব্যবহারের জন্য কাপড়ের হাতপাখা তৈরি করছেন। তারা সুতা দিয়ে কাপড়ের পাখা তৈরি করে থাকেন। সুতা দিয়ে ফুল তোলার আগে আউট লাইন ড্রইং করে নিয়ে ফর্মা তৈরির জন্য কারুশিল্পির কাজ করেন।এছাড়া এই পাখাগুলোতে রয়েছে নানান ধরনের ডিজাইন ও নানাবিধ নকশা।
    গ্রামের অসংখ্য লোকজন এই প্রতিবেদককে জানান, গ্রামগুলোতে ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে গিয়েছে। ফলে প্রতিটি বাড়িতেই চলছে ইলেক্ট্রিক পাখা। হাতপাখার গ্রয়োজনীয়তাও কমে যাচ্ছে। অথচ পাঁচ বছর আগেও অনেক পরিবার হাতপাখা ব্যবহার করতেন। আমরা আগের দিনে হাতপাখার হাওয়া খেয়ে যে তৃপ্তি বা শান্তি পেয়েছি তা বিদ্যুতের পাখা, এসি,ফাইবারের পাখাও কোন দিনও দিতে পারবে না।
    এভাবেই অবহেলা ও গুরুত্বের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে অতি প্রাচীন হাতপাখা। একদিকে হাতপাখা যেমন দেহ শীতল করে অপরদিকে অনেকটা শরীরচর্চাও হয় বলে জানান অনেকে। তাই এই হাতপাখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে হাতপাখার ব্যবহার বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।

  • অশান্ত শৈলকুপায় আবারো প্রতিপক্ষের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট

    অশান্ত শৈলকুপায় আবারো প্রতিপক্ষের বাড়ীঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের বারইহুদা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়ীঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো-ওই গ্রামের শমসের শাহ, রফিক উদ্দিন, শফি উদ্দিন, আনজার শাহ ও সারেজান নেছাসহ ১০ জন। স্থানীয় জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন ও বগুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সমর্থকদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা নাসির উদ্দিনের সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে অন্তত ৮ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। তাদের হামলায় আহত হয় নারীসহ অন্তত ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন সামাজিক দলের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। আর এই সামাজিক দলগুলো মুলত সরকারী দলের ছত্রছায়ায় বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।

  • নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে  জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু

    নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইলঃ
    নড়াইলের পল্লীতে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যুবকের মৃত্যু। নড়াইলে পরকিয়ার জেরে প্রান গেল যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার ৬নং তুলারামপুর ইউনিয়নের ৯নং বাকসাডাঙ্গা গ্রামে। জানা যায়,বাকসাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেনের প্রবাসী ছেলে মোঃ শহর আলীর স্ত্রি মোছাঃ সোনালী খাতুন বিভিন্ন উপায়ে আকৃষ্ট করে একই গ্রামের মোঃ মোতালেফ হোসেনের অবিবাহিত ছেলে মোঃ শামিম হোসেনর সাথে স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। স্বামী শহর আলী ছুটিতে বাড়ি এসে ঘটনাটি লোক মুখে জানার পর শামিম কে হত্যার নীলনকশা তৈরি করে বড় ভাই শামছুর রহমানের সাথে।হত্যাকান্ডে নিহত শামিমের মাতা বলেন,গত ২৫ জুলাই ২২ শোমবার রাতে খেয়ে শামিম ঘুমোতে যায়। তার পর রাত আনুমানিক ১: ৩০ মিনিটের সময় শামিমের ঘর থেকে বিপদজনক আওয়াজের শব্দ পেয়ে ঘরে যেয়ে দেখি শামিম খাটে নাই, মাচাংয়ের তলে পড়ে আছে, সেই রাতেই তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।চারদিন নড়াইল হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার পর শামিম কিছু টা কথা বলেন,তিনি বলেন রাতে সোনালি আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে দুধের সাথে চেতনানাষক ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে সোনালী,শহর, ও শামছুর বোতলে পানি ভরে মধ্যযুগিও কায়দায় হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট করে।শামিমের ভাগ্নে শাহিন ভুইয়া বলেন, পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মামা শামিকে ডেকে নিয়ে মেরে বাগান পরিস্কার করা বিষ গালে ঢেলে দিয়েছে সোনালী, শহর আর শামছুর এবং ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়েছে। ৬ দিন নড়াইল, যশোরে চিকিৎসা নিয়ে অবস্হার অবনতি হলে গত ৩১/৭/২২ তারিখে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মৃত্যুবরন করেন।এ ব্যাপারে প্রতিনিধির কথা হয় ৬নং তুলারামপুর ইউপির সাবেক তিন নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বর শিউলি বেগমের। তিনি বলেন,এটা পরিকল্পিত হত্যা।যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা পুরো নষ্ট একটা পরিবার।তাদের পরিবারে পরকিয়া মাছ ভাত। শহর আলীর পরিবারের সকল মহিলাই খারাপ ও পরকিয়া সম্পর্কে জড়িত।আমরা উপস্হিত সকলে শামিম হত্যার বিচার চাই। এ দিকে বাকসাডাঙ্গা গ্রামের বর্তমান মেম্বর জাহাঙ্গীর কাজী এ হত্যা সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্ন এড়িয়ে কিছুই না জানার ভান করে তড়িঘড়ি চেয়ার ছেড়ে বাইরে চলে যান।এ হত্যায় মেম্বর জাহাঙ্গীর কাজী নিরব কেনো? কেনো হত্যার বিচার মিডিয়ার সামনে চাইলো না সেটা নিয়েও জনমনে উঠেছে প্রশ্ন। দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার এসআই শিশির বলেন,অভিযোগের পর আমরা অভিযান চালিয়ে শহরের স্ত্রী সোনালি খাতুন কে আটক করেছি।জড়িত অন্য আসামি আটকের প্রক্রিয়া চলছে।পরবর্তী তথ্য পেলে মিডিয়াকে জানানো হবে।গত ১/৮/২২ তারিখে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের কার্যক্রমেরর পর গ্রামে জানাজা শেষে সম্মিলিত চারাবটতলা কবর স্হানে দাফন করা হয়েছে। শামিম হত্যায় শামিমের মা হয়েছেন পুত্র শোকে বাকরুদ্ধ, সবাই চায়ছেন সঠিক বিচার,এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

  • বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করার অভিযোগ।। আটক দুই জন

    বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করার অভিযোগ।। আটক দুই জন

    এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া।। বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা ও সচিব রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জাল করে জন্ম নিবন্ধন করায় ওই ইউনিয়নের আউয়ার এস ইউ প্রি ক্যাডেট বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনকে (৩০) হাতে নাতে ধরা পরায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার ২ আগষ্ট সকালে ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মসজিদবাড়ী গ্রামের সাবিনা নামে এক নারী ইউনিয়ন পরিষদে পরিচয় পত্র নিতে আসলে তার জন্ম নিবন্ধনে সিল ও স্বাক্ষর দেখে উপস্থিত বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন প্রতিনিধিদের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, প্রতিবেশী আউয়ার এস ইউ প্রি ক্যাডেট বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেনকে গত কয়েক মাস আগে জন্মনিবন্ধন করার জন্য বললে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে তার নিজস্ব লোক দিয়ে আমার কাছ থেকে ৩ শত টাকা নেয়, পরবর্তীতে ৫ জুন জন্ম নিবন্ধন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এনে আমাকে দেয়।

    এবিষয়ে আটক হওয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর জাল করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি চেয়ারম্যানের সই নকল করেছি কিন্তু চেয়ারম্যানের সিল ও সচিব রুহুল আমিনের স্বাক্ষর জাল করে সই দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যেক্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

    এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যেক্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এ বিষয়ে জড়িত থাকতে পারে। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) অবহিত করা হলে তিনি লবনসারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ অফিসার সহ টিম পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সঠিক তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ইউপ সচিব মোঃ রুহুল আমিন বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।#

    এস মিজানুল ইসলাম।।

  • নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে

    নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলে কলেজ যাবেন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে।
    নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস বুধবার (৩ আগস্ট) কলেজে যাচ্ছেন। একই দিন কলেজে যাবেন নড়াইল-১ আসনের এমপি কমিবরুল হক মুক্তি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যানসহ ৩ জন এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। কলেজের শিক্ষক ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে। এসব তথ্য জানিয়েছেন মির্জাপুর ইউনাইটেড
    কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এড. অচিন চক্রবর্ত্তী। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের এক ছাত্র ফেসবুকে ভারতের বিজেপির বহিস্কৃত নেত্রী মহানবী (সাঃ)কে কটুক্তিকারী নূপুর শর্মাকে প্রনাম জানিয়ে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে ১৮জুন এক সহিংস ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে পুলিশের সামনে জুতার মালা পরিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ ৩৬দিন কলেজ বন্ধ থাকার পর গত ২৪ জুলাই কলেজ খুললেও অধ্যক্ষ কলেজে যাননি। এমনকি অধ্যক্ষ পার্শ্ববর্তী গ্রাম বড়কুলার নিজ বাড়িতেও ফেরেননি। তিনি নড়াইল শহর অথবা শহরতলিতে কোনো আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে রয়েছেন। অধ্যক্ষের বাড়িতে তাঁর মা বনলতা বিশ্বাস-বাবা সুমন্ত বিশ্বাস, স্ত্রী ও স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ৩ কন্যা রয়েছেন।
    অধ্যক্ষ হেনস্থা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্বে) মো. মাহামুদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মোট ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা সবাই হাজতে। এর মধ্যে মির্জাপুর কলেজের ছাত্র রয়েছেন ৪জন। এসব ছাত্ররা হলো মির্জাপুর গ্রামের মেজবাউর রহমানের পূত্র সাব্বির রহমান, আফজাল শেখের পূত্র রিপন শেখ রিপু, রহমান শেখের পূত্র রায়হান শেখ ও চুনখোলা গ্রামের আফসারুল কাজীর পূত্র জহিরুল কাজী। এদিকে অভিযুক্ত পোস্টকারী কলেজ ছাত্র রাহুল এখনও হাজতে।

  • শার্শায় ১০ টি সোনার বার সহ পাচারকারী আটক

    শার্শায় ১০ টি সোনার বার সহ পাচারকারী আটক

    আজিজুল ইসলাম : যশোরের শার্শার বালুন্ডা জামতলা সড়কের ভাগারিখা এলাকা থেকে ১০ পিচ সোনার বার ও একটি মোটরসাইকেল সহ হাসানুজ্জামান (২২) নামে একজন পাচারকারীকে বিজিবি আটক করেছে। উদ্ধার করা সোনার ওজন ১ কেজি ১০৮ গ্রাম। মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দুপুরে তাকে আটক করা হয়।

    আটক হাসানুজ্জামান বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে।

    বিজিবি জানায়, ভারতে সোনার একটি চালান পাচার হবে, এমন গোপন খবরের ভিত্তিতে কায়বা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল শার্শা থানার টেংরা গ্রামের ভাগারিখা মোড় থেকে অভিযান চালিয়ে ১০ পিচ সোনার বার ও ১টি মোটরসাইকেল সহ হাসানুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে ।

    উদ্ধারকৃত সোনার বারের আনুমানিক সিজার মুল্য ৮৪ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।

    খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক মোহাম্মদ তানভীর রহমান জানান, আটক পাচারকারী, উদ্ধার করা সোনার বার ও মোটরসাইকেলের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • মধুপুরে উপজেলা পর্যায়ে  তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    মধুপুরে উপজেলা পর্যায়ে তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    আঃ হামিদ মধুপুুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা পর্যায়ে তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার(২ আগষ্ট) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে এ কর্মশালা অনুুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছরোয়ার আলম খান আবু, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ সায়েদুর রহমান,ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমদ নাসির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যষ্ঠিনা নকরেক, মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাজহারুল আমিন বিপিএম, মির্জা বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক, শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বজলুর রশিদ খান চুন্নু, সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন প্রমুখ। উক্ত কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসাইন।
    কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন রাসেল, মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান বাবলু, সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতালেব হোসেন, মধুপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোন্তাজ আলী, মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন।

  • প্রাচীরের উচ্চতা কম হওয়ায়  অসস্তিতে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা

    প্রাচীরের উচ্চতা কম হওয়ায় অসস্তিতে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা

    এইচ,এম রাজিব,

    মাগুরার শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাচীরের পূর্বপাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে অর্ধশত দোকান। প্রাচীরের উচ্চতা দোকানগুলো থেকে কম হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলের বিভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় পাশ্ববর্তী দোকান গুলো থেকে। এছাড়াও দোকানগুলো থেকে খুব সহজেই প্রাচীর টপকিয়ে প্রবেশ করা যায় হাসপাতালে। দোকান গুলোতে আশা চা-ধুমপায়ীদের অশ্লীন কথোপকোথন ও বকাবাজিতে অতিষ্ঠ হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় থাকা কর্মকর্তা কর্মচারীরা আজ মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পূর্ব পার্শ্বের প্রাচীরের উপর বসে চা ও ধুমপান করছেন কয়েকজন লোক। প্রাচীরের উচ্চতা দোকানগুলো থেকে কম হওয়ায় দোকানে আসা বিভিন্ন লোকজন খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে হাসপাতাল চত্তরে যেখানে অপ্রতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালটির আবাসিক হলে থাকা মেডিকেল টেকনোজিস্ট সুমিতা সরকার বলেন, আবাসিক ভবনের পার্শবর্তী দোকান গুলোতে বিভিন্ন সময় বকাবাজি করা হয় যা শুনতে অনেকটা খারাপ লাগে, এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দোকানে আসা বিভিন্ন লোক হাসপাতালের মধ্যে বিভিন্ন ময়লা আর্বজনা ফেলে যাতে করে হাসপাতালে ময়লা আবর্জনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আব্বাস উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের পার্শবর্তী অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা দোকান গুলোতে রাতদিন চা- ধুমপায়িদের আড্ডা চলে। যেখান থেকে আবাসিক এলাকায় থাকা বিভিন্ন লোকজনের চলাচল খুব সহজেই দেখা যায়। যা খুবই দৃষ্টিকটু বলে মনে করেন তিনি। এব্যাপারে অভিযুক্ত কয়েকজন দোকানদার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, এখন থেকে বিষয়টা খুব গুরুত্বের সাথে দেখবো। এছাড়াও তাদের দ্বারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যেন কোন ক্ষতি না হয়। সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান তারা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইমুন নিছা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাচীরের উচ্চতা পার্শ্ববর্তী দোকানের উচ্চতা থেকে কম হওয়ায় হাসপাতালের প্রাচীরটি খুব সহজেই টপকানো যায়। এতে করে হাসপাতালের পরিত্যক্ত বিভিন্ন জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও আবাসিক ভবনে থাকা বিভিন্ন কর্মকর্তা -কর্মচারিদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

  • শেরপুরে সরকারি ডেইরী ফার্মের  গাছগুলো অবশেষে নিলামে বিক্রি

    শেরপুরে সরকারি ডেইরী ফার্মের গাছগুলো অবশেষে নিলামে বিক্রি

    মাসুম বিল্লাহ, শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি,
    বগুড়ার শেরপুর দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামারের গাছগুলো অবশেষে নিলামে(টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি) বিক্রি করে দিলেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় কার্যাদেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কর্তনকৃত গাছগুলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করেন খামার কর্তৃপক্ষ। এতে করে সরকারের ঘরে প্রায় পৌণে দুই লাখ টাকা রাজস্ব জমা হয়েছে।
    ২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরে দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামারের সেই বিক্রিত গাছগুলো হস্তান্তরকালে এমনই তথ্য নিশ্চিত করেন খামারের উপ-পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন।
    দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে প্রায় ৫৩ একর জায়গা নিয়ে বগুড়া জেলার একমাত্র এই দুগ্ধ ও গবাদিপশু উন্নয়ন খামার গড়ে ওঠে। ঢাকা- রংপুর চারলেনে উন্নতিকরণ প্রকল্পকাজে খামার অংশে ভূমি অধিগ্রহন করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) দক্ষিণ এশিয়া উপ-আ লিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রকল্পের (সাসেক-২)। এতে খামারের পূর্ব অংশের ৮৫ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। এর উত্তর-দক্ষিণ সীমানায় রয়েছে অর্ধশতাধিক গাছ। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, বেলজিয়াম ও মেহগনি। আইন অনুযায়ী গাছগুলোর মালিক খামার কর্তৃপক্ষ। এগুলো নিলামে বিক্রি করার কথা। তবে কোন প্রকার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই গত মে মাসের শেষ দিকে ওই গাছগুলো কাটতে থাকে কতিপয় ব্যক্তিরা। কিন্তু গাছগুলো টেন্ডারবিহীনভাবে কাটতে থাকায় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ প্রায়। এতে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট খামারের উপ-পরিচালক। তৎক্ষনাৎ বন্ধ করে দেয় গাছকর্তন ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে যাওয়া গাছগুলো ফেরত নিয়ে আসেন।
    এরপর খামারের ওই গাছগুলো নিলামে বিক্রির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নির্বাহী বৃক্ষরোপসবিদ(আরবরি কালচার) সওজ এর অপারেশন ডিভিশন(পশ্চিমা ল) রাজশাহী কার্যালয়। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ১৭টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশগ্রহন করে। এতে সর্ব্বোচ দরদাতা হিসেবে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৫ টাকায় গাছগুলোর বিক্রয়ের অনুমোদন পায় মেসার্স বকুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বকুল মিয়া। সে মোতাবেক ২ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মুঞ্জুরুল আলম(মেসার্স রেদোওয়ান এন্টাপ্রাইজ, বগুড়া) কর্তনকৃত গাছগুলো অপসারণ করতে আসে। এসময় পরিত্যক্ত গাছসহ অকৃতনকৃত গাছগুলো তুলে দেয় খামারের উপ-পরিচালক।
    এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধি মুঞ্জুরুল আলম বলেন,
    এ বিষয়ে খামারের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সওজ বিভাগ খামারের জায়গা অধিগ্রহণ করেছে এবং অধিগ্রহনকৃত জায়গার অংশে প্রায় ৩৪টি বিভিন্ন প্রজাতি গাছ ছিল। আমি ঝামেলা এড়াতে কোনো টেন্ডার দিইনি। কিন্তু প্রায় ৩মাস আগে আমি হঠাৎ যখন দেখলাম,গাছগুলো কাটা হচ্ছে, অথচ আমার কাছে এ সংক্রান্ত কোন ডকুমেন্ট নেই। তখন গাছগুলোর কাটা বন্ধ করে দিয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ে যাওয়া গাছগুলো ফেরত আনি। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে মাধ্যমে টেন্ডার আহবানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার তাগিদ দেই। ফলশ্রæতিতে গাছগুলোর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং কার্যাদেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হাতে গাছগুলো হস্তান্তর করি। এতে সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা হবে

  • বরগুনার তালতলীতে ভালো খাবারের অঙ্গীকার নিয়ে আলিফ চায়নিজ এন্ড রেস্তোরাঁর শুভ উদ্বোধন।

    বরগুনার তালতলীতে ভালো খাবারের অঙ্গীকার নিয়ে আলিফ চায়নিজ এন্ড রেস্তোরাঁর শুভ উদ্বোধন।

    মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
    বরগুনার তালতলী ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশে আলিফ চায়নিজ এন্ড রেস্তোরাঁর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বিয়ে, বৌ-ভাত, জন্মদিন, সেমিনার, আকিকা ও সকল প্রকার অনুষ্ঠানের অর্ডারসহ হোম ডেলিভারির নিশ্চয়তা নিয়ে এ রেস্টুরেন্ট যাত্রা শুরু করে।

    সোমবার (১লা আগস্ট )বিকালে উপজেলার বরেণ্য ওলামা মাশায়েখ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দোয়া ও মিলাদের মাধ্যমে এ রেস্টুরেন্টের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

    আলিফ চায়নিজ এন্ড রেস্তোরাঁর মালিক নাসির উদ্দীন আকন বলেন, তালতলী উপজেলায় আধুনিক মানের
    ভালো স্বাস্থ্য সম্মত চাইনিজ খাবার রেস্তোরা না থাকায়
    অনেকেই তালতলীকে নিয়ে কটাক্ষ করতো।দূরের পর্যটকরাও ভালো মানের খাবার হোটেলে নিয়ে চিন্তা থাকতো। এই হোটেলটি হওয়ায় এখন খাবার নিয়ে কাউকে চিন্তা করতে হবেনা। এছাড়া অনেকেই বিভিন্ন প্রোগ্রামের খাবার বরগুনা আমতলী থেকে আনতেন এ পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত সেবার অঙ্গিকারে শুরু করেছি এ রেস্টুরেন্টে। এখানে যেকোনো অনুষ্ঠানের খাবারের অর্ডার নেওয়া ও হোম ডেলিভারির সু-ব্যবস্থা রেখেছি।আশাকরছি ভোজনরসিক সকলের আস্থার নাম হবে আলিফ চায়নিজ এ্যান্ড রেস্তোরাঁ।